আমরা যারা ব্লগিং করি, তারা মুলত ব্লগ থেকে আয়ের উদ্দেশ্য নিয়েই ব্লগিং শুরু করি। আয় করার উদ্দেশ্যে অনেকেই নতুন ব্লগিং শুরু করেছেন আবার অনেকে ব্লগিং করে আয়ও করছেন।
যারা নতুন ব্লগিং শুরু করেছেন এবং ভাবছেন অ্যাডসেন্সে আবেদন করবেন তাদের জন্যই মুলত এই পোস্ট। পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন আশা করি উপকৃত হবেন।
গুগল অ্যাডসেন্স মুলত আপনার ব্লগে এড দেখিয়ে আয় করবে, এবং সে আয়ের কিছু পার্সেন্টেজ আপনাকে দিবে। তবে তার জন্য আপনার ব্লগ গুগল অ্যাডসেন্স এপ্রুভাল হতে হবে। যদি অ্যাপ্রুভাল না হয় চিন্তার কিছু নেই। অ্যাডসেন্স পলিসি অনুযায়ী ব্লগে পোস্ট করতে থাকেন, এক পর্যায়ে যখন ব্লগ আবেদনের উপযোগী হবে তখন আবেদন করে অ্যাপ্রুভাল নিয়ে ব্লগে অ্যাড দেখিয়ে আয় করতে পারবেন।
অ্যাডসেন্স আবেদনের পূর্বে নিচের বিষয়গুলো ফলো করুন, এগুলো আমি আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে লিখেছি। আশা করছি আমার এই পোস্ট ফলো করে আপনি কিছুটা হলেও উপকৃত হবেন।
ব্লগ অ্যাডসেন্স এর উপযোগী করে তোলা
অ্যাডসেন্সে আবেদনের পূর্বে আপনাকে অবশ্যই আপনার ব্লগ অ্যাডসেন্স এর উপযোগী করে তুলতে হবে। তাহলে আপনাকে দীর্ঘ সময় অপেক্ষায় না থেকে এবং রিজেক্ট এর শিকার হতে হবে না। আপনি যদি আপনার ব্লগে ভালো কন্টেন্ট রাখেন, এবং দৈনিক ভালো পরিমাণের ভিজিটর নিয়ে আসতে পারেন তাহলে আপনি খুব শীঘ্রই অ্যাডসেন্স পাবেন এবং ভালো পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
কিভাবে বুঝবেন ব্লগ আবেদনের উপযোগী হয়েছে কিনা?
ব্লগ আবেদনের উপযোগী হয়েছে কিনা তা বুঝার জন্য নির্দিষ্ট কোন রুলস – রেগুলেশন নেই। তবে অ্যাডসেন্সের প্রোগ্রাম পলিসি, কন্টেন্ট পলিসি রয়েছে এগুলো ফলো করে পোস্ট করতে থাকবেন এবং ব্লগে যদি নিয়মিত ভালো পরিমাণ ভিজিটর আসে তাহলে ব্লগে অ্যাডসেন্সের জন্য আবেদন করে দিন।
ভিজিটর বেশী না হলে কি হবে?
ভিজিটর বেশী না হলে আপনি অ্যাডসেন্স পেয়ে যাবেন ঠিকই কিন্তু মাস শেষে দেখা যাবে আপনার ব্যালেন্সে মাত্র ২ – ৩ ডিলার যোগ হয়েছে। তখন আপনি হতাশ হয়ে যাবেন। তাই অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রুভাল নেওয়ার আগে অবশ্যই ব্লগে অন্তত ২ থেকে ৩ হাজার দৈনিক ভিজিটর আনার চেষ্টা করুন।
পোস্ট সংক্রান্ত যেকোন মতামত কমেন্টে জানান। আমি আপনাদের কমেন্ট অনুযায়ী নতুন আর্টিকেল শেয়ার করবো।
ধন্যবাদ সবাইকে