কম্পিউটার গেম খেলার পক্ষে পাঁচটি এবং বিপক্ষে পাঁচটি যুক্তি লেখ
জানুনঃ কম্পিউটার গেম খেলার সুফল, কম্পিউটার গেমের ক্ষতিকর প্রভাব, কম্পিউটার গেম খেলার কুফল, কম্পিউটার গেম আসক্তির কুফল কি কি?
কম্পিউটার গেম খেলার পক্ষে পাঁচটি এবং বিপক্ষে পাঁচটি যুক্তি আজকের এই আর্টিকেলে তুলে ধরবো আমরা। কেননা বর্তমানে ভিডিও গেমস এতটাই জনপ্রিয় পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, সকলেই এখন এই গেমগুলো খেলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে এবং দিনের বেশিরভাগ সময় গেম খেলার পেছনেই খরচ করে থাকে।
একটা সময় ছিল, যখন শুধুমাত্র বাচ্চারা কম্পিউটার গেম এর প্রতি অধিক বেশি আসক্ত ছিল। কিন্তু বর্তমানে শিশুদের সাথে সাথে বড়রা এবং মধ্যবয়সী ছেলে মেয়েরাও কম্পিউটার এবং মোবাইল গেম গুলোর প্রতি অনেক বেশি জড়িয়ে পড়েছে।
যে কারণে কম্পিউটার গেমস এর ক্ষতিকর প্রভাব সুদূরপ্রসারী আকার ধারণ করছে। তাই আজ আমরা কম্পিউটার গেম খেলার পক্ষে পাঁচটি এবং বিপক্ষে পাঁচটি যুক্তি মিলিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বাক্য তুলে ধরবো, যেগুলো সম্পর্কে অবগত হওয়া আমাদের সকলের জন্যই জরুরী।
কম্পিউটার গেম খেলার পক্ষে পাঁচটি এবং বিপক্ষে পাঁচটি যুক্তি
কম্পিউটার গেম খেলার পক্ষে এবং বিপক্ষে যদি কোন যুক্তি তুলে ধরা হয় তাহলে সেটা আপনাদের বোঝার জন্য অবশ্যই পূর্বে এটা জানতে হবে, কম্পিউটার গেমস বলতে কি বুঝায়। কম্পিউটার গেমস আসক্তি বলতে কী বোঝায়, কম্পিউটার গেম খেলার সুফল এবং কুফল সমূহ কি কি, কম্পিউটার গেমের কি আদৌ কোন সুফল রয়েছে নাকি এটা শুধুমাত্র আমাদের ক্ষতির কারণ ইত্যাদি ইত্যাদি।
তাই আজ আমরা ধারাবাহিকভাবে কম্পিউটার গেমসের ক্ষতিকর প্রভাব, কম্পিউটার গেম খেলার পক্ষে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, কম্পিউটার গেম এর ইতিবাচক ও নেতিবাচক বিষয়বস্তু, কম্পিউটার গেম এর আসক্তির ভয়াবহতা ও ক্ষতিকর প্রভাব , সেই সাথে বিভিন্ন কম্পিউটার গেমস এর নাম এবং সেগুলো ডাউনলোড করার প্রক্রিয়াসমূহ তুলে ধরবো। তার আগে আসুন পড়ে নেই– কম্পিউটার গেম খেলার পক্ষে এবং বিপক্ষে পাঁচটি যুক্তি।
কম্পিউটার গেম খেলার পক্ষে পাঁচটি যুক্তি
- কম্পিউটার গেম আমাদের চিন্তাশক্তির বিকাশ ঘটায়
- এটি আমাদের চোখ ও হাতের মাঝে সমন্বয় সৃষ্টি করতে ভূমিকা রাখে
- কম্পিউটার গেম অবসর বিনোদনের একটি উল্লেখযোগ্য মাধ্যম
- বিভিন্ন শিক্ষনীয় কম্পিউটার গেম শিক্ষার ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে সেই সাথে বুদ্ধিমত্তার বিকাশ ঘটায়
- কম্পিউটার গেম আমাদের মনকে রিফ্রেস করে এবং কিভাবে একটি নির্দেশ প্রদান করলে তা অধিক কার্যকর হবে সে সম্পর্কে শিক্ষা দেয়।
কম্পিউটার গেম খেলার বিপক্ষে পাঁচটি যুক্তি
- কম্পিউটার গেম এর প্রতি আসক্তি জন্মালে মস্তিষ্কের বিকৃতি ঘটে
- কম্পিউটার গেম আমাদের মূল্যবান সময়কে নষ্ট করে দেয় এবং বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি করে
- অতিরিক্ত আসক্তির কারণে আমাদের কল্পনার মাঝে এটি বিভ্রান্তি তৈরি করে
- বাস্তব জীবনের অতিরিক্ত নৃশংসতা বিরূপ প্রভাব ফেলে
- পরিবার থেকে দূরে সরিয়ে নেয় এবং বাইরের জগত আমাদের কাছে অপছন্দনীয় করে তোলে। কেননা কম্পিউটার গেম খেলার কারণে বাইরে যাবার প্রয়োজন পড়ে না শুধুমাত্র ঘরের এক কোণে বসে যে কোনো বিশ্বের যে কোন জনপ্রিয় গেম খেলা সম্ভব হয়।
পাঠক বন্ধুরা, কম্পিউটার গেম খেলার পক্ষে পাঁচটি এবং বিপক্ষে পাঁচটি যুক্তি সমূহ যদি আপনি কম্পেয়ার করতে চান তাহলে আর্টিকেলটি এখানেই স্কিপ না করে জেনে নিন কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে। যেগুলো আমরা এ পর্যায়ে ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরছি।
কম্পিউটার গেম কি | কম্পিউটার গেম আসক্তি কি?
আমরা সবাই জানি কম্পিউটার হচ্ছে বর্তমান সময়ের আধুনিক এক ইলেকট্রনিক যন্ত্র, যেটা হিসাব নিকাশ থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রয়োজনে ব্যবহার করা হয়। অন্যদিকে কম্পিউটার গেম হলো এক ধরনের সফটওয়্যার, যা কম্পিউটার বা ডিভাইসে ডাউনলোড ও ইনস্টলেশন করে সেটআপ করতে হয়।
কম্পিউটার গেম বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার ভিত্তিক হতে পারে। এটা মূলত নির্ভর করে সফটওয়্যার কনফিগারেশন এর ওপর। বর্তমানে যে অনলাইন ভিডিও গেম গুলো রয়েছে সেগুলো মূলত আধুনিক থ্রিডি মোড যুক্ত হওয়ায় এখন ল্যাপটপ কম্পিউটার বা পিসিতেও খেলা সম্ভব হচ্ছে।
একটা সময় অনলাইন গেম গুলো শুধুমাত্র মোবাইলে খেলা যেত, কিন্তু এখন সে সকল গেম গুলো কম্পিউটারে খেলারও সুযোগ তৈরি হয়েছে, যে কারণে মানুষের আরও ভালোলাগার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে এটি। আর এই ভালো লাগাকে কেন্দ্র করে বর্তমানে তা নেশায় পরিণত হচ্ছে।
কম্পিউটার গেম আসক্তি বলতে মূলত বোঝায়– যখন অনলাইন ভিডিও গেম গুলো মানুষের অভ্যাসে পরিণত হয়, মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করে এবং যখন এই গেম একটি মানুষকে মেন্টালি ডিসঅর্ডার করে। আপনি যদি লক্ষ করেন তাহলে দেখতে পাবেন, মধ্য বয়সি ছেলেমেয়েরা কম্পিউটার এবং মোবাইল গেম খেলতে এতটাই ব্যস্ত যে তারা এ কারণে তাদের মূল্যবান সময় খুব সহজেই ব্যয় করছে। না করছে পড়াশোনা আর না নিচ্ছে শরীরের যত্ন, এমন এক পর্যায়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছে যেন কম্পিউটার গেম খেললেই তাদের পেট ভরে যাবে এবং সকল প্রকার কাজও সম্পন্ন হবে আপনা আপনি।
মূলত যখন কোন কম্পিউটার গেম একটা মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করে, স্বাভাবিক জীবনে বাধা সৃষ্টি করে এবং শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটায় তখনই তাকে কম্পিউটার গেম আসক্তি বলে। যেমন বর্তমানে ফ্রী ফায়ার, Farlight 84 এবং pubg খেলা গুলোর প্রতি তরুণ তরুণীরা অধিক বেশি আসক্ত, যেটা খেলার জন্য তারা সবকিছু করতে পারে। সেটা হোক পরিবারের সাথে দ্বন্দ্ব কলহ সৃষ্টি করা অথবা চুরি ডাকাতি করা।
কম্পিউটার গেম এর কুফল | কম্পিউটার গেমে আসক্তির ভয়াবহতা
কম্পিউটার গেমের কুফল সম্পর্কে যদি আপনি জানতে চান তাহলে বেশ কিছু বিষয় তুলে ধরা সম্ভব। কেননা কম্পিউটার গেম কে আমরা এমনভাবে গ্রহণ করছি যেটা আমাদের অধিক বেশি ক্ষতি করতেই সক্ষম হচ্ছে। সত্যি বলতে, বর্তমানে সবাই কম্পিউটার ভিডিও গেম গুলোর প্রতি এতটাই আসক্ত যে এটা মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করেছে সেই সাথে সমস্যা হিসেবে তৈরি করছে—
- আচরণগত ও মানসিক সমস্যা
- শারীরিক সমস্যা এবং
- পারিবারিক ও সামাজিক অবক্ষয়
এবার আসুন, অতি সংক্ষেপে জেনে নেওয়া যাক কম্পিউটার গেম কিভাবে এই তিন ধরনের সমস্যা সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখছে।
আচরণগত ও মানসিক সমস্যা
যদি কোন কিছুর প্রতি আমাদের আসক্তি জন্মে বা সেটা যদি আমাদের নেশা পরিণত হয় তাহলে তা ছাড়তে অনেক রকমের সমস্যা হবে এটা নিশ্চয়ই জানেন। অনেকের ধারণা শুধুমাত্র নেশাজাতীয় পানীয় গ্রহণ করলেই সেটা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু আপনি কি এটা জানেন, আমাদের ব্যবহার্য প্রায় প্রত্যেকটা জিনিসই আমাদের জন্য ক্ষতিকর যখন সেটা আমাদের নেশায় বা অভ্যাসে পরিণত হয়।
ঠিক এমনটাই ঘটছে কম্পিউটার গেম এর ক্ষেত্রে। একটা সময় ছিল যখন ছেলেমেয়েরা সকাল হলে ঘুম থেকে উঠেই পড়াশোনা করতো এরপর সকালের নাস্তা সেরে স্কুলে যেত, অতঃপর বিকেলে বাড়ি ফিরে খেলার মাঠে যেত খেলাধুলা করতে। কিন্তু প্রযুক্তির উন্নতির ছোঁয়ায় এখন অনেক কিছুরই বদল ঘটেছে।
আবির্ভাব ঘটেছে বিভিন্ন অনলাইন গেমের। যেগুলো মোবাইল অথবা কম্পিউটার ব্যবহার করে খেলা হয়। আর তাই এখন সেই কম্পিউটার ভিত্তিক অনলাইন গেম গুলো ঐ সকল ছেলেমেয়েদের করেছে ঘরবন্দী। শুধু তাই নয়– তাদেরকে এতটাই আসক্ত করে ফেলেছে, যে লকারণে তাদের মধ্যে আচরণগত এবং মানসিক সমস্যা পর্যন্ত সৃষ্টি হচ্ছে।
আচরণগত পরিবর্তনের কথা যদি বলেন তাহলে বলা যায়– ভাষাগত পরিবর্তন সহ ইত্যাদি ইত্যাদি। দেখুন– এটা ঠিক, এখন ঘরে ঘরে প্রত্যেকেরই মোবাইল ফোন রয়েছে। কিন্তু এমন অনেক পরিবার রয়েছে যাদের অ্যান্ড্রয়েড বা স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটার কেনার মত সামর্থ্য নেই। কিন্তু কিছু ছেলেমেয়েরা অনলাইন ভিডিও গেম খেলার জন্য এতটাই পাগল প্রায় যে তারা এই নিয়ে পরিবারে অশান্তি পর্যন্ত করছে, বাবা মায়ের সাথে করে বেড়াচ্ছে বাজে আচরণ সংসারে সৃষ্টি করছে অশান্তি।
আবার pubg এবং ফ্রি ফায়ার এর মতো গেমগুলো খেলার কারণে অনেকে ইতিমধ্যে মানসিক সমস্যায়ও ভুগছে। আপনি যদি খবর নেন বা নিউজ চ্যানেলে চোখ রাখেন তাহলে হরহামেশাই আপনার চোখে এমন অনেক ঘটনা পড়বে– যারা শুধুমাত্র এই গেমগুলো খেলে পাগল হয়ে ঘুরছে।
আর কম্পিউটার গেমে আসক্তির ভয়াবহতা ঠিক কতটা বাজে সেটা আপনি কল্পনা করতে পারবেন না। শুধু এটুকুই বলা যায় কম্পিউটার গেমে অতিরিক্ত আসক্তি মানুষের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিতে পারে সেই সাথে শারীরিক ও মানসিক উভয়ভাবেই ধ্বংস করে দিতে পারে যে কাউকে। এবার আসেন জেনে নেই কম্পিউটার গেমে আসক্তি কিভাবে আমাদের শারীরিক সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়!
শারীরিক সমস্যা
কম্পিউটার গেমে আসক্তি জন্মালে স্বাভাবিকভাবেই একজন মানুষের শারীরিক কিছু সমস্যার সৃষ্টি হয়। যেমন:
- দীর্ঘক্ষণ মোবাইল বা কম্পিউটার স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকার কারণে চোখে ঝাপসা দেখা
- চোখ দিয়ে পানি পড়া
- চোখ ফুলে যাওয়া ইত্যাদি ইত্যাদি।
এছাড়াও এই গেমে আসক্তির কারণে-
- ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে
- মস্তিষ্কে অতিরিক্ত চাপ পড়ে যে কারণে মস্তিষ্কের বিকৃতি ঘটে
- স্মৃতিশক্তি লোপ পায়
- খাবারে অনিহা সৃষ্টি হয় প্রভৃতি।
আর এই বিষয়গুলো জানার পর নিশ্চয়ই এটুকু আন্দাজ করতে পারছেন কম্পিউটার গেম আমাদের শরীরকে ঠিক কতটা নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম এবং এটা আমাদের শরীরে কতটা ক্ষতিকর প্রভাব বিস্তার করতে পারে।
পারিবারিক এবং সামাজিক অবক্ষয়
আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ এমনটাই বলা হয়। কিন্তু বর্তমানে শিশু থেকে শুরু করে তরুন তরুণীরা যারা আগামী দিনের ভবিষ্যৎ গর্ভে তারা যদি মোবাইল বা কম্পিউটার গেমে আসক্ত হয়ে পড়ে তাহলে তো এটা আমাদের পারিবারিক এবং সামাজিক অবক্ষয়ের দারুন সম্ভাবনা তৈরি করবে এটাই স্বাভাবিক!
সত্যি বলতে ঠিক এমনটাই হচ্ছে বর্তমানে। আজকের ছেলেমেয়েরা অনলাইন ভিডিও গেম এর প্রতি এতটা জড়িয়ে পড়েছে তারা সামাজিক কার্যকলাপ থেকে নিজেদেরকে সরিয়ে নিচ্ছে পাশাপাশি পরিবারের মানুষদের কাছ থেকেও দূরে অবস্থান করছে। এটা ঠিক ঘরে বসেই তারা অনলাইন গেম খেলছে পরিবারের মানুষদের আশেপাশেই থাকছে।
কিন্তু তারা পরিবারের আশেপাশে থাকলেও তাদের মস্তিষ্ক থাকছে ফোনের মাঝে শুধুমাত্র গেমকে কেন্দ্র করে। আর এই আসক্তি কতটা ভয়াবহ সেটা শুধুমাত্র ঐ সকল পরিবার জানে যারা এটা ইতোমধ্যে ফেস করেছে বা এখনো ফেস করছে। আপনি যদি অনলাইন গেম সম্পর্কে জানেন তাহলে নিশ্চয়ই এটা জানবেন বর্তমানে অনলাইন ভিডিও গেম গুলো এডভান্স লেবেলে খেলতে চাইলে বিভিন্ন ডায়মন্ড বা পয়েন্ট কেনার প্রয়োজন পড়ে, যেগুলো কিনতে বেশ মোটা অংকের টাকা পে করতে হয়।
এই টাকাগুলো ঐ সকল ছেলেমেয়েরা কোথায় পাবে? নিশ্চয়ই পরিবারের কাছ থেকে নেবে অথবা চুরি আর ডাকাতি করবে এটাই স্বাভাবিক। ঠিক এমনটাই হচ্ছে বর্তমানে। আর এই সবকিছু চিন্তা করে আপনি নিজেই যাচাই-বাছাই করে দেখুন এটা পারিবারিক এবং সামাজিক অবক্ষয়ের কারণ হিসেবে কতটা দায়ী। পাঠক বন্ধুরা আমাদের আলোচনার মাধ্যমে নিশ্চয়ই আপনি কম্পিউটার গেম এর আসক্তির ভয়াবহতা আন্দাজ করতে পারছেন।
কিন্তু এটা কিন্তু সত্যিই আমাদের শুধু ক্ষতির কারণ হয়েই দাঁড়াচ্ছে এমনটা নয়। আর এটা আমরা বারবার উল্লেখ করছি যে এটা যখন আমাদের আসক্তিতে পরিণত হচ্ছে ঠিক তখনই আমাদের এই সকল ক্ষতিগুলো করতে সক্ষম হচ্ছে। কেননা বর্তমানে কম্পিউটার গেম গুলো খেলে টাকা পর্যন্ত উপার্জন করা সম্ভব হচ্ছে।
যারা এডভান্স লেভেলে অনলাইন ভিডিও গেম গুলো খেলেন তারা বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে ইনকাম করতে সক্ষম হয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা। কেউ গেম খেলাকে কেন্দ্র করে Video Editing এর কাজ করেও সফল হয়েছে এই প্লাটফর্মে। কেউবা গেম খেলা শেখানোর মাধ্যমে ইনকাম করছে ইউটিউব থেকে টাকা, আবার কেউ গেম খেলাকে ব্লগ টপিক হিসেবে নির্বাচন করে গুগল অ্যাডসেন্স এর মাধ্যমে ও ইনকাম করছে টাকা।
তবে এটা মূলত একেকজনের কাছে একেক রকম। তাই কম্পিউটার গেমের যেমন কুফল রয়েছে ঠিক একইভাবে এর কিছু সুফল রয়েছে যেগুলো আমাদের জন্য গ্রহণযোগ্য এবং আমাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের হাতছানি দিচ্ছে।
গেম খেলতে গিয়ে পাবজি, ফ্রি ফায়ার এবং Farlight 84 Top Up সহ যেকোন গেমের টপআপ করার প্রয়োজন হলে জুবালি ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন।
তো আশা করি আমাদের আজকের আলোচনার মাধ্যমে আপনি নিশ্চয়ই কম্পিউটার গেম খেলার সুফল এবং কুফল সমূহ ভালোভাবে আন্দাজ করতে পারবেন। সেই সাথে কম্পিউটার গেম খেলার পক্ষে পাঁচটি এবং বিপক্ষে পাঁচটি যুক্তি কম্পেয়ার করতে পারবেন। তো আজ এ পর্যন্তই,সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।