কোন কোন দিন রোজা রাখা হারাম, যে ৫দিন রোজা রাখা নিষেধ
জেনে নিন, কোন কোন দিন রোজা রাখা হারাম, ঈদের দিন রোজা রাখা যাবে কিনা, বছরের কোন দিনগুলোতে রোজা রাখা নিষিদ্ধ।
আমাদের মাঝে অনেকেই আছে যারা জানেই না যে ঈদের দিনসহ ৫টি এমন দিন রয়েছে, যে দিনগুলোতে রোজা রাখা হারাম বা নিষেধ।
যারা জানেন না, চিন্তা নেই। আজকের আর্টিকেলে আমি বছরের কোন কোন দিন রোজা রাখা হারাম ও যে ৫দিন রোজা রাখা নিষেধ সেগুলোর নাম উল্লেখ করেছি।
ইসলাম ধর্মের ৫টি স্তম্ভের মধ্যে রোজা অন্যতম একটি স্তম্ভ। রোজার জন্য মহান আল্লাহ তায়ালা পুরো একটি মাস তার বান্দাদের জন্য বরাদ্দ রেখেছেন। রমজান মাস ছাড়াও আরও অনেক নফল রোজাও অনেকেই রাখেন।
কোরআন ও হাদিসে রোজা পালনকারীদের জন্য অনেক সওয়াব ও পুরস্কারের কথা ঘোষণা দেয়া আছে। সকল মুসলিম উম্মাহের উপর ১ মাস রোজা পালন করা ফরজ। এছাড়াও হাদিসে প্রত্যাক সপ্তাহ, মাস ও বছরের বিশেষ কিছু দিনে নফল রোজা রাখার কথা বর্ণিত আছে।
কোন কোন দিন রোজা রাখা হারাম
রোজার ৩০ দিন বা রমজান মাস ছাড়া বছরের যেকোন দিন নফল রোজা রাখা যায়। কিন্তু বছরের এমন ৫টি দিন আছে, যে দিনগুলোতে কোন প্রকার নফল ও ফরজ রোজা রাখা যায় না। হাদিসে এই দিনগুলোতে রোজা রাখতে নিষেধ বা হারাম বলা হয়েছে।
যে ৫দিন রোজা রাখা নিষেধ
হাদিসে যে ৫টি দিনে রোজা রাখা হারাম করা হয়েছে-
- ঈদুল ফিতরের দিন (১ শাওয়াল),
- ঈদুল আজহার দিন (১০ জিলহজ)
- জিলহজ মাসের ১১ তারিখ,
- জিলহজ মাসে ১২ তারিখ,
- এবং জিলহজ মাসে ১৩ তারিখ।
আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বলেন, ‘নবী (সা.) ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার দিন রোজা রাখতে নিষেধ করেছেন।’
(সহীহ বুখারী, হাদিস: ১৯৯২; মুসলিম, হাদিস: ৮২৭)
আরেকটি হাদিসে আবু উবাইদা (রা.) বলেন, আমি উমর ইবনুল খাত্তাব (রা.)-এর সঙ্গে ঈদের নামাজ আদায় করেছি। তিনি বলেছেন, এ দুই দিনে রোজা রাখাতে নবী (সা.) নিষেধ করেছেন। প্রথম দিন হলো- যখন তোমরা রোজা শেষ করো; আর দ্বিতীয় দিন হলো- যখন তোমরা কোরবানির গোস্ত খাবে।
(বুখারী: ২/২৭২; হাদিস: ১৮৫১)
উল্লেখ্য, বিরতী ছাড়া সারা বছর রোজা রাখা নিষেধ। কেউ সারা বছর নফল রোজা রাখতে চাইলে তার করণীয় হলো, বিরতীহীনভাবে না রেখে এক দিন পরপর রাখা। এটি ছিল দাউদ (আ.) এর আদর্শ। রাসূল (সা.) এটিকে সর্বোত্তম পদ্ধতি হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।