Deprecated: Hook custom_css_loaded is deprecated since version jetpack-13.5! Use WordPress Custom CSS instead. Jetpack no longer supports Custom CSS. Read the WordPress.org documentation to learn how to apply custom styles to your site: https://wordpress.org/documentation/article/styles-overview/#applying-custom-css in /home/globckub/public_html/banglatechspot.com/wp-includes/functions.php on line 6078
ভালোবাসার ছোট কবিতা: সেরা ৫০টি প্রেমের কবিতা
লাইফ স্টাইল

ভালোবাসার ছোট কবিতা: সেরা ৫০টি প্রেমের কবিতা

প্রেমের ভালোবাসার কবিতা ২০২২, সেরা ভালোবাসার কবিতা, তীব্র ভালোবাসার কবিতা,

সেরা ভালোবাসার কবিতা

আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা কবিতা পড়তে ও শুনতে খুব পছন্দ করে। বিশেষকরে ভালোবাসার কবিতা (Valobashar Kobita) বা প্রেমের কবিতা (Premer Kobita) এর প্রতি আমাদের সকলেরই ভালোলাগা এবং আগ্রহ থাকে।

আজকের এই আর্টিকেলে আমরা এমন ৫০টি অসম্ভব সুন্দর প্রেমের কবিতা (Sundor Premer Kobita) আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি, যে কবিতাগুলো খুবই শ্রুতিমধুর।

ভালোবাসা, প্রেমের প্রিতি যাদের প্রবল দূর্ভলতা আছে, তারা অবশ্যই এই ৫০টি রোমান্টিক প্রেমের কবিতা (Premer Kobita) জানা প্রয়োজন।

মানুষের ধারণা অনুযায়ীঃ প্রেম, ভালোবাসা সম্পুর্ণ মানসিক বিষয়। প্রেম ভালোবাসা মানুষের মন থেকে সৃষ্টি হয়। যখন কোন মানুষ প্রেমে পড়ে, ভালোবাসায় আসক্ত হয় তখন সেই ব্যক্তি সহজেই কবিতা লিখতে পারে। যে ব্যক্তি প্রেমে পড়েনা সে কখনোই প্রেমের কবিতা (Premer Kobita) ভালোবাসার কবিতা লিখতে পারবেনা।

আমাদের দেশে একটি কথা প্রচলিত আছে, যখন মানুষ প্রেমে পড়ে, তখন সে কবি হয়ে যায়। আর সেই কবি খুব সহজেই ভালোবাসার কবিতা, রোমান্টিক প্রেমের (Premer Kobita) কবিতা লিখে ফেলতে পারে।

প্রেমের কবিতা ২০২২

ভালোবাসা কখনো না কখনো মানুষের জীবনে আসবেই। সেটা হতে পারে নিজের স্ত্রী, বান্ধবী, প্রতিবেশী বা অপরিচিত কোন মেয়ের জন্য। ভালোবাসা কিন্তু আমাদের বাঙালি কবিদের জীবনেও এসেছিলো।

ভালোবাসা নিয়ে কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছিলেনঃ

ভালোবেসে সখী নিভৃত যতনে আমার নামটি লিখ তোমার মনেরও মন্দিরে।

রবি ঠাকুর

শুধুমাত্র রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নয়, যুগে যুগে যত কবি, জ্ঞানি গুনি ছিলেন তারা সবাই প্রেমের ব্যাপারে লিখেছেন। তারা সবাই কবিতা লিখে প্রেমের পক্ষে শ্লোগান দিয়েছেন।

আমরা বর্তমানে প্রযুক্তির বদৌলতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ইন্টারনেট ব্যবহার করে নিজেদের প্রিয়জনকে প্রেমের কবিতা ভালোবাসার রোমান্টিক কবিতা জানিয়ে প্রেম প্রকাশ করি।

সেরা ৫০টি ভালবাসার কবিতা

এই আর্টিকেলে বর্তমান সময়ের বেশ জনপ্রিয় কিছু রোমান্টিক প্রেমের কবিতা শেয়ার করেছি। এই ভালোবাসার কবিতাগুলো বর্তমান যুগের আধুনিক লেখকদের লেখা কবিতা। আমি আশা করছি যারা প্রেমের কবিতা (Premer Kobita) পছন্দ করেন, ইন্টারনেটে ভালোবাসার কবিতার (Valobasar Kobita) খোঁজ করছেম, তাদের এই সেরা ৫০টি প্রেমের কবিতা বেশ ভালো লাগবে।

ভালোবাসার ছোট কবিতা (Valobashar Chuto Kobita)

জল জমে থাকা কাচে
জ্বর হয়ে থাকা আঁচে
তুমিও থাকো অসুখের মতো
কী ভীষণ ছোঁয়াচে!
শোনো, কাজল চোখের মেয়ে
আমার দিবস কাটে, বিবশ হয়ে
তোমার চোখে চেয়ে।

দহনের দিনে, কিছু মেঘ কিনে
যদি ভাসে মধ্য দুপুর
তবু মেয়ে জানে, তার চোখ মানে
কারো বুক পদ্মপুকুর।

এই যে মেয়ে, কজল চোখ
তোমার বুকে আমায় চেয়ে
তীব্র দাবির মিছিল হোক।

তাকাস কেন?
আঁকাস কেন, বুকের ভেতর আকাশ?
কাজল চোখের মেয়ে
তুই তাকালে থমকে থাকে
আমার বুকের বাঁ পাশ।
এমন জলের রাতে নদী হই যদি
যদি—তোমাকে জমা রাখি বুক অবধি।
আধারের রং ছুঁয়ে তুমিও খানিক
আমায় জমিয়ে রেখো বুকের বাঁ দিক।
তোমার চোখ চেয়েছি বলে, এমন ডুবল আমার চোখ
অমন অথৈ জ্বলে রোজ, আমার ডুব সাঁতারটা হোক।
শোনো কাজল চোখের মেয়ে, আমি তোমার হব ঠিক
তুমি ভীষণ অকূল পাথার, আমি একরোখা নাবিক।
শোনো, জ্বল ছল ছল কাজল চোখের কন্যা সর্বনাশী,
আমি তোমায় ভালোবাসি।
একটা তোমার মতো চাঁদের জন্য মেয়ে
আমি জোছনা সকল হেলায় ভুলে থাকি।
একটা তোমার মতো মনের জন্য মেয়ে
আমি হৃদয়টাকে যত্নে তুলে রাখি।

তীব্র প্রেমের কবিতা (Tibro Premer Kobita)

আবার যখন দেখা হবে, খানিক যদি থমকে যাই
বেলিফুলের গন্ধে কোথাও, একটুখানি চমকে যাই।

তাকিও তখন চোখ
হাসিমুখের বুকের ভেতর কে কেঁপে যায় শোকে!
ততটুকু দিতে নেই
যতটুকু দিলে অচেনা মিছিলে
হারাবে নিজেকেই।

কিছুটা নিজেরও থাক
নিখোঁজ খবর- ছাপা পত্রিকা
ঠিকানাটা খুঁজে পাকা।

ততটুকু হোক দেনা
যতটুকু হলে, ফিরে আসবার
পথটুকু থাকে চেনা।
তোমার জন্য কাপছে কেন মন
কাঁদছে কেন শূণ্য চোখের কোণ?
তোমার জন্য বুকের গহিন জুড়ে
আমার সময় নিঃশব্দ, নির্জন।
তোমার একটা নাম থাকুক আমার দেয়া
মেঘের মেয়ে, নদী কিংবা জলজ খেয়া
আমার দেয়া একখানা নাম তোমার থাকুক
না হয় আমি হারিয়ে গেলেও
একলা একা সন্ধা তারা
সেই নামেই তোমায় ডাকুক।
আমাদের এই দেখা সময়ের ভুল
তবু বুক ব্যথা-ভার, চক্ষু আকুল।

বিষাদ প্রেমের কবিতা (Bisgad Premer Kobita)

তুমি হলে রোদ
হোক অবরোধ
শহরের মেঘে।

তুমি হলে জল
স্নান অবিরল
তোমাকেই মেখে।

আর যদি কেউ
হতে চায় ঢেউ
অবছাড়া চোখে।

ভেকে যাক আজ
অচেনা জাহাজ
তুমি নেই শোকে।
এলোকেশী মেয়ে কার পথ চেয়ে, মেলেছিলে ঐ কেশ?
পথ চাওয়া শেষে, এসেছিল কী সে? ছুয়ে মেঘ অনিমেষ।
এলোকেশী মেয়ে, মেঘবেলা ধেয়ে, এসেছে কী তার ঢল?
তুমি কার জলে, তোমার ভেজালে? ভাসালেই প্রেমাচল!
দেখেনিতো চেয়ে, এলোকেশী মেয়ে, আর কেউ ছিল তার
কী বিষাদে পুড়ে, তার বুক জুড়ে, কেঁদেছে বিরহী সেতার।
আমার তকেই ভাবা ভোর
চোখে শাপলা-শালুক ঘোর।
থাকুক শাপলা-শালুক ঘোর
থাকুক টুপ জেলেদের ভোর
থাকুক ছন্নছাড়া রাত
তর হাতের ভীতর হাত।

থাকুক তর পায়েতে পা
তুই অন্যতো কেউ না।
কিছুটা মেঘের মতো ছাড়া যদি নামে
কিছুটা বিষাদ আসে বিকেলের খামে
সকালের মিহি রোদে, রাত হয়ে যায়
জেনে নিও, খুঁজে আর পাবে না আমায়।
মুক্তো কী জানে, কী বেদনা পুষে রাখে ঝিনুক বুকে?
কতটুকু মেঘ ভার বৃষ্টি অসুখে!

তুমি জানো কী, কতটুকু হয়ে গেলে আমি শূণ্য
তুমিও তোমার মতো হলে পূর্ণ।

বিখ্যাত প্রেমের কবিতা (Bikkheto Premer Kobita)

শুনছো মেয়ে?
এই যে ধূসর মেঘের খামে, বর্ষা নামে
জমছে কত ফুলের রেণু চুলের ভাঁজে।
দখিন হাওয়া হঠাৎ এসে, আঁচল ভাসায় সুবাস মেখে
জলের কণা আলতো করে গাল ছুঁয়ে যায়।
ছুতে পারো, তুমিও খানিক?
বিকেল ঘুমিয়ে গেলে না ঘুমানো চোখ
জেগে থাক জানালায়, সন্ধা আসুক
বসুক খানিক পাশে লুকিয়ে অসুখ
রাত্রির কিছু তারা ব্যথায় খসুক।
রাত্রি ঘুমিয়ে গেলে না ঘুমানো ক্ষত
জেগে থাকা আকাশের তারার মত।

কিছু নোনাজল জমা জানালা জানুক
অসুক লুকিয়ে রাখে মানুষের বুক।
চিঠির ভাঁজে জমেছিল মন
মনের ভাঁজে তোমার নিমন্ত্রণ
অথচ সে ঘুরল শহর জুড়ে
ঠিকানাহীন দীর্ঘ নির্বাসন।

লুকিয়ে রাখা চিঠি
চিঠির ভাজে আস্ত মানুষ থাকে
এই শহরের ফুলগুলোও জানে
মানুষ তার মনের জন্য সুবাস জমা রাখে।
শুনছো মেয়ে?
একটা চিঠি ঘুরে বেড়ায় এই শহরে, ঠিকানা নেই
সেই চিঠিটার বুকের ভেতর জমছে বথা সঙ্গোপনে
বাতাস ভারী দীর্ঘশ্বাসে, কি যায় আসে!

শুনছো মেয়ে?
এই শহরে একটা বুকে
তোমার নামে সকাল, দুপুর, সন্ধ্যা নামে!
চিঠির ভাঁজে জমেছিল মন
মনের ভাঁজে তোমার নিমন্ত্রণ
অথচ সে ঘুরল শহর জুড়ে
ঠিকানাহীন দীর্ঘ নির্বাসন।

লুকিয়ে রাখা চিঠি
চিঠির ভাজে আস্ত মানুষ থাকে
এই শহরের ফুলগুলোও জানে
মানুষ তার মনের জন্য সুবাস জমা রাখে।

আবেগি প্রেমের কবিতা (Abegi Premer Kobita)

ততটুকু দিও
যার পরে আর
কিছু চাইবার
বাকি না থাকে!
ততটুকু নিও
যার পার আর
পিছু চাইবার
ফাঁকি না থাকে।
এফোঁড়া ওফোঁড়া বুকে স্মৃতির সেলাই
ভেজা রাত, ভেজা হাত, হিসেব মেলাই
কতটা জীবন দিলো, নিলো কতটুকু?
দিন শেষে-
আমিই আমার আর এই পথটুকু।

যেটুকু হেঁটেছি এক, নিজের চোখে
সেটুকুই থেকে গেল সুখে অসুখে।
যেটুকুর আলো জ্বেলে ডেকেছিল কেউ
তার সব চোরাবালি, আড়ালের ঢেউ।

এফোঁড় ওফোঁড় বুকে, স্মৃতির সুতো
সুইয়ের ডগায় বোনে লুকানোর ছুঁতে।
তোমার চুড়ির শব্দ থাকুক
লুকোচুরির পদ্য থাকুক
দূরেই থেকো তুমি।
এই বরষায়, কাপুক তবু
হৃদয় জলজভূমি।
যতটুকু চেয়েছি যেতে
ততটুকু হেঁটে এসে দেখি
ঢের পথ বাকি।

এ যেন জীবন
ষোল আনা কাটিয়ে দেখি
পুরোটাই ফাঁকি।
কোথাও যাইনি জানি, এখানেই আছি
যেখানে ভালোবাসা এত কাছাকাছি।
যেখানে ফিসফিস মায়া— কতকথা
যেখানেই তুমিময়, কী ভীষণ আকুলতা!
আমিও চলে যেতেই পারতাম, তোমার মতো
আমার বুকেও জমছে অথৈ কান্না, ক্ষত
তবুও আমি থেকেই গেছি, কোথাও যাইনি
তোমায় ভুলে, অন্য মানুষ খুঁজতে চাইনি!

গভীর ভালোবাসার কবিতা (Gobhir Valobashar Kobita)

তাকাস কেন?
আঁকাস কেন বুকের ভেতর আকাশ?
কাজল চোখের মেয়ে
তুই তাকালে থমকে থাকে
আমার বুকের বাঁ পাশ।
অমন কাজল চোখে তুমি চেয়ো রোজ
ওই চোখে জীবনের হিসেবে সহজ।
আরেকবার জলে রাখো মুখ
আরেকবার ঢেউয়েরা আসক
তারপর ভেঙ্গে যাক মুখের আদল
জলের আয়না জুড়ে অচেনা ভাসুক।

আরেকবার চোখে রাখো চোখ
আরেকবার আসুক অসুখ
তারপর জেগে থাক অসুখী মানুষ
রাতের জানালা জুড়ে যন্ত্রণা বুক।

আরেকবার জানুক ঝিনুক
আরেকবার নিজেকে চিনুক
তারপর বেদনার জীবন ভেঙ্গে
নিজের জন্য কিছু মুক্তো কিনুক।
কুড়িয়ে নিয়েছি সব, জমা ছিল যত
পুরনো স্মৃতির দিন, বেদনার ক্ষত
পিছুটান পিছে ফেলে সীমানা ছাড়াই
তবু যেতে যেতে কেন থমকে দাঁড়াই।

উড়িয়ে দিয়েছি ঘুড়ি সুতোটুকু কেটে
পুড়িয়ে দিয়েছি চিঠি জমা বুক পকেটে
এখন পথিক হয়ে পথে পা বাড়াই
তবু যেতে যেতে কেন থমকে দাঁড়াই।

আয়নায় জেগেছিল কাজল দু চোখ
লেগেছিল লাল টিপ, স্মৃতির সূচক
তার সব ভেঙ্গে কাচ দু পায়ে মাড়াই
তবু যেতে যেতে কেন থমকে দাঁড়াই।
যেতে হলে, এখুনি যাও
পরে গেলে মায়া বেড়ে যাবে,
থেকে গেলে, এখুনি থাকো
বেলা শেষে ছাড়া বেড়ে যাবে।
শোনো, জল ছলছল কজল চোখের কণ্যা সর্বনাশী
আমি তোমায় ভালোবাসি।

ভালোবাসার কবিতা ২০২২ (Bhalobashar Kobita 2022)

সেখানে তোমর চিহ্ন, যেখানে পেতেছি বুক
ছিন্ন পালের নৌকা জেনেছে, ভেসে যাওয়া যতটুক।
সেখানে তোমার সীমানা, যেখানে থেমেছি আমি
তুমি ছাড়া আর সকলে জেনেছে, তুমি অন্তর্যামী।
মরে রেখো, ছিল কেউ কাছে
দূরের তারার মতো, আরো দূরে গিয়ে,
এখনো সে আছে।

মনে রেখো, ছিল কেউ পাশে
কাছের মায়ার মতো, মেঘ হয়ে,
দূরের আকাশে।

মনে রেখো, দহনের দিনেও যে ছায়া হয়ে থাকে
ছুঁয়ে দিও তাকে।
যে হয়েছিল ভোর, অথৈ আদর, নামহীন নদী,
একা লাগে যদি
মনে রেখো তাকে।
কিছু ঋণ তোর কাছে রেখে
বাকি ঋণ হিসেবে চুকাই।
কিছু দিন তোর ছাড়া মেখে
তোর চোখে নিজেরে লুকাই।
আবার যখন দেখা হবে
খানিক যদি থমকে যাই,
বেলিফুলের গন্ধে কোথাও
একটুখানি চমকে যাই।

তাকিও তখন চোখে
হাসি মুখে বুকের ভেতর কে কেঁপে যায় শোকে।
একটা তোমার মতো চাঁদের জন্য মেয়ে
আমি জোছনা সকল হেলায় ভুলে থাকি।
একটা তোমার মতো মনের জন্য মেয়ে
আমি হৃদয়টাকে যত্নে তুলে রাখি।

সেরা ভালোবাসার কবিতা (Shera Valobashar Kobita)

এই যে অভিমান জমে বুক ভার
থমথমে মেঘে ভেসে যাই
ডেকে দেখো আর একবার
সব ভুলে—
কত কাছে এসে যাই!
এই যে দুপার,
এমন করে রোদের গাঁয়ে সওয়ার হয়ে এলে
রাত্রি এলো অন্ধকারে চড়ে।
সন্ধা জানে বিষন্নতার মানে
বিকেল এলো গুটিয়ে অভিমানে।
এমন করে তুমিও যদি আসো
বলবে কি কেউ, তোমার আসার মানে
তুমি আমায় ভালোবাসো?
তোমার জন্য কাপছে কেন মন
কাঁদছে কেন শূণ্য চোখের কোণ?
তোমার জন্য বুকের গহিন জুড়ে
আমার সময় নিঃশব্দ, নির্জণ।
তোমার একটা নাম থাকুক আমার দেয়া
মেঘের মেয়ে, নদী কিংবা জলজ খোয়।
আমার দেয়া একখানা নাম তোমার থাকুক
না হয় আমি হারিয়ে গেলেও
একলা একা সন্ধ্যা তারা
সেই নামেই তোমায় ডাকুক।
আমার বৈশেখী চুপ দুপুর
তোর নিদাঘ জলের পুকুর
তুই মেখ হয়ে যা মেয়ে
তুই জল হয়ে যা মেয়ে
ঝড়ুক বৃষ্টি টাপুর টুপুর।

আমি একলা একা শুনি
তোর জন্য যে পথ শুনি
কখন বুকের ভেতর কেঁপে
বেজে উঠবে তোর নূপুর।

তীব্র ভালোবাসার কবিতা (Tibro Bhalobashar Kobita)

ওই যে রোদের মতো দেখো
ওর ভেতরেও মেঘ রয়েছে কিছু
যেমন, হাসির ভেতর কান্না থাকে রাখা।

ওই যে প্রেমের মতো দেখো
ওর ভেতরেও ফাঁকা রয়েছে কিছু
যেমন, ‘ভালো আছি’র ভেতর ‘খারাপ থাকা’।
ততটুকু যেও, যতটুকু গেলে ফিরে আসা যায়
দূরের জাহাজ যদি ডাকে
তবু—
ফিরে এসে, তীরে ভাসা নায়।

দূরের জলের বুকে ভাসা যায় শুধু
তীর জানে, নোঙরের ঠিকানা কোথায়!
তোমার জন্য কাঁদলে মন, নাম কি তার?
নিঘুম রাত জাগলে একা, দাম কি তার?
মোতার জন্য শূণ্য হলে, দায়টা কার?
অশ্রুজলে ভাসলে একা, যায়টা কার?

তোমার জন্য পথ হারালে, ভাববে কে?
নিখোঁজ খবর আসছে জেনে, কাঁদবে কে?
তোমার জন্য লিখলে চিঠি, পড়বে কে?
‘ভাববো না আর’ ভেবেও রোজ, লড়বে কে?

তোমার জন্য জ্বর বাঁধালে, মাপবে কে?
খানিক ছুঁয়েই লুকিয়ে একা, কাঁপবে কে?
তোমার জন্য নিঃস্ব হলে, নাম কি তার?
বোকাইতো সে, প্রেমিক বলে, দাম কি তার?
রেখে যাওয়া দাগ কেউ চেনে
কেউ চেনে স্মৃতিদের রং
কেউ কেউ জমা করে রোখে, দুঃখ বরং।

কেউ কেউ চোখ ঢেকে কাঁদে
কেউ চুপিচুপি রাখে খোঁজ।

মনে রাখা, নাকি ভুলে যাওয়া?
কী বেশি সহজ?
পথের ধুলোয় পায়ের ছাপটি আঁকা
ছাপের ভেতর মন কেমনের সুর।
চলে গিয়ে চোখের আড়াল হলেও
মনের আড়াল কোথায়, কত দূর?

প্রেমের ছোট কবিতা ২০২২ (Premer Chuto Kobita 2022)

চেনা রাস্তায়, দেখা হয়ে গেলে
হয়ে যাবে কী, খুব অচেনা?
কেনা সস্তায়, ঢাকা সানগ্লাস
চোখে রয়ে যাবে কী, জল অজানা!
আমাকে ভুলে যেও রোজ
ভুলে যেও কতটা নিখোঁজ।

মরে রেখো কেউ কেউ থেকেও থাকে না
পদভাবে এতটকু চিহ্ন আঁকে না।

কেউ কেউ না থেকেও থাকে
চুপি চুপি রোজ ছুঁয়ে যায়-
স্মৃতির গভীর জল নদীটির বাঁকে।
তুই গেঁথে যাস আরো, যতই ছাড়াতে চাই
তুই ক্ষতই বাড়াস, যতই সারাতে চাই
তুই অর্ধেক ব্যথা, অর্ধেক ব্যথাহীন
তুই বুকের ভেতর একটা আস্ত সেফটিপিন।
যে ছেলেটা চড় খেয়ে চুপ রয়
যে মেয়েটা গালি খেয়ে নিশ্চুপ
তারো বুকে রোজ জমা ঘৃণারা
একদিন হয়ে যায় বিষ খুব।

যে মেয়েটা স্বাদ পেতে ক্ষমতার
ভূলে যায় ভালোবাসা, মমতা
সে মেয়েটা বুঝে না কী কখনো
তাকে ‘এক’ করে দেয় ‘ক্ষমতা’।

যে ছেলেটা ‘নেতা’ হয়ে ভুলে যায়
মানুষের মনটাকে জিততে
জানে কী সে ‘ভালোবাসা’ যা দেখে
আসলে তা ভয় পাওয়া মিথ্যে।
আমাকে ভালোবাসে?
না।
তাহলে?
তাহলে কিছুই না!
কিন্তু রোজ বিকেল, ঠিক সন্ধার আগে ছাঁদে আসো যে?
কিভাবে জানো?
কিভাবে আবার? আমাদের ছাঁদ থেকে দেখা যায়!
রোজ দেখ?
হু!
তার মানে, তুমিও রোজ বিকেলে ছাঁদে আসো?
আসি!
তাহলে তুমি আমাকে ভালোবাসো?

প্রেমের কবিতা নিয়ে শেষ কথা

আমাদের এই আর্টিকেলে শেয়ার করা ভালোবাসার ছোট কবিতাগুলো (Valobasar Kobita) কেমন লেগেছে আপনার কাছে? অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন। সেরা ৫০টি প্রেমের কবিতার (Premer Kobita) মধ্যে আপনার কোনটি বেশি পছন্দ হয়েছে তাও কমেন্টে জানাতে পারেন।

প্রেমের কবিতাগুলো (Premer Kobita) ভালো লাগলে অবশ্যই আর্টিকেলটি অন্যদের সাথে শেয়ার করবেনব। ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য।

সম্পর্কিত আর্টিকেল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button

অ্যাডব্লকার ডিটেক্ট হয়েছে!

মনে হচ্ছে আপনি অ্যাড ব্লকার ব্যবহার করছেন। আমাদের সাইট ভিজিট করার জন্য আপনাকে অ্যাড ব্লকার বন্ধ করতে হবে। যদি অ্যাডব্লকার ব্যবহার না করেন, তাহলে পেজটি রিফ্রেশ করুন।