শিক্ষা ও স্বাস্থ্য

IELTS: কোন দেশে যেতে কত স্কোর লাগে এবং IELTS ছাড়া কোন কোন দেশে যাওয়া যায়

সূচিপত্র দেখুন

অনেকেই বিদেশে পড়াশোনা করার তীব্র আগ্রহ নিয়ে নিজেকে প্রস্তুত করছেন। IELTS এর উপর বিভিন্ন কোর্স সম্পর্কেও ঘাঁটাঘাঁটি করা শেষ। কিন্তু অত্যাবশ্যকীয় তথ্য অর্থ্যাৎ কোন দেশে যেতে কত স্কোর লাগে সে সম্পর্কেই অনেকের জানা হলো না। 

এমন না জানা পাবলিকের জন্যেই আমাদের আজকের এই গাইডলাইনটি। যেখানে থাকছে কোন দেশে যেতে কত স্কোর লাগে, IELTS করে কোন কোন দেশে যাওয়া যায় এবং IELTS ছাড়া কোন কোন দেশে যাওয়া যায় সে-সম্পর্কে বিস্তারিত গাইডলাইন সুতরাং সাথেই থাকুন।

IELTS: কানাডা যেতে কত স্কোর লাগে?

আপনি যদি স্কলারশিপ হিসাবে কানাডিয়ান কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক প্রোগ্রামে জয়েন হতে চান সেক্ষেত্রে সাধারণত লাগবে 6.0 থেকে 7.5 পয়েন্ট৷ অনেকসময় আবার বিভিন্ন স্নাতক প্রোগ্রামে ভর্তি হতে লাগে 6.5 থেকে 8.0 পর্যন্ত ভালো স্কোর। 

তবে যাদের স্কোর খারাপ আসবে তাদের চিন্তান কোনো কারণ নেই। কারন বর্তমানে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় এর চাইতেও কম স্কোর আছে এমন শিক্ষার্থীদের ইংরেজি ভাষার প্রস্তুতির কোর্স অফার করে ভার্সিটিতে ভর্তি হওয়ার সুযোগ দিচ্ছে।

IELTS: যুক্তরাজ্যে যেতে কত স্কোর লাগে?

যেকোনো সাধারণ স্নাতক কোর্সের জন্য, যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে সাধারণত 6.0 থেকে 7.0 পয়েন্টের মতো লাগে। আর স্নাতকোত্তর কোর্সের জন্য লাগে 6.5 থেকে 7.5 পয়েন্ট। 

অনেক সময় এর চাইতেও বাড়তি স্কোরেরও প্রয়োজন পড়তে পারে। বলে রাখা ভালো এই স্কোরের যোগ্যতার মাপকাঠিটা প্রতিষ্ঠান এবং প্রোগ্রাম দ্বারা পরিবর্তিও হতে পারে।

IELTS: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যেতে কত স্কোর লাগে?

স্নাতক প্রোগ্রামগুলিতে ভর্তি করানো জন্য দেশটির বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে বেঁধে দিয়েছে 6.0 থেকে 7.5 পয়েন্টপ্রাপ্তির যোগ্যতা। আর একই নিয়মে স্নাতকোত্তর করতে লাগবে 6.5 থেকে 8.0 এর মধ্যে বেশ ভালো একটা পয়েন্ট। 

যদিও বর্তমানে বেশকিছু বিশ্ববিদ্যালয় বা প্রোগ্রামের নির্দিষ্ট প্রয়োজনীয়তা অনুসারে এই পয়েন্টে পরিমাণ কমানো হয়েছে। যা সম্পর্কে জানতে নিয়মিত তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে চোখ রাখুন।

IELTS: অস্ট্রেলিয়ায় যেতে কত স্কোর লাগে?

বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে সাধারণত স্নাতক প্রোগ্রামের জন্য লাগে 6.0 থেকে 7.0 পয়েন্ট। অন্যদিকে যদি স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামে জয়েন হতে চান সেক্ষেত্রে লাগবে 6.5 থেকে 7.5।  

তবে হ্যাঁ এই নিয়মের বাইরেও বিভিন্ন সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের নার্সিং বা শিক্ষার মতো নির্দিষ্ট ক্ষেত্রের প্রোগ্রামের জন্য নির্দিষ্ট স্কোরের প্রয়োজন পড়তে পারে। আর এসম্পর্কে জানতে সেসব প্রতিষ্ঠানের নির্দিষ্ট সার্কুলারগুলি চেক করে নিতে পারেন।

IELTS: নিউজিল্যান্ডে যেতে কত স্কোর লাগে?

আপনি কি পছন্দের প্রোগ্রাম নিয়ে স্কলারশিপ হিসাবে নিউজিল্যান্ডে যেতে চান? সেক্ষেত্রে দেশটির স্নাতক প্রোগ্রামগুলিতে ভর্তির জন্য অর্জন করতে হবে 6.0 থেকে 7.0 পয়েন্ট। 

আর নিয়ম অনুযায়ী স্নাতকোত্তর করতে লাগবে 6.5 থেকে 7.5 পয়েন্টের মতো। পাশাপাশি এটিও এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, প্রতিষ্ঠান এবং যেকোনো প্রোগ্রামের উপর ভিত্তি করে এই স্কোরের প্রয়োজনীয়তা যেকোনোভাবেই পরিবর্তিত হতে পারে।

IELTS: ইউরোপীয় যেতে কত স্কোর লাগে?

ইউরোপীয় দেশ এবং প্রতিষ্ঠানে মূলত ভিন্ন ভিন্ন স্কোর সিস্টেম চালু আছে। তবে প্রাথমিকভাবে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামের জন্য আপনাকে 6.0 থেকে 7.0 পয়েন্ট টার্গেট করতে হবে। 

আর ইউরোপের যেসব দেশের প্রথম ভাষা বা নেটিভ ল্যাংগুয়েজ ইংরেজি না সেসব দেশে ইংরেজি ভাষাভাষী দেশের তুলনায় কম স্কোর থাকলেও ভর্তি হওয়ার সুযোড় পাবেন।

পৃথিবীর অন্যান্য দেশে যেতে কত স্কোর লাগবে?

অন্যান্য অনেক দেশেই স্কলারশিপ নিয়ে পড়তে গেলে একাডেমিক উদ্দেশ্যে IELTS স্কোর অনেক বড় ফ্যাক্ট করে। যা জানতে এবং বুঝতে পছন্দের দেশ এবং প্রতিষ্ঠানের নির্দিষ্ট নোটিশ চেক করাটা জরুরি।

IELTS করে কোন কোন দেশে যাওয়া যায়?

এবার আসি IELTS করে কোন কোন দেশে যাওয়া যায় সে ব্যাপারে। যেসব দেশের ব্যাপারে জানলে কোন দেশে যেতে কত স্কোর লাগে তা নিয়ে আপনাকে আর মাথা ঘামাতে হবে না। এক্ষেত্রে যেসব দেশ নিয়ে ভাবতে পারেন সেসব দেশ হলো:

অস্ট্রেলিয়া: অস্ট্রেলিয়া হলো এমন একটি দেশে যে দেশ বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং শিক্ষার দিক দিয়ে ১০০ তে ১০০। IELTS দিয়ে দেশটিতে ভালো ডিগ্রি অর্জন করতে পারলে সেখানেই ভালো জব করার সুযোগ পাবেন। 

অ্যায়ারল্যান্ড: যারা বাংলাদেশ থেকে বিদেশে উচ্চশিক্ষা নেওয়ার কথা ভাবছেন তারা কম খরচের জন্য অ্যায়ারল্যান্ড বেছে নিতে পারেন। এই দেশটিতে IELTS এর উপর ভালো স্কোর থাকলে অন্যদের মতো আপনিও পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারবেন। 

নিউজিল্যান্ড: নিউজিল্যান্ডের সরকার অনেক বেশি বাজেট বরাদ্দ রাখে শুধুমাত্র শিক্ষার জন্যে। আপনি যদি আইএলটিএসে ভালো স্কোর করতে পারেন তাহলে কম খরচে এমনকি মোটামুটি বিনামূল্যেই দেশটিতে পড়াশোনার সুযোগ পাবেন। 

যুক্তরাজ্য: উন্নত দেশের উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থায় থেকে নিজের জ্ঞান বৃদ্ধি করতে কে না চায়! এক্ষেত্রে যদি থাকে ভালো IELTS স্কোর তাহলে তো আর কোনো কথাই নেই। ব্যাগপ্যাক গুছিয়ে নিজেকে তৈরি করে নিন। 
কানাডা: কানাডা হলো পৃথিবীর সবচেয়ে শান্তির দেশ। যেখানে কোনো ক্রাইম সংঘটিত হবার ভয় ছাড়াই নিশ্চিন্তে পড়াশোনা করার সুযোগ রয়েছে। তবে এক্ষেত্রে IELTS এর উপর ভালো স্কোর থাকটা আবশ্যক।

IELTS ছাড়া কোন কোন দেশে যাওয়া যায়?

এবার আসি IELTS ছাড়া কোন কোন দেশে যাওয়া যায় সে ব্যাপারে। যারা ভাবছেন IELTS ছাড়া বিদেশে পড়তে যাওয়ার স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যাবে তাদের জন্যে আজকের এই লেখাটি। সাথেই থাকুন।

IELTS ছাড়া জার্মানি

জার্মানি দেশটির উচ্চ-মানের শিক্ষা ব্যবস্থা এবং আন্তর্জাতিক ছাত্রদের জন্য অসংখ্য বৃত্তির সুযোগ নিয়ে বসে আছে আপনার মতো স্বপ্নবাজদের জন্যে। 

মজার বিষয় হলো জার্মানির অনেক বিশ্ববিদ্যালয় ইংরেজি শেখানোর উপর বিভিন্ন প্রোগ্রাম অফার করে। বেশকিছু স্কলারশিপ প্রোগ্রামের জন্য কোনোধরণের IELTS স্কোরেরও প্রয়োজন হয় না।

IELTS ছাড়া নরওয়ে 

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে টিউশন-মুক্ত এডুকেশন সিস্টেমের জন্য নরওয়ে বেশ বিখ্যাত। দেশটিতে বেশকিছু প্রোগ্রামের জন্য ইংরেজি দক্ষতার প্রমাণের প্রয়োজন পড়লেও প্রয়োজন হিসাবে IELTS ছাড়াও বিভিন্ন কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হয়। এক্ষেত্রে আপনাকে হয়তো TOEFL বা কেমব্রিজ ইংরেজি পরীক্ষায় অংশ নেবার প্রয়োজন পড়তে পারে। 

IELTS ছাড়া সুইডেন

সুইডেন হলো আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের টিউশন-মুক্ত শিক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করে দেওয়া সেরা দেশগুলির একটি। দেশটির বেশকিছু স্কলারশিপ প্রোগ্রামের জন্য বিশেষভাবে কোনো IELTS স্কোরের প্রয়োজন হয় না। 

এক্ষেত্রে সুইডিশ ইনস্টিটিউট এবং অন্যান্য সংস্থার দ্বারা অর্থায়ন করা বিভিন্ন বৃত্তি বা প্রোগ্রামকে টার্গেটে রাখতে পারেন। 

IELTS ছাড়া ফ্রান্স

ফ্রান্সের বেশকিছু প্রোগ্রামের জন্য ফরাসি ভাষা দক্ষতার প্রয়োজন পড়তে পারে। এর পরিবর্তে লাগবে কোনো IELTS স্কোর। আর এই ধরণের স্কলারশিপগুলির ব্যবস্থা করে থাকে ফরাসি সরকার এবং ক্যাম্পাস ফ্রান্সের মতো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।

ইতি কথা

IELTS স্কোর হিসাবে কোন দেশে যেতে কত স্কোর লাগে এবং IELTS ছাড়া কোন কোন দেশে যাওয়া যায় সে সম্পর্কে তো জানলেন। এবার নিজেকে প্রস্তুত করে তোলার পালা। 

মনে রাখবেন বিদেশে উচ্চশিক্ষা নিতে চাইলে অবশ্যই সময়কে গুরুত্ব দিতে হবে, একাডেমিক লাইফে ফোকাস করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় স্কিল ডেভলপ করে নিতে হবে। 

আশা করি দ্রুতই আপনি আপনার স্বপ্নের দেশের প্রিয় ভার্সিটির ক্লাসে পছন্দের টপিক নিয়ে শিক্ষকের অমৃত বাণী উপভোগের সুযোগ পাবেন।

সম্পর্কিত আর্টিকেল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button

অ্যাডব্লকার ডিটেক্ট হয়েছে!

মনে হচ্ছে আপনি অ্যাড ব্লকার ব্যবহার করছেন। আমাদের সাইট ভিজিট করার জন্য আপনাকে অ্যাড ব্লকার বন্ধ করতে হবে। যদি অ্যাডব্লকার ব্যবহার না করেন, তাহলে পেজটি রিফ্রেশ করুন।