লাইলাতুল ক্বদরের রাতটি চেনার কিছু আলামত হাদিসে পাওয়া যায়। তা নিন্মরুপঃ
- (১) রাতটি গভীর অন্ধকারে ছেয়ে যাবে না।
- (২) নাতিশীতোষ্ণ হবে। অর্থাৎ গরম বা শীতের তীব্রতা থাকবে না।
- (৩) মৃদুমন্দ বাতাস প্রবাহিত হতে থাকবে।
- (৪) সে রাতে ইবাদত করে মানুষ অপেক্ষাকৃত অধিক তৃপ্তিবোধ করবে।
- (৫) কোন ঈমানদার ব্যক্তিকে আল্লাহ স্বপ্নে হয়তো তা জানিয়েও দিতে পারেন।
- (৬) ঐ রাতে বৃষ্টি বর্ষণ হতে পারে।
- (৭) সকালে হালকা আলোকরশ্মিসহ সূর্যোদয় হবে। যা হবে পূর্ণিমার চাঁদের মত।
রেফারেন্স: [সহীহ ইবনু খুযাইমাহঃ ২১৯০, সহীহ বুখারীঃ ২০২১, সহীহ মুসলিমঃ ৭৬২]
লাইলাতুল কদর সম্পর্কে হাদিস
আর মহান আল্লাহর বাণীঃ ‘‘নিশ্চয়ই আমি নাযিল করেছি এ কুরআন মহিমান্বিত রাত্রিতে। আর আপনি কি জানেন মহিমান্বিত রাত্রি কী? মহিমান্বিত রাত্রি হাজার মাসের চেয়েও শ্রেষ্ঠ। সেই রাত্রে প্রত্যেক কাজের জন্য ফেরেশতাগণ এবং রূহ তাদের প্রতিপালকের আদেশত্রুমে অবতীর্ণ হয়। সেই রাত্রি শান্তিই শান্তি, ফজর হওয়া পর্যন্ত।’’ (আল-কদর [ক্বদর]ঃ ১-৫)
ইবনু ‘উয়ায়না (রহ.) বলেন, কুরআন মাজীদে যে স্থলে (مَا أَدْرَاكَ) উল্লেখ করা হয়েছে আল্লাহ তা‘আলা সে সম্পর্কে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে অবহিত করেছেন। আর যে স্থলে (وَمَا يُدْرِيكَ) উল্লেখ করা হয়েছে তা তাঁকে অবহিত করাননি।
লাইলাতুল কদর কত তারিখে
লাইলাতুল কদর কত তারিখ এ বিষয়ে ৪০টির অধিক মত রয়েছে। তবে কোরআন ও হাদিসের আলোকে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য মত হলো রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতের যে কোনো এক রাতে অর্থাৎ ২১, ২৩, ২৫, ২৭ বা ২৯তম রাতে।