ঘরে বসে আয় করুন – অনলাইনে ইনকাম করার সেরা ১০ উপায় (Online Income)
ফ্রি টাকা ইনকাম, সরকারি অনলাইন ইনকাম, স্টুডেন্ট অনলাইন ইনকাম, অনলাইন ইনকাম সাইট, অনলাইন ইনকাম সাইট ২০২৩, অনলাইন ইনকাম বিকাশ পেমেন্ট।
১০ বছর আগে অনলাইনে টাকা ইনকাম করা যতোটা কঠিন ছিলো তা কিন্তু অনেক সহজ হয়ে গেছে। এখন থেকে ১০ বছর আগেও অনলাইনে টাকা ইনকাম করার কথা কেউ ভাবতেও পারতো না।
হাটি হাটি পা পা করে ডিজিটাল বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে যাওয়া আমাদের এই প্রাণের প্রিয় বাংলাদেশ আজ অনেক পরিবর্তন দেখা যায়। অনলাইনে টাকা ইনকাম করার স্বপ্ন আজকে সত্যি হয়েছে। অনলাইনে টাকা ইনকাম করে স্বচ্ছলতা আসছে অনেক পরিবারে।
আধুনিক এই বিশ্বে অফিস, আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে প্রায় সব কাজ এখন অনলাইনে হচ্ছে। আপনি যদি আগে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য আবেদন করতে চাইতেন তখন আপনাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভর্তি ফর্ম নিতে হতো। কিন্তু এখন আপনি দেশের যেকোনো প্রান্তে বসে অনলাইনের মাধ্যমে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। চাকরির আবেদনের ক্ষেত্রেও এই বিষয় এখন।
এসব বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন কাজ অনলাইনে সম্পাদনের জন্য অনলাইনে বিভিন্ন কাজের জন্য সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এই সব কাজ করার জন্য আপনার প্রয়োজন একটি ডিজিটাল ডিভাইস। আমি এটা গ্যারান্টি দিতে পারবো না যে আপনি শুরুতেই অনলাইন থেকে লাক্ষ লাক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
তবে আপনার ধৈর্য্য থাকে এবং আপনি যদি একটি নির্দিষ্ট কাজে পারদর্শী হয়ে উঠতে পারেন তাহলে অনলাইন থেকে অনেক বড় পরিমানের অর্থ প্রতিমাসে ইনকাম করতে পারবেন।
কিভাবে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করবেন? (How to Earn Money from Online?)
বাংলাদেশে অনলাইনে টাকা ইনকামের বিষয়টি আমাদের নতুন সমাজের কাছে নতুন হলেও এটি কিন্তু সারা বিশ্বে শুরু হয়েছে অনেক আগেই। অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম এর জন্য আপনার বিশেষ কিছু প্রয়োজন হবে না। আপনার মেধা কাজে লাগিয়ে আপনি খুব সহজেই কোনো কাজে দক্ষ হয়ে সেটা থেকে নিয়মিত অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারবেন।
আপনি ছেলে-মেয়ে, ছাত্র-ছাত্রী, চাকরিজীবী যাই হন না কেনো আপনি অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনি যদি একজন ছাত্র অথবা ছাত্রী হয়ে থাকেন আর আপনি নিজের পড়াশোনার খরচ নিজেই জোগার করতে পারেন তাহলে মন্দ হবে না।
প্রতিদিন তো অনেক সময় ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটার ইত্যাদিতে ব্যায় করেন থাকেন কিন্তু আপনি চাইলেই এই সময়কে কাজে লাগিয়ে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার জন্য ডিজিটাল ডিভাইস, ইন্টারনেট সংযোগ আর কাজ করার ইচ্ছা থাকতে হবে। কিভাবে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করবেন সেই বিষয় নিয়ে নিচে আলোচনা করবো। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার উপায়।
অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার সেরা ১০টি উপায় – 10 Ways of Online Income
অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে কে বা না চায়, সবারই ইচ্ছে থাকে অনলাইন থেকে কিছু অর্থ আয় করার। অনলাইনে টাকা ইনকাম করার অনেক সোর্স আছে কন্তু তার মাঝে ভালো খারাপ আছে।
আমরা আজকের পোস্টে অনলাইন থেকে ইনকাম করার সেরা ১০টি উপায় জানাবো। বর্তমানে অসংখ্য মাধ্যমে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করা যায় তার মাঝে সেরা ১০টি উপায় নিচে দেওয়া হলো।
১। অনলাইন ইনকাম এর জনপ্রিয় ধারণা – ফ্রিল্যান্সিং (Make Money Online)
অনলাইনে যে পদ্বতিতে সবথেকেবেশি মানুষ টাকা ইনকামকরা সেটা হলো ফ্রিলান্সিং। বাংলাদেশে বেকারত্ব কমাতে এই ফ্রিলান্সিং বড় ভুমিকা পালন করে। এবং তার সাথে অনেক দক্ষ মানুষ ফ্রিলান্সিং কাজ করে দেশকে রিপ্রেসেন্ট করছে।
ফ্রিলান্সিং এর মাধ্যমে বাংলাদেশকে সারা বিশ্বের কাছে তুলে ধরেছে। আগে অনেক বড় বড় দেশ গুলো জানতো না যে বিশ্বের মানচিত্রে আমাদের বাংলাদেশ বলে একটা দেশ আছে। সেসব দেশ গুলোর কাছে পরিচিত করছে আমাদের দেশের ফ্রিল্যান্সারগণ।
মাসে মাসে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স তারা এনে দিচ্ছে বাংলাদেশে। এয়াই এই ফ্রিলান্সিং এ যোগদান করে আপনি টাকা ইনকাম করার পাশাপাশি গৌরবেও অংশীদার হতে পারবেন।
চলুন তাহলে জেনে নেই কিভাবে এই কাজ শুরু করবেন। ফ্রিলান্সিং বলতে মূলত বিভিন্ন ধরনের কাজ কে বুঝায়। আপনি যে কাজে বেশি দক্ষ সে কাজটি নিদির্ষ্ট পারিশ্রমিক এর বিনিময়ে করে দেওয়া।
এখানে আপনার কাজ করার আর আপনার ইমপ্লয়ার তার নিদির্ষ্ট কোনো জায়গা নেই। আপনি ঘরে বসেই আপনার কাজ সম্পাদন করতে পারবেন। এবং আপনার ক্লায়েন্ট হবে বিভিন্ন দেশের। সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তন হতে থাকবে।
যাই হোক, সবার প্রথমে এখানে আপনার দরকার একটি নিদির্ষ্ট বিষয়ে দক্ষতা। তা হতে পারে গ্রাফিক্স ডিজাইনিং, ফটো এডিটিং, ওয়েব ডিজাইনিং, ওয়েব সাইট মেকিং, কপি রাইটিং, কন্টেন্ট রাইটিং ও লোগো ডিজাইন ইত্যাদি।
এসবের মাধে যেকোনো একটি কাজের মাধে আপনার দক্ষতা থাকলে আপনি ফ্রিলান্সিং করতে পারবেন। কিন্তু আপনি যদি একাধিক কাজে দক্ষতা থাকে তাহলে আপনি অধিক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
কাজ শেখার পর আপনাকে বিভিন্ন ফ্রিলান্সিং সাইটে আপনার তথ্য দিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। তারপর আপনি যে কাজে পারদর্শী সে কাজ গুলো সাইটে মেনশন দিতে হবে।
তবে একটা বিষয় আপনাকে মনে রাখতে হবে বর্তমানে অনলাইনে টাকা ইনকাম করার সাইট অনেক আছে। কিন্তু সঠিক ও ভালো সাইট খুব একটা নেই। তাই যেকোনো ওয়েবসাইটে কাজ শুরু করার আগে ভালো ভাবে সাইটি দেখে নিবেন।
যদি সব কিছু ঠিক থাকে এবনফ আপনার কাছে ভালো মনে হয় তাহলেই আপনি সাইটে কাজ শুরু করুন। তারপর আপনি যে কাজ পারেন সে কাজ তার প্রমানের জন্য আপনার পূবেই সম্পাদিত কোনো কাজ থাকলে সেটা পোর্টফোলিও আকারে ওই ওয়েব সাইটে সাজিয়ে রাখতে হবে।
এতে আপনার ক্লায়েন্ট এসে আপনার পোর্টফলিও দেখে পছন্দ করলে আপনার কাজে নিয়োজিত করবে। এক্ষেত্রে আমাদের পরামর্শ থাকবে ভালো একটা পোর্টফলিও তৈরি করার জন্য। কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নতুন হিসাবে ওই পোর্টফলিও গুলোই আপনাকে কাজ পেতে সহয়তা করবে।
প্রথম প্রথম আপনাকে কাজ পেতে একটু অসুবিধা হতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনার পরিচিত কেউ ফ্রিলান্সার থাকে তার রেফারেন্স নিতে পারেন। এই রেফারেন্স এর মাধ্যমে কাজ পেয়ে আপনার প্রথম ক্লায়েন্ট যখন আপনাকে ভালো একটা রিভিউ দিবে তখন দেখবেন কাজ আসতেই থাকবে।
তাছাড়া প্রথমে গিয়ে বিভিন্ন কন্টেস্টে অংশগ্রহন করতে পারেন এবং অখান থেকেও ক্লায়েন্ট পেতে পারেন। আমাদের মতে ফ্রিলান্সিং এর ক্ষেত্রে কাজ পাওয়াটা একটু কঠিন।
২। অনলাইন ইনকাম এর অন্যতম জনপ্রিয় উপায় – ইউটিউবিং (Online Income)
বাংলাদেশের অনেক বড় বড় ইউটিউবার আছে যাদের কারো কারো মাসের ইনকাম ৪০ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। আপনি চাইলে ইউটিউবে ভিডিও বানিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ভিডিও বানানোর জন্য আপনার ক্যামেরা না থাকলেও চলবে, আপনি মোবাইল দিয়ে ভিডিও বানিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারেন। বড় বড় ইউটিউবার প্রথম মোবাইল দিয়ে ভিডিও বানিয়ে যাত্রা শুরু করেছে। যাত্রা শুরু করার পর যখন সফল হয়েছে তখন দামি দামি গেজেট ব্যবহার করে কাজ করে।
আপনার কন্টেন্ট যদি ভালো থাকে তাহলে প্রয়োজনীয় বিষয় নিয়ে ভিডিও বানাতে পারেন এবং খুব তারাতারি আপনি ভিউয়ার পেয়ে যাবেন। তবে এক্ষেত্রে ছোট একটি টিপস দিয়ে রাখি আপনাদের। আপনারা যদি সত্যিই প্রফেশনালভাবে ইউটিউবে কাজ করতে চান তাহলে ভিডিওর খুব ভালো করে এডিটিং করতে হবে।
তারপর সর্বনিন্ম এক হাজার সাবস্ক্রাইবার হয়ে গেলে ও ন্যূনতম ভিউ টাইম হয়ে গেলে আপনি মানিটাইজেশনের জন্য আবেদন করতে পারবেন। তারপর প্রতিটা ভিডিওতে মানিটাইজেশন এক্টিভেট করে নিলেই আপনার টাকা ইনকাম শুরু হয়ে যাবে।
তাছাড়া বর্তমানে ইউটিউব কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ছাড়াও আপনি বিভিন্ন জায়গা থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন স্পন্সারের মাধ্যমে। দেখা গেলো কোনো কোম্পানির কণ একটা পন্যের মার্কেটিং এর জন্য আপনার ভিডিওতে তার ওই পন্য এড দিতে সম্মতি প্রকাশ করলো আপনাকে তারা আপনার চাহিদা মতো পেমেন্ট করবে।
৩। ব্লগিং করে টাকা ইনকাম (Blogging Online Income)
ব্লগিং করে টাকা ইনকাম বেশ পুরাতন হলেও কিন্তু অনেক কার্যকারী একটা পদ্বতি। ব্লগিং করে প্রতি মাসে ভালো পরিমানের অর্থ ইনকাম করা যায়।
ব্লগিং মূলত একটি ডিজিটাল নিউজ পেপারের মতো। আপনি আপনার ইচ্ছা মতো কোনো একটি বিষয় নিয়ে লিখবেন যার ওই বিষয়টি জানা দরকার সে এসে পড়বে।
আপনি এখন যে লিখাটি পড়ছেন এটিও একটি ব্লগ। অতএব বুঝতে পারছেন বিষয়টা লেখালেখির। যদি আপনার ইচ্ছা থাকে তাহলে খুব সহজেই এখান থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
আপনার যে বিষয়ে আগ্রহ অভিজ্ঞতা বেশি সে বিষয় নিয়ে ব্লগিং করলে তা সবথেকে বেশি কাজে দিবে। তাই আপনি যে বিষয়ে পারদর্শী সেই নিশেই কাজ করতে পারবেন। নিশ বলতে মূলত নিদির্ষ্ট কিছু বিভাগ বুঝায় যেমনঃ খেলাধুলা, টেকনোলজি, আইন, রান্না, জীবনী, ভ্রমন ইত্যাদি।
উদাহরণ স্বরূপ ভ্রমনের ক্ষেত্রে আপনি কোনো এক জায়গায় ভ্রমনে গিয়ে কি কি অভিজ্ঞতা হয়েছিলো সেটি নিয়ে একটি বিস্তারিত ব্লগ পোস্ট করতে পারবেন। এখন মূল বিষয় হলো আপনি কোথায় লেখালেখি করবেন। এক্ষেত্রে সব থেকে ভালো হবে আপনি নিজে একটি ব্লগ সাইট তৈরি করুন।
এখন খুব সহজেই খরচ ছাড়াই ব্লগ সাইট তৈরি করা যায়। তবে এখন প্রায় মানুষেই ফ্রী সাইট গুলোকে কম বিশ্বাস করে। তাই আমাদের পরামর্শ থাকবে প্রথমে কিছু টাকা দিয়ে ডোমেন কিনে হোস্টিং ঠিক করে আকষর্ণীয় একটি সাইট তৈরি করে সেখানে লেখালেখি শুরু করুন দেখবেন ফলাফল ভালো হবে।
ব্লগিং শুরু করার জন্য একটি ডট কম ডোমেন কিনবেন সাথে এক জিবি হোস্টিং এবং একটি ফ্রী থিম এই তিনটা জিনিসেই যথেষ্ট। এসব কাজ করার জন্য তিন হাজার টাকার মতো খরচ হতে পারে।
এইভাবে খরচ করে ব্লগিং করলে আপনার ব্র্যান্ডিং টা ভালো হবে ও ইনকামের পরিমানো অনেক বেশি ভালো হবে ফ্রী সাইটের তুলনায়। আর ভবিষ্যতে আপনার সাইটের দাম অনেক বেশি হবে। এক্ষেত্রে একটি ভালো সাইটের দাম কয়েক লক্ষ পর্যন্ত হয়ে যায়।
ফ্রী সাইট গুলোর ক্ষেত্রে আপনাকে পুরো ডোমেন দিবে না গুগোল। কিন্তু আপনি পাবেন সাব ডোমেইন। এভাবে ব্লগ দাইট খোলার ক্ষেত্রে আপনি খুব সহজেই ব্লগস্পট দিয়ে ১০ মিনিটেই একটি ব্লগ সাইট খুলতে পারবেন। এবং আপনি মোবাইল দিয়ে এবং কম্পিউটার উভয় এর মাধ্যমেই কাজ করতে পারবেন।
তাই এখন যারা মোবাইল দিয়ে অনলাইনে টাকা ইনকামের কথা ভাবছেন তাদের জন্য এটি সেরা একটি সুযোগ হতে পারে। তবে এতো কিছুর পাশাপাশি যদি আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং এর উপর কিছুটা ধারনা থাকে তাহলে কিন্তু আপনি খুব সহজেই আপনার ব্লগ সাইটে প্রচুর পরিমাণে ট্রাফিক বা ভিজিটর আনতে পারবেন। যার মাধ্যমে আপনি আপনার ইনকামের পরিমান বহুগুনে বাড়িয়ে তুলতে পারবেন।
৪। ভিডিও দেখে অনলাইনে টাকা ইনকাম (Online Income)
ভিডিও দেখে অনলাইনে যে টাকা ইনকাম করা যায়তা হয় তো অনেকেই জানেন না। অনলাইনে ভিডিও দেখে টাকা ইনকাম করা যায় তা অনেকের কাছে অবাক মনে হলেও এটাই সত্যি বর্তমানে এমন কিছু ওয়েবসাইট আছে যেখান থেকে টাকা ইনকাম করা যায় ভিডিও দেখে।
অনলাইনে কিন্তু ভিডিও দেখে ইনকাম করা যায় এমন অনেক ভূয়া সাইট আছে। তাই মনে রাখবেন যারা আপনাকে দিয়ে ভিডিও দেখিয়ে পেমেন্ট করবে না এসব প্রতারণার কাছ থেকে আপনাকে সবসময় সর্তক থাকতে হবে।
সাধারণত এই ধরনের ওয়েবসাইট গুলো বিভিন্ন চটকদারী এড প্রদর্শনের মাঝে আপনাকে চেষ্টা করবে তাদের ওয়েবসাইটে ভিডিও দেখিয়ে ফাঁদে ফেলার।তাই একটা বিষয় সব সময় মনে রাখবেন অনলাইনে কখনোই কোনো ওয়েবসাইট আপনাকে ভিডিও দেখিয়ে বেশি পেমেন্ট দিবে না।
যখনি দেখবেন কোনো ওয়েবসাইট মাত্রাতিরিক্ত পেমেন্ট কথা বলছে এবং তাদের ওয়েবসাইটে টাকা ইনকামের কথা বলছে তখনি খুব ভালো করে ওয়েবসাইটটিকে দেখে নিবেন। যদি সত্যিকারে অর্থেই আসল বলে মনে হয় তখনেই কাজ করা শুরু করবেন।
৫। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে টাকা ইনকাম (Make Money Online with Affiliate)
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বর্তমানে জনপ্রিয় অর্থ উপার্জনের মাধ্যম হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশেও এখন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার এর সংখ্যা বাড়ছে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং খুব সহজ একটি মাধ্যম। কিন্তু এই কাজে যদি স্পষ্ট ধারণা না থাকে তাহলে আপনি এই কাজ করতে পারবেন না। চলুন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বিষয়টা জেনে নেই।
এখন বিশ্বজুড়ে হাজার হাজার ই-কমাঈস সাইট আছে। আবার এদের ভিতরে অনেকগুলো পন্য ডেলিভারি দিয়ে থাকে সারা বিশ্বে। এসব ই-কমার্স সাইটে প্রতিটিতে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং নামে একটি সেকশন আছে।
আপনি চাইলেই সেখানে খুব সহজেই অ্যাকাউন্ট খুলে তাদের মেম্বার হতে পারেন। তারপর আপনাকে একটা গ্রুপ তৈরি করতে হবে বন্ধুদের নিয়ে। এরকম গ্রুপ আমাদের সবারেই আছে সোশ্যাল মিডিয়াতে।
এখন ওই নিদির্ষ্ট ই-কমার্স সাইট থেকে আপনি বিভিন্ন পন্যের বিবরণ সহ ওই লিঙ্কে কপি করে বিভিন্ন গ্রুপে পাঠাতে পারেন। তখন যদি কেউ ওই লিঙ্কে ক্লিক করে তাহলে আপনি সেটার নিদির্ষ্ট পরিমানে একটি কমিশন পেয়ে যাবেন।
এক্ষেত্রে আপনার কমিশনের জন্য দাম বাড়বে না। পন্যটি আসল দাম দিয়ে মানুষ কিনতে পারবে আপনার পাঠানো লিংক থেকে। তবে এধরেন কাজ করার আগে আপনাকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর পাশাপাশি ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কেও পরিষ্কার ও সুস্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে।
সেক্ষেত্রে অনেক টাকা ইনকাম অরা সম্ভব যদি আপনি ভালো একটি কমিউনিটি তৈরি করতে পারেন। এছাড়া আপনি চাইলেই এখন থেকে ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারেন। তার জন্য প্রয়োজন হবে অনেক গুলো একটিভ ইমেইল।
আপনি যদি হাজার খানির মতো এক্টিভ ইমেইল ম্যানেজ করতে পারেন তাহলে আপনি অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। বর্তমানে অ্যামাজন এফিলিয়েশন প্রোগ্রাম বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
৬। ওয়েবসাইট বানিয়ে টাকা ইনকাম (Online Income)
আপনারা হয় তো জানেন যে ভালো একটি ওয়েবসাইটের দাম লাখ টাকা ছাড়িয়ে যায়। আপনারা চাইলেও এমন ওয়েবসাইট বানিয়ে এবং সচল করে বেছি দামে বিক্রি করে টাকা ইনকাম করতে পারেন। এখন বর্তমানে ওয়েবসাইট তৈরি করা ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খোলার মতোই সহজ।
কিন্তু যে সাইট গুলো খুব সহজে বানানো যায় তাতে তেমন কোনো চাহিদা থাকে না। কিন্তু আপনার সাইটে যদি পরিমিত পরিমান ট্রাফিক থাকে সেক্ষেত্রে দাম পাবেন ভালো। যে সাইট গুলোর বেশি দামে বিক্রি করা হয় সেগুলো দক্ষ ওয়েবসাইট ডিজাইন দ্বারা তৈরি করা হয়।
তাই আপনারা যদি চান একজন ভালো ওয়েব ডিজাইনার হয়ে থাকেন বা ওয়েব ডিজাইনিং শিখতে পারেন সেক্ষেত্রে আপনি নিজে নিজে ভালো ওয়েবসাইট বযনিয়ে সেখান থেকে পর্যাপ্ত কন্টেন্ট আপলোড করে সাইটি সচল করে ভালো দামে বিক্রি করতে পারবেন।
আপনি চাইলেই ইউটিউব থেকে ফ্রিতে ভিডিও দেখে বা ভালো কোনো ওয়েব ডিজাইন র্কোস করে ওয়েব ডিজাইনিং শিখতে পারেন। আবার অনেক ক্ষেত্রেনতুন ওয়েবসাইট ও বিক্রি করতে পারেন যদি আপনার হাতে ক্লায়েন্ট থাকে।
আর এই কাজের ভালো একটি দিক হলো আপনি যদি এই কাজে একবার দক্ষ হয়ে উঠতে পারেন তবে আপনার কাছে বিভিন্ন জায়গা থেকে কাজের সুযোগ আসবে আবার চাকরি জীবনে এই দক্ষতা আপনার অনেক কাজে আসবে।
৭। ড্রপশিপিং করে টাকা ইনকাম (Earn Money Online)
ড্রপশিপিং এর মাধ্যমে খুব সহজেই অনলাইনে ইনকাম করা যায়। ড্রপশিপিং হলো অনলাইন ব্যবসার অন্তর্গত একটি কাজ। তাহলে চলুন জেনে নেই ড্রপশিপিং কি? উদাহরণের মাধ্যমে বুঝালে আপনি খুব সহজেই বুঝতে পারবেন।
আপনি মনে করেন, আপনার এলাকায় পরিচিত কেউ কোনো একটা পণ্য তৈরি করে তা বাজারে ৫০০ টাকা মূল্যে বিক্রি করলো কিন্তু আপনি খুজ নিয়ে দেখতে পেলেন এই পন্যটি শহরে বড় বড় মার্কেটে বা কোনো ই-কমার্স সাইটে এর মূল্য ১৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এরকম কিন্তু সচরাচর আমাদের দেশে দেখা যায়। ধরেন কোনো এক সবজি কৃষকদের কাছ থেকে ১০ টাকা কেজি মূল্যে সবজি কিনে তা বড় বড় বাজারে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি করে।
আপনি চাইলেই নিজেই বড় একটিই-কমার্স সাইটে প্রোফাইল খুলে ওই সব পণ্য বিক্রি করতে পারেন। আপনি চাইলে আপনার এলাকার যে পণ্য বিক্রি করে তাদের থেকে কম দামে কিনে তা বেশি দামে বিক্রি করতে পারেন।
তাতে আপনি অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এটাই মূলত ড্রপশিপিং। আপনার এলাকায় যদি এমন কোনো সুযোগ থাকে তাহলে অবশ্যই তা আপনি কাজে লাগাবেন।
৮। অনলাইনে ছবি বিক্রি করে টাকা ইনকাম (Online Taka Income)
আমাদের জেনারেশনে বর্তমানে স্মার্টফোন নেই এমন খুব কম পাওয়া যাবে। অনেকের কাছে আবার বিভিন্ন ধরনের ক্যামেরা বিদ্যমান। আপনি চাইলেই আপনার এই মোবাইলের মাধ্যমে খুব সহজেই টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
এক্ষেত্রে আপনাকে শুধু বিভিন্ন আকর্ষণীয় ছবি তুলতে হবে। আপনি চাইলেই নিজের ফোন দিয়ে অথবা ক্যামারা দিয়ে ছবি তুলতে পারেন। তারপর একটু এডিট করে অথবা Raw ফাইলই বিভিন্ন ওয়াবসাইটে আপলোড করে প্রতিটি ছবির জন্য ৫০ ডলার থেকে ৫০০ ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারেন।
আপনি যদি অল্প ফটো এডিটিং জানেন তাহলে আপনার জন্য অনেক সুবিধা করতে পারবেন। Photoshop, Illustrator ইত্যাদির মাধ্যমে ছবির আকর্ষণীয়তা অনেক ক্ষেত্রেই বাড়ানো যায়।
অনলাইনে ছবি বিক্রি করার জন্য অনেক ওয়েবসাইট পেয়ে যাবেন। তার মধ্যে, Shutterstock, 500px, Envato ইত্যাদি খুবই জনপ্রিয় এবং সব থেকে বেশি পে করে থাকে ফটোগ্রাফারদেরকে।
ইন্ডিয়ার সন্দিপ মহেশ্বরীর কথা অনেকেই শুনে থাকবেন।এখন প্রত্যেকটা টেকনোলজি বিষয়ক সেমিনার বা স্টেজ সো-তে তিনিই প্রধান অতিথি থাকেন। তিনিই অন্যতম উদাহরণ যে ফটোগ্রাফিক নিজের পেশা হিসেবে নিয়েছিলেন।
এই সেক্টরে তিনিই ভীষণ সফল একজন মানুষ। তার নিজের ছবি বিক্রির একটি ওয়েবসাইট আছে যেখানে দেশ-বিদেশের ১০০০ এর বেশি ফটোগ্রাফার কাজ করেন থাকে।
আপনি এসব ওয়েবসাইট গুলো তে যে ছবি গুলো বিক্রি করবেন সেগুলো আবার ওই ওয়েবসাইট থেকেই বিভিন্ন মানুষ ক্রয় করে নিবে। এসব ছবি গ্রাফিক ডীজাইনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিভিন্ন বইয়ের কাভারে, ব্যানারে, ফেস্টনে এসব ছবি বিক্রি করা হয়ে থাকে।
৯। অনলাইনে পড়িয়ে টাকা ইনকাম (Online Income)
আমাদের আসে পাশে অনেক মানুষদেখতে পাবেন যারা কিনা বাড়ি বাড়ি গিয়ে বা কোচিং সেন্টার খুলে সেখানে পড়াচ্ছে। এভাবে পড়িয়ে মাসে মাসে অনেক টাকা ইনকাম করে যাচ্ছে। কিন্তু এভাবে বাসায় গিয়ে পড়িয়ে সেক্ষেত্রে অনেক সময় যাতায়াতেই অর্থ চলে যায়।
আবার অন্যদিকে কোচিং সেন্টারের জায়গা জোগার করাও একটু কষ্ট হয়ে যায়। এই জন্য বাংলাদেশে বর্তমানে যে বিষয়টি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে তা হলো অনলাইন টিচার কনসেপ্ট।
আপনি চাইলেই ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে পড়িয়ে টাকা ইনকাম করতে পারেন। আপনি জেনে অভাক হবেন যে বর্তমানে বিশ্বে ৫০ শতাংশ শিক্ষক অনলাইনে শিক্ষা দিচ্ছেন।
ভারতেও এর জনপ্রিয়তা রয়েছে অনেক বেশি। বর্তমানে আমাদের দেশেও এরকম বেশ কয়েকটি প্লাটর্ফম রয়েছে যেখানে অনলাইনে পড়ানো হয়। তার মধ্যে টেন মিনিট স্কুল অন্যতম।
আপনি তাদের থেকেও অনেক ধারণা নিতে পারবেন। প্রথমে হয়তো বভিন্ন বাধা বিপত্তি আসবে, ছাত্র খুঁজতে বেগ পেতে হবে, কিন্তু পরবর্তীতে অনেক সুবিধা পেতে পারেন এখান থেকে।
১০। অনলাইন রিসেলিং করে টাকা ইনকাম (Make Money Online)
অনলাইনে পন্য বিক্রি করা বর্তমানে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশে বেশ বড় বড় কয়েকটি অনলাইন ব্যবসা আছে। আপনি চাইলেই এই ব্যবসা গুলো শুরু করতে পারেন। কিন্তু সেক্ষেত্রে আপনাকে বড় পর্যায়ে শুরু করতে হবে।
আর যাতে এতে আপনার পুরো সময়টা ব্যয় করতে হবে এবং সাথে অনেক দিকে খেয়াল রাখতে হবে যা কি না ছাত্রজীবনে করা একটি কষ্টকর হয়ে যায়।
সেক্ষেত্রে আপনি অনলাইন রিসেলিং করে বেশ ভালো ইনকাম করতে পারবেন। অনলাইন রিসেলিং মূলত অনলাইনে পন্য বিক্রি করার কাজ কিন্তু এক্ষত্রে আপনাকে বেশি কিছু করা লাগবে না।
আপনি শুধু একটি রিসেলিং কোম্পানিতে আপনার অ্যাকাউন্ট খুলবেন এবং এখান থেকে পন্যের ছবি বিবরণ নিয়ে আপনি নিজে একটা পেজ খুলে বিক্রি করবেন।
রিসেলিং কোম্পানির কাছে অনেক কম দামে পন্য পাবেন এবং সেই গুলো আপনি একটু বেশি দামে বিক্রি করে আপনি লাভ করবেন। বেশি কিছু রিসেলিং কোম্পানি বাংলাদেশে রয়েছে যার মধ্যে শপআপ অন্যতম।
১১। অনলাইন সার্ভে টাকা ইনকাম (Online Income)
অনেক কোম্পানি আছে যারা কি না গ্রাহকের কাছ থেকে ফিডব্যাক পাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের সার্ভে করে থাকে। অনেক দেশে তো সরকারী ভাবে বিভিন্ন সার্ভে হয়ে থাকে।
দেশের সার্বিক অবস্থায় দেশের জনগণ কতটা সন্তুষ্ট এটা জানার জন্য সরকার এই সার্ভে গুলো করে থাকে। তবে বড় বড় কোম্পানি গুলো এই সার্ভের ব্যবস্থা করে থাকে।
এইসব সার্ভের সাধারণত পেইড হয়ে থাকে। আপনি চাইলেই এসব সার্ভে প্রতি মাসে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারেন। বড় বড় কোম্পানি গুলোতে একটি সার্ভের জন্য ১০০ ডলার পর্যন্ত খরচ করে থাকে। এসব সার্ভে গুলো নিদির্ষ্ট একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে থাকে।
তার জন্য আপনাকে প্রথমে ওই নিদির্ষ্ট ওয়েবসাইটে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। তারপর আপনার সব ইনফর্মেশন দিয়ে অ্যাকাউন্ট আপডেট করে দিলেই আপনি কাজ শুরু করার জন্য প্রস্তুত।
তবে প্রতিটি সার্ভেতেই আপনি কুয়ালিফাই হতে পারবেন না। শুধু মাত্র যে সার্ভে গুলো আপনার অ্যাকাউন্ট এ দেওয়া তথ্যের সাথে মিলবে সেগুলোই আপনি করতে পারবেন।
অনলাইন ইনকাম ও বিকাশে পেমেন্ট (Online Income)
একটা বিষয় সম্পর্কে আপনাদের পরিষ্কার ধারণা থাকা উচিৎ। অনলাইন ইনকাম করে বিকাশে টাকা আনার ব্যাপারে আপনাদের অনেকেরই মনে একটি প্রশ্ন আসে যে অনলাইনের টাকা কি করে সরাসরি বিকাশে আনার কোনো উপায় আছে কি না?
একদম সহজ করে এক কথায় যদি উত্তরটি দিতে চাই তাহলে এটির উত্তর হবে না। আপনি অনলাইনের আয় করা টাকা সরাসরি আপনার বিকাশে আনতে পারবেন না।
তবে এখানে কিছু বিষয় আছে। আপনি কোন সাইট থেকে আয় করছেন, সাইটটি কি বাংলাদেশী কোনো এডমিন দ্বারা পরিচালিত কি না বা তারা বিকাশ পেমেন্ট সার্পোট করে কি না ইত্যাদি বিষয় গুলো এখানে মুখ্য ভূমিকা পালন করে।
এমন অনেক অনলাইন ইনকাম সাইট আছে যেখানে তারা সরাসরি বিকাশে ক্যাশ উইথড্র করার সুযোগ দিয়ে থাকে। সে ধরনের ওয়েবসাইটিতে যদি আপনি কাজ করে থাকেন এবং সাইটটি যদি রিয়েল হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি বিকাশে পেমেন্ট নিতে পারবেন।
তাছাড়াও আপনি যদি কোনো বাহিরের দেশের কোনো ওয়েবসাইটে কাজ করে থাকেন যারা মূলত বিকাশে পেমেন্ট করে না বরং অনা কোনো পেমেন্ট গেটওয়াতে পেমেন্ট করে থাকে সেক্ষেত্রে আপনি কোনো থার্ড পার্টি ব্যবহার করে পেমেন্ট রিসিভ করতে পারবেন। তবে সেক্ষেত্রে যার মাধ্যমে আপনি পেমেন্টটি আনতে চাচ্ছেন তার বিশ্বস্ততা ও স্বচ্ছতার বিষয়টি অবশ্যই খেয়াল রাখবেন।
মোবাইল দিয়ে অনলাইনে ইনকাম (Earn Money Online)
বিকাশের মতো অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে এই যে মোবাইল দিয়ে অনলাইনে টাকা ইনকাম করা যায় কি না। সত্যি কথা বলতে মোবাইল দিয়ে অনলাইনে টাকা ইনকাম করা যায় না।
উপরে অনলাইনে টাকা ইনকাম করার বিষয় গুলো সম্পর্কে আমরা যে আলোচনা করেছি সেই কাজ গুলো করতে গেলে একটি মোবাইলের থেকে একটি কম্পিউটার দিয়ে করলে বেশি ভালো হবে।
আমরা বলছি না যে মোবাইল দিয়ে অনলাইন থেকে একদমই টাকা ইনকাম করা যাবে না। অনেক বড় বড় ইউটিউবার আছে যারা মোবাইল দিয়ে ভিডিও বানিয়ে আজকে লাখ লাখ সাবস্ক্রাইবার ও ভিউস পেয়েছেন তার সাথে অনেক টাকা ইনকাম করেছেন।
এমন ও মানুষ আছে যারা শুধু মাত্র মোবাইল দিয়ে ফেসবুকে একটি পেজ পরিচালনার মাধ্যমে তাদের অনলাইন ব্যবসা দিনকে দিন বড় করেই যাচ্ছে।
কিন্তু সত্যি কথা বলতে গেলে আপনি যদি সত্যিকার অর্থেই অনলাইন থেকে ভালো আয় করতে চান তাহলে কিন্তু আপনার একটি ভালো মানের কম্পিউটার প্রয়োজন হবে, তা না হলে আপনার পক্ষে প্রফেশনালভাবে অনলাইনে কাজ করা অনেক কষ্ট কর হয়ে যাবে।
শেষ কথা: আমরা এখানে অনলাইনে টাকা ইনইকামের সেরা ১০টি উপায় এবং বিভিন্ন অনলাইনে টাকা ইনকামের টিপস আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। এখন সিদ্বান্ত আপনার উপর আপনি কোন পদ্বতিতে কাজ করবেন।
আশা করি, এই আর্টিকেলটিতে আলোচিত সকল বিষয়ই আপনারা সম্পূর্ণভাবে বুঝতে পেরেছেন। তারপরও যদি কোনো বিষয়ে কোনো প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না।
আর এই আর্টিকেলটি যদি আপনার একটু উপকারে এসে থাকে তাহলে প্রিয়জনদের কাছে শেয়ার করতে ভুলবেন না। শুভ হোক আপনার অনলাইন যাত্রা, ধন্যবাদ।