ইসলামিক পোস্ট

যোহরের নামাজ কয় রাকাত? নিয়ত ও নিয়মসহ দেখে নিন কিভাবে পড়তে হয়

যোহর নামাজ কয় রাকাত, যোহরের নামাজের নিয়ম, জোহরের নামাজ কত রাকাত, যোহরের নামাজ পড়ার নিয়ম, যোহরের নামাজ কয় রাকাত কিভাবে পড়তে হয়?

আসসালামু আলাইকুম, আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আজকে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন যোহরের নামাজ কয় রাকাত, যোহরের নামাজের শেষ সময়, যোহরের নামাজের নিয়ত ও জোহরের নামাজ কিভাবে পড়তে হয়

তাই আজকের এই আর্টিকেলেটি মনোযোগ দিয়ে শেষ পর্যন্ত পড়বেন। চলুন তাহলে শুরু করা যাক আজকের এই আর্টিকেলটি।

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মাঝে ফজরের নামাজের পরে আসে যোহরের নামাজ। প্রত্যেক মুসলমান ভাই-বোনের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া ফরজ।

এই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের অনেক নিয়ম আছে। যোহরের ওয়াক্ত শুরু হয় যখন সূর্য পশ্চিম দিকে হেলে পড়ে। মাথার উপর থেকে যখন সূর্য পশ্চিম দিকে হেলে পড়বে তখন থেকেই যোহরের ওয়াক্ শুরু হয়।

যোহর নামাজ কয় রাকাত?

যোহরের নামাজ মোট ১২ রাকাত।

  • প্রথম চার রাকাত হলো সুন্নত,
  • পরের চার রাকাত ফরজ,
  • আবার দুই রাকাত সুন্নাত
  • সর্বশেষ দুই রাকাত নফল। 

 যোহরের নামাজের নিয়ম – কিভাবে যোহরের নামাজ পড়তে হয়?

বাকি চার ওয়াক্ত নামাজ যেভাবে পড়া হয় ঠিক সেভাবেই যোহরের নামাজ পড়তে হয়। যোহরের নামজের অন্য কোনো নিয়ম নেই। প্রথম চার রাকাত সুন্নাত নামাজের সময় প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহার সাথে অন্য সূরা পাঠ করবেন এবং চার রাকাত ফরজ নামাজের প্রথম দুই রাকাতে সূরা ফাতিহার সাথে অন্য সূরা মিলিয়ে পড়বেন এবং বাকি দুই রাকাতে শুধু সূরা ফাতিহা পাঠ করবেন।

সকল ফরজ নামজের প্রথম দুই রাকাত সূরা ফাতিহার সাথে অন্য সূরা মিলিয়ে পাঠ করতে হয় এবং বাকি দুই রাকাতের সময় শুধু ফাতিহা সূরা পাঠ করতে হয়। পরের দুই রাকাত সুন্নাত এবং নফল অন্য নামাজের মতোই পড়তে হয়। 

যোহরের নামাজের নিয়ত 

নামাজের ভিতরে এবং বাহিরে মোট ১৩টি ফরজ আছে। এই তেরোটি ফরজের মাঝে একটি হলো নিয়ত করা। নিয়ত অর্থ হলোঃ এরাদা করা বা ইচ্ছা করা। আরবিতে নিয়ত করা ফরজ না।

আমি যোহরের নামাজ পড়তেছি মনে মনে এই নিয়ত করলে ফরজ আদায় হয়ে যাবে। আত্মতৃপ্তির জন্য আপনি আরবিতে নিয়ত করতে পারেন তাতে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু এই আরবিতে নিয়ত করাকে ফরজ বা সুন্নাত মনে করতে পারবেন না। আরবিতে নিয়ত করলে অনেক সময় ভুল হয়ে যায় তাই বাংলাতেই নিয়ত করা উত্তম।

বাংলায় নিয়তঃ আমি কেবলামুখী হয়ে যোহরের চার রাকাত সুন্নাত নামাজ পড়তেছি আল্লাহু আকবার। 

এভাবেই বাকি চার রাকাত ফরজ, দুই রাকাত সুন্নাত এবং দুই রাকাত নফল নামাজের নিয়ত করবেন।

যোহরের নামাজের প্রথম চার রাকাত সুন্নাতে মুয়াক্কাদা পড়ার নিয়ম 

১ঃ প্রথমে অজু করে পাক-পবিত্র হয়ে কেবলামুখী হয়ে নিয়ত বাঁধবেন।

২ঃ তারপর দুইহাত কানের লতি বরাবর উঠাতে হবে (মেয়েরা কাঁধ পর্যন্ত দুই হাত উঠাবেন) তারপর আল্লাহু আকবার বলে পুরুষেরা নাভির নিচে এবং মহিলারা বুকের উপরের হাত বাঁধবেন। সব সময় ডান হাত উপরে রাখবেন এবং বাম হাত নিচে রাখবেন। 

৩ঃ হাত বাঁধার পর ছানা পাঠ করবেন। (সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা ওয়া তাবারাকাসমুকা ওয়া তাআলা জাদ্দুকা ওয়া লা-ইলাহা গাইরুক)।

বাংলা অর্থ: ‘হে আল্লাহ! তুমি পাক-পবিত্র, তোমার জন্য সমস্ত প্রশংসা, তোমার নাম বরকতময়, তোমার গৌরব অতি উচ্চ, তুমি ছাড়া অন্য কেহ উপাস্য নাই। 

৪ঃ ছানা পাঠ করার পর আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতনির রাজিম ও বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম পাঠ করে সূরা ফাতিহা পাঠ করবেন। এবং সূরা ফাতিহার সাথে অন্য একটি সূরা মিলিয়ে পাঠ করবেন।

৫ঃ সূরা পাঠ করার পর আল্লাহু আকবার বলে রুকুতে যাবেন এবং রুকু তাসবি পাঠ করবেন। তিন বার, পাঁচ বার পাঠ করতে পারেন। 

৬ঃ তারপর রুকু থেকে উঠার সময় সামি আল্লাহু লিমান হামিদা এবং সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে পাঠ করবেন রাব্বানা লাকাল হামদ।

৭ঃ তারপর আল্লাহু আকবার বলে সিজদায় যেতে হবে তখন পাঠ করবেন সুবহানা রাব্বিয়াল আলা। তিন বার পাঁচ বার পাঠ করতে পারেন।

৮ঃ এক সিজদা দেওয়ার পর সোজা হয়ে বসবেন, দুই সিজদার মাঝে সোজা হয়ে বসা ওয়াজিব। সোজা হয়ে না বসলে ওয়াজিব বাদ যাবে এবং সু-সিজদা না দিলে নামাজ বাতিল হবে। সোজা হয়ে বসে দ্বিতীয় সিজদায় যেতে হবে। সিজদায় গিয়ে সুবহানা রাব্বিয়াল আলা পাঠ করবেন তিন বার, পাঁচ বার বা সাত বার। 

৯ঃ সিজদা দেওয়া পর আল্লাহু আকবার বলে দাঁড়িয়ে যাবেন। এভাবে প্রথম রাকাত শেষ করবেন।

১০ঃ প্রথম রাকাত শেষ করার পর, এবার দ্বিতীয় রাকাতে সূরা ফাতিহার সাথে অন্য একটি সূরা মিলিয়ে পাট করবেন। এবং আগের নিয়মে রুকু এবং সিজদা করবেন। দুই সিজদা করার পর বসে তাশাহুদ পাঠ করবেন। 

তাশাহুদ আরবিতে 

 التَّحِيَّاتُ لِلَّهِ وَالصَّلَوَاتُ وَالطَّيِّبَاتُ ، السَّلَامُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ ، السَّلَامُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللَّهِ الصَّالِحِينَ ، أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ 

বাংলা উচ্চারণ: আত্তাহিয়্যাতু লিল্লাহি ওয়াস-সালাওয়াতু ওয়াত-ত্বায়্যিবাতু; আস-সালামু আলাইকা আইয়্যুহান নাবিয়্যু ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ; আসসালামু আলাইনা ওয়া আলা ইবাদিল্লাহিছ ছালিহীন; আশহাদু আল লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহু। 

বাংলা অর্থ :‘সব মৌখিক ইবাদত আল্লাহর জন্য। হে নবি! আপনার প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক এবং আল্লাহর অনুগ্রহ ও বরকত বর্ষিত হোক। শান্তি আমাদের ওপর এবং আল্লাহর নেক বান্দাদের ওপর বর্ষিত হোক। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত আর কোনো মাবুদ বা উপাস্য নাই এবং আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, নিশ্চয়ই মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও রাসুল। 

১১ঃ তাশাহুদ শেষ করার পর আল্লাহু আকবার বলে তৃতীয় রাকাতে জন্য দাঁড়িয়ে যাবেন। দাঁড়িয়ে যাওয়ার পর সূরা ফাতিহার সাথে অন্য একটি সূরা মিলিয়ে পাঠ করবেন। সূরা মিলিয়ে পাঠ করার পর রুকু করে সিজদায় চলে যাবেন আগের নিয়মের মতোই। সিজদা করার পর আবার আল্লাহু আকবার বলে দাঁড়িয়ে যাবেন চতুর্থ রাকাতের জন্য। 

১২ঃ চতুর্থ রাকাতে সূরা ফাতিহার সাথে অন্য একটি সূরা মিলানোর পর রুকু সিজদা করবেন এবং দুই সিজদা করার পর বসে তাশাহুদ, দুরুদ শরীফ, এবং দোয়া মাসুরা পাঠ করবেন।

দুরুদ শরীফ আরবিতে 

 اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ، وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ، كَمَا صَلَّيتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ، وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ، إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ، اللَّهُمَّ بَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ، كَمَا بَارَكْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ، إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ 

বাংলা উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা সাল্লি ‘আলা মুহাম্মাদিউওয়া ‘আলা আ-লি মুহাম্মাদিন কামা সাল্লাইতা ‘আলা ইবরাহীমা ওয়া আলা আ-লি ইব্রাহীমা ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ। আল্লা-হুম্মা বারিক ‘আলা মুহাম্মাদিউওয়া ‘আলা আলি মুহাম্মাদিন, কামা বা-রাকতা ‘আলা ইব্রাহীমা ওয়া ‘আলা আ-লি ইব্রাহীমা ইন্নাকা হামীদুম্ মাজীদ) 

বাংলা অর্থঃ হে আল্লাহ! আপনি (আপনার নিকটস্থ উচ্চসভায়) মুহাম্মাদকে সম্মানের সাথে স্মরণ করুন এবং তাঁর পরিবার-পরিজনকে, যেমন আপনি সম্মানের সাথে স্মরণ করেছেন ইবরাহীমকে ও তাঁর পরিবার-পরিজনদেরকে। নিশ্চয় আপনি অত্যন্ত প্রশংসিত ও মহামহিমান্বিত। হে আল্লাহ! আপনি মুহাম্মাদ ও তাঁর পরিবার পরিজনের ওপর বরকত নাযিল করুন যেমন আপনি বরকত নাযিল করেছিলেন ইবরাহীম ও তাঁর পরিবার-পরিজনের ওপর। নিশ্চয় আপনি অত্যন্ত প্রশংসিত ও মহামহিমান্বিত 

দোয়া মাসুরা আরবিতে

  اللّٰهُمَّ إِنِّيْ ظَلَمْتُ نَفْسِيْ ظُلْمْاً كَثِيْراً، وَلاَ يَغْفِرُ الذُّنُوْبَ إِلاَّ أَنْتَ، فَاغْفِرْ لِيْ مَغْفِرَةً مِنْ عِنْدِكَ وَارْحَمْنِي، إِنَّكَ أَنْتَ الغَفُوْرُ الرَّحِيْمُ 

বাংলা উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ইন্নি যলামতু নাফসি যুলমান কাসিরা। ওয়ালা ইয়াগ ফিরুয যুনুবা ইল্লা আনতা ফাগফির লি। মাগফিরাতাম মিন ইনদিকা। ওয়ার হামনি। ইন্নাকা আনতাল গাফুরুর রাহিম ।

বাংলা অর্থ / অনুবাদঃ হে আল্লাহ! আমি আমার নিজ আত্মার উপর বড়ই অত্যাচার করেছি, গুনাহ মাফকারী একমাত্র আপনিই। অতএব আপনি আপনা হতেই আমাকে সম্পূর্ণ ক্ষমা করুন এবং আমার প্রতি দয়া করুন। নিশ্চয়ই আপনি ক্ষমাশীল দয়ালু। 

১৩ঃ তাশাহুদ, দুরুদ শরীফ এবং দোয়া মাসুরা পাঠ করার পর আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ বলে সালাম ফিরাবেন। প্রথমে ডান দিকে এবং পরে বাম দিকে। সালাম ফিরানোর মাধ্যমে প্রথম চার রাকাত সুন্নাত নামাজ শেষ করবেন। 

যোহরের চার রাকাত ফরজ পড়ার নিয়ম 

১ঃ প্রথম চার রাকাত সুন্নাত নামাজের মতোই নিয়ত বাঁধবেন, শুধু সুন্নাতের জায়গায় ফরজ নামাজ আদায় করতেছি পাঠ করবেন। 

২ঃ তারপর ছানা পাঠ করবেন এবং আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতনির রাজিম ও বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম  পাঠ করে সূরা ফাতিহা পাঠ করবেন। এবং সূরা ফাতিহার সাথে অন্য একটি সূরা মিলিয়ে পাঠ করবেন। 

৩ঃ সূরা পাঠ করার পর আল্লাহু আকবার বলে রুকুতে যাবেন এবং রুকু তাসবি পাঠ করবেন। তিন বার, পাঁচ বার পাঠ করতে পারেন। 

৪ঃ তারপর রুকু থেকে উঠার সময় সামি আল্লাহু লিমান হামিদা এবং সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে পাঠ করবেন রাব্বানা লাকাল হামদ। রুকু হতে সোজা হয়ে দাঁড়ানো ওয়াজিব এবং সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে এক তাসবি পরিমাণ অপেক্ষা করতে হবে। 

৫ঃ তারপর আল্লাহু আকবার বলে সিজদায় যেতে হবে তখন পাঠ করবেন সুবহানা রাব্বিয়াল আলা। তিন বার পাঁচ বার পাঠ করতে পারেন। 

৬ঃ এক সিজদা দেওয়ার পর সোজা হয়ে বসবেন, দুই সিজদার মাঝে সোজা হয়ে বসা ওয়াজিব। সোজা হয়ে না বসলে ওয়াজিব বাদ যাবে এবং সু-সিজদা না দিলে নামাজ বাতিল হবে। সোজা হয়ে বসে দ্বিতীয় সিজদায় যেতে হবে। সিজদায় গিয়ে সুবহানা রাব্বিয়াল আলা পাঠ করবেন তিন বার, পাঁচ বার বা সাত বার।

৭ঃ সিজদা দেওয়া পর আল্লাহু আকবার বলে দাঁড়িয়ে যাবেন। এভাবে প্রথম রাকাত শেষ করবেন। 

৮ঃ প্রথম রাকাত শেষ করার পর, এবার দ্বিতীয় রাকাতে সূরা ফাতিহার সাথে অন্য একটি সূরা মিলিয়ে পাট করবেন। এবং আগের নিয়মে রুকু এবং সিজদা করবেন। দুই সিজদা করার পর বসে তাশাহুদ পাঠ করবেন। 

৯ঃ তাশাহুদ শেষ করার পর আল্লাহু আকবার বলে তৃতীয় রাকাতে জন্য দাঁড়িয়ে যাবেন। দাঁড়িয়ে যাওয়ার পর শুধু সূরা ফাতিহা পাঠ করবেন। সূরা পাঠ করার পর রুকু করে সিজদায় চলে যাবেন আগের নিয়মের মতোই। সিজদা করার পর আবার আল্লাহু আকবার বলে দাঁড়িয়ে যাবেন চতুর্থ রাকাতের জন্য। 

১০ঃ  চতুর্থ রাকাতে ও সূরা ফাতিহা পাঠ করবেন । সূরা পাঠ করার পর রুকু সিজদা করবেন এবং দুই সিজদা করার পর বসে তাশাহুদ, দুরুদ শরীফ, এবং দোয়া মাসুরা পাঠ করবেন। 

১১ঃ তাশাহুদ, দুরুদ শরীফ এবং দোয়া মাসুরা পাঠ করার পর আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ বলে সালাম ফিরাবেন। প্রথমে ডান দিকে এবং পরে বাম দিকে। সালাম ফিরানোর মাধ্যমে চার রাকাত ফরজ নামাজ শেষ করবেন। 

যোহরের দুই রাকাত সুন্নাতে মুয়াক্কাদা পড়ার নিয়ম 

১ঃ প্রথমে নিয়ত করে আল্লাহু আকবার বলে হাত বাধবেন। তারপর ছানা পাঠ করবেন এবং আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতনির রাজিম এবং বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম পাঠ করে সূরা ফাতিহার সাথে অন্য একটি সূরা মিলিয়ে পাঠ করবেন। 

২ঃ সূরা পাঠ করার পর আল্লাহু আকবার বলে রুকু এবং সিজদা করবেন আগের নিয়মের মতোই। দুই সিজদা করার পর আল্লাহু আকবার বলে দাঁড়িয়ে যাবেন দ্বিতীয় রাকাতের জন্য।

৩ঃ দ্বিতীয় রাকাতে ও সূরা ফাতিহার সাথে অন্য একটি সূরা মিলিয়ে পাঠ করতে হবে। সূরা পাঠ করার পর আল্লাহু আকবার বলে রুকু এবং সিজদাইয় চলে যাবেন আগের নিয়মের মতোই। দুই সিজদা করার পর সোজা হয়ে বসে তাশাহুদ, দুরুদ শরীফ, এবং দোয়া মাসুরা পাঠ করে, সালাম ফিরেনোর মাধে দুই রাকাত সুন্নাত নামাজ শেষ করবেন। 

যোহরের দুই রাকাত নফল পড়ার নিয়ম 

উপরের দুই রাকাত সুন্নাত নামাজের মতোই দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করবেন। 

দুই রাকাত নফল নামাজের নিয়ত 

 نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ لِلَّهِ تَعَا لَى رَكْعَتِ صَلَوةِالْنَفْلِ مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِ يْفَةِ اَللَّهُ اَكْبَرُ- 

বাংলা উচ্চারণঃ নাওয়াইতুয়ান উসালি্লয়া লিল্লাহি তা’আলা রাকাআতি ছালাতিল নফলে মোহাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার। 

বাংলা অর্থ বা অনুবাদঃ জোহরের দুরাকাত ফরয নফল নামাজ আদায় করার উদ্দেশ্যে কিবলামুখী হয়ে নিয়্যত করলাম, আল্লাহু আকবার।

যোহরের নামাজের সময় 

উপরেই দেওয়া আছে যে সূর্য যখন পশ্চিম দিকে হেলে পরে তখন থেকেই যোহরের ওয়াক্ত শুরু হয়। সূর্য যখন মাথার উপর থেকে পশ্চিম আকাশে হেলে পরে তখন থেকেই যোহরের নামাজ পড়া শুরু হয়। 

যোহরের নামাজের শেষ সময় 

আছরের নামাজের শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত যোহরের নামাজের সময় থাকে। শীতকালে বাংলাদেশে মোটামুটি সাড়ে তিনটা পর্যন্ত যোহরের নামাজের সময় থাকে কিন্তু গরম কালে একটু বেশি সময় থাকে।

সম্পর্কিত আর্টিকেল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button

অ্যাডব্লকার ডিটেক্ট হয়েছে!

মনে হচ্ছে আপনি অ্যাড ব্লকার ব্যবহার করছেন। আমাদের সাইট ভিজিট করার জন্য আপনাকে অ্যাড ব্লকার বন্ধ করতে হবে। যদি অ্যাডব্লকার ব্যবহার না করেন, তাহলে পেজটি রিফ্রেশ করুন।