টেক জ্ঞান

ভার্চুয়াল র‍্যাম কি? কিভাবে কাজ করে এই ভার্চুয়াল র‍্যাম?

ভার্চুয়াল র‍্যাম কি?

ভার্চুয়াল র‍্যাম বলতে মূলত স্মার্টফোনের ইন্টারনাল স্টোরেজকে টেম্পোরারিভাবে র‍্যামে রূপান্তরিত করাকে বোঝায়। ভার্চুয়াল র‍্যামের দ্বারা এই প্রযুক্তিতে আমরা আমাদের মোবাইল বা কম্পিউটার এর ইন্টারনাল মেমরি কে মুল র‍্যাম এর সাহায্যকরী মাধ্যম হিসাবে ব্যাবহার করতে বা কাজে লাগাতে পারবো।

ভার্চুয়াল র‍্যাম কিভাবে কাজ করে?

ভার্চুয়াল র‍্যাম নিয়ে অনেকের মাঝে অনেক ভুল ধারনা থাকতে পারে যে, ৮ জিবি র‍্যামের স্মার্টফোনে ভার্চুয়ালি ৩ জিবি র‍্যাম বাড়ালে সেটা ১১ জিবি র‍্যামের স্মার্টফোনে রূপান্তরিত হয়। আসলে বেপারটা তেমন নাহ। ফোনের LPDDR র‍্যাম ভার্চুয়াল র‍্যাম থেকে অনেক বেশি ফাস্ট হয়ে থাকে। ভার্চুয়াল র‍্যাম বেশি হলে ফোনের মুল র‍্যামের সাহায্যকারী মাধ্যম হিসেবে কাজ করতে পারে।


বেপারটা এমন যে,ধরেন আপনি আপনার ফোনে ৫টি অ্যাপ চালাতে পারেন আপনার ফোনের র‍্যাম দিয়ে কিন্তু এখন ৬ষ্ঠ যে অ্যাপটি আপনার চালানো প্রয়োজন সেক্ষেত্রে যদি আপনার ফোনের ভার্চুয়াল র‍্যাম অন থাকে, স্মার্টফোন তখন  আপনার রানিং ৫টি অ্যাপ থেকে কোনো একটি অ্যাপ ভার্চুয়াল র‍্যামে ট্রান্সফার করে দিবে যেটা আপনার ফোনে কম র‍্যাম ব্যবহার করছে।
এভাবে আপনি আপনার ফোনের ৬ষ্ঠ অ্যাপটি ব্যবহার করতে পারবেন। ভার্চুয়াল র‍্যামে যে অ্যাপটি ট্রান্সফার হয়েছে সেটা যখন আবার ওপেন করবেন তখন স্মার্টফোন আবার ভার্চুয়াল র‍্যাম থেকে সে অ্যাপটি মুল র‍্যামে ট্রান্সফার করে দিবে বিনিময়ে মুল র‍্যামে থাকা যেকোনো একটি অ্যাপ ভার্চুয়াল র‍্যামে চলে যাবে। অতএব আপনারা বুঝতেই পারতেছেন যে ভার্চুয়াল র‍্যামটা আসলেই মূল র‍্যামের যে কাঠামো সেটাকে বৃদ্ধি করছে নাহ বরং মূল র‍্যামের যে পারফরম্যান্স সেটার উপর থেকে একটু চাপ কমাচ্ছে।

কাদের জন্য এই ভার্চুয়াল র‍্যাম?

স্মার্টফোনের  LPDDR র‍্যামই রেগুলার ইউজাদের জন্য যথেষ্ট আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে যথেষ্টর চাইতেও বেশি। আর বর্তমানে অনেক স্মার্টফোন গুলোতেই ৪ কিংবা ৬ জিবি এমনকি ১৬ জিবি অব্দি র‍্যাম থাকেই যা মোটামুটি হেবি গেমিং এর জন্য যথেষ্ট। অনেকেই আছেন যারা Game Streaming কিংবা High Resolution এ ভিডিও রেকর্ড করেন সাথে সাথে ব্যাকগ্রাউন্ডে অ্যাপ ওপেন রাখতে চান তাদের জন্য এই ভার্চুয়াল র‍্যাম কিছুটা হলেও বেনিফিট দিবে।


গেমিং কিংবা High Resolution এ ভিডিও রেকর্ডিং এর সময় ব্যাকগ্রাউন্ডে অ্যাপ ওপেন রাখা ছাড়া অন্যান্য ক্ষেত্রে খুব বেশি একটা সুবিধা পাবেন নাহ এই ভার্চুয়াল র‍্যাম এর কারণে। তাই শুধুমাত্র ভার্চুয়াল র‍্যাম বাড়াতে পারার ফিচারের কারণেই স্মার্টফোন কিনার সিদ্ধান্ত নাহ নেওয়াই ভালো। তবে যদি ব্যাপারটা এমন হয় আপনার একসাথে অনেক গুলো অ্যাপ চালানো লাগতেছে কিন্তু আপনার ফোনের র‍্যামের পরিমাণ স্বল্প ও সিস্টেম অনেক বেশি র‍্যাম ইউজ করছে তখন ভার্চুয়াল র‍্যামের ব্যাপারটা আপনার কাজে আসতে পারে যদি আপনার ফোনের র‍্যাম ভালো এবং বেশি হয় তাহলে এই ভার্চুয়াল র‍্যামটা খুব বেশি কাজে আসবে নাহ।

শেষ কথাঃ তো বন্ধুরা এই ছিলো ভার্চুয়াল র‍্যাম সম্পর্কে সকল তথ্যসমূহ। আশা করি আমাদের এই পোস্টটি থেকে কিছু জানতে পেরেছেন। ভার্চুয়াল র‍্যাম সম্পর্কিত পোস্টটি আপনার কাছে কেমন লেগেছে এবং কোনো প্রশ্ন থাকলে তা অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন। আমরা আপনার কমেন্টকে অধিক মূল্যয়ন করি।

বাংলা টেকস্পট

“বাংলা টেকস্পট” একটি প্রযুক্তি তথ্যের বাংলা প্লাটফর্ম। এখানে বিশ্বের প্রযুক্তি সম্পৃক্ত সকল জানা-অজানা তথ্য প্রকাশ করা হয়। “বাংলা টেকস্পট” এর লক্ষ্য সবার মাঝে প্রযুক্তির জ্ঞান ছড়িয়ে দেয়া। আপনি যদি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পর্কে সকল তথ্য পেতে চান তাহলে নিয়মিত চোখ রাখুন বাংলা টেকস্পট ব্লগে।

সম্পর্কিত আর্টিকেল

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to top button

অ্যাডব্লকার ডিটেক্ট হয়েছে!

মনে হচ্ছে আপনি অ্যাড ব্লকার ব্যবহার করছেন। আমাদের সাইট ভিজিট করার জন্য আপনাকে অ্যাড ব্লকার বন্ধ করতে হবে। যদি অ্যাডব্লকার ব্যবহার না করেন, তাহলে পেজটি রিফ্রেশ করুন।