লাইফ স্টাইলশিক্ষা ও স্বাস্থ্য

হস্ত মৈথুনের উপকারিতা কি ও ক্ষতিকর দিক

জানুনঃ হস্ত মৈথুনের উপকারিতা কি, হস্ত মৈথুনের ক্ষতিকর দিক, হস্ত মৈথুন থেকে বাচার উপায় কি?

বর্তমান সমাজে হস্তমৈথুন ভয়ংকর এক রুপ নিয়েছে। আমাদের সমাজের বেশীরভাগ মানুষই বর্তমানে এই হস্তমৈথুন এর সাথে জড়িত।

যুবক-যুবতিরা নিজেদের যৌন ক্ষুধা মেটাতে এই হস্তমৈথুন এর পথ বেছে নেয়। হস্তমৈথুন ইদানিং আরও ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এই বিষয়টিকে বর্তমানে খুবই সামান্য ও তুচ্ছ করে দেখা হচ্ছে। পূর্বে এই হস্তমৈথুনকে পাপ ও গুনাহের কাজ মনে করা হতো। কিন্তু বর্তমান যুবসমাজ হস্তমৈথুনকে খুবই সহজ মনে করছে।

হস্তমৈথুন খুবই লজ্জা ও ঘৃণ্য কাজের মধ্যে একটি। হস্তমৈথুন করার ফলে মহিলারা তাদের কুমারীত্ব হারায়। পুরুষরা তাদের সহবাসের সময়কালকে ছোট করে ফেলে এই হস্তমৈথুন করে।

সুতরাং এই হস্তমৈথুন থেকে আমাদের দূরে থাকা উচিত। ধর্মীয় দিক থেকে হস্তমৈথুন সম্পূর্ণ নিষেধ হলেও, বিজ্ঞান বলছে হস্তমৈথুন করার কিছু উপকারিতা ও ক্ষতিকর দিক রয়েছে।

মনে রাখবেন, যে কাজ করলে নিজের শরীরে উপকারের সাথে অপকার হয় সে কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখা উচিৎ। চলুন জেনে নেই হস্ত মৈথুনের উপকারিতা কি ও ক্ষতিকর দিক কি?

আরও পড়ুনঃ  কিভাবে লম্বা হওয়া যায়? লম্বা হওয়ার প্রাকৃতিক উপায়
হস্ত মৈথুনের উপকারিতা কি ও ক্ষতিকর দিক
হস্ত মৈথুনের উপকারিতা কি ও ক্ষতিকর দিক

হস্ত মৈথুনের উপকারিতা কি?

  • হস্তমৈথুন শরীরের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি এবং এন্ডোর্ফিন নিঃসরণ করে, যা মস্তিস্ককে তৃপ্তি দেয়।
  • হস্তমৈথুন আবেগ, বিষণ্ণতা ও উদ্বেগ কমায়।
  • এটি মানুষকে কোন সঙ্গী ছাড়াই যৌন তৃপ্তি দেয়।
  • এটি মানুষকে ভালো ঘুমোতে সাহায্য করে।
  • হস্ত মৈথুনের ফলে মানুষের উদ্বেগ কমে

হস্ত মৈথুন যেমন উপকার করে, তার চাইতে বেশী মানব দেহের ক্ষতি করে। এই হস্তমৈথুন মানুষ তখনি করে, যখন তার যৌন আকাঙ্ক্ষা চরম পর্যায়ে পৌছায়।

হস্তমৈথুন করার আরেকটি বড় কারণ হলো সঙ্গী না থাকা। যখন কারো যৌন ক্ষুধা পায়, তার উচিৎ তার লাইফ পার্টনারের সাথে সহবার করা।

কোনক্রমেই হস্তমৈথুন করা উচিৎ নয়, প্রয়োজনে নিজেকে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করে হস্তমৈথুন থেকে নিজেকে সরিয়ে আনুন, জীবন সুন্দর হবে।

আরও পড়ুনঃ  চিকন হওয়ার উপায় কি? ১০টি সহজ ও স্বাস্থ্যকর উপায়

এবার চলুন হস্তমৈথুন এর ক্ষতিকর দিক সমন্ধে জানি, যেগুলো জানলে আপনি হস্তমৈথুন থেকে নিজেকে মুক্তি দিতে আরও সচেতন হয়ে উঠবেন।

হস্ত মৈথুনের ক্ষতিকর দিক

  • নিয়মিত হস্তমৈথুন নেশায় পরিণত হয়, যা স্বাভাবিক জীবনের ক্ষরি করে।
  • এটি লিঙ্গের ক্ষতির কারণ হতে পারে, অধিক ঘর্ষণের ফলে জ্বালা-পোড়া হতে পারে।
  • হস্তমৈথুন লিঙ্গের ভেতরে ইনফেকশন ঘটাতে পারে।
  • এটি মানুষকে ব্যস্ত করে ফেলে, ফলে আপনি স্বাভাবিক জীবনে অমনোযোগী হয়ে পড়বেন।
  • এটি করার ফলে, আপনার নিজের নিয়ন্ত্রণ হারাবেন।
  • হস্তমৈথুন পুরুষদের সহবাসের সময় কমিয়ে দেয়।
  • হস্তমৈথুন নারী-পুরুষদের সম্পর্ক নষ্টের কারণ।
  • হস্তমৈথুন মহিলাদের ক্যান্সারের কারণ হতে পারে।
  • হস্তমৈথুন মহিলাদের কুমারীত্ব নষ্ট করে।
  • ধর্মীয় মতে হস্তমৈথুন নিষিদ্ধ।
  • হস্তমৈথুন করলে দ্রুত বীর্যপাত হয়ে যায়।
  • হস্তমৈথুন করলে শুক্রাণু কমে যায়।
  • এটির ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।
  • এটি করলে বীর্য পাতলা হয়ে যায়।
  • চোখের দৃষ্টি শক্তি কমে যায়।
  • স্মরনশক্তি কমে যায় হস্তমৈথুন করলে।
  • লিঙ্গ ছোট ও চিকন হয়ে যায়।
  • খাবার হজম ক্ষমতা কমে যায়।
  • শরীরে ওজন কমে যেতে পারে।
  • মেজাজ খিটিখিটে হয়ে যায়।

আশা করি বুঝতে পেরেছেম হস্তমৈথুন করলে কত ধরনের ক্ষতি হয়। যে কাজে উপকারের চাইতে অপকার বা ক্ষতিকর দিক বেশী, সে কাজ থেকে বিরত থাকাই উচিৎ।

হস্তমৈথুন থেকে বাঁচার উপায় কি?

আপনি যদি হস্তমৈথুন থেকে নিজেকে বিরত রাখতে চান, তাহলে রোজা রাখতে পারেন অথবা ধ্যান করতে পারেন।

অনেকেই ধ্যান ও রোজা রাখার ফলে এই হস্তমৈথুন থেকে নিজেকে সড়িয়ে আনতে পেরেছে। শুধুমাত্র অধ্যাবসায় করার মাধ্যমেই এর থেকে সহজে মুক্তি পাওয়া যায়।

পর্নোগ্রাফি ও সেসব বন্ধুদের থেকে দূরে থাকুন, যারা আপনাকে হস্তমৈথুন করতে উদ্যত করতো। আশা করি ভালো ফল পাবেন।

সর্বশেষ ও সবচাইতে সেরা চিকিৎসা হলো বিবাহ করা। বিবাহের মাধ্যমেই হস্তমৈথুন থেকে সবচেয়ে সহজে নিজেকে মুক্তি দিতে পারবেন।

শেষ কথাঃ আশা করি হস্ত মৈথুনের উপকারিতা কি ও ক্ষতিকর দিক কি? জানতে পেরেছেন। আজকের আর্টিকেল আপনাদের উপকারে আসবেই। এরকম নিয়মিত স্বাস্থ টিপস পেতে আমাদের সাথে থাকুন, ধন্যনাদ।

সম্পর্কিত আর্টিকেল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button

অ্যাডব্লকার ডিটেক্ট হয়েছে!

মনে হচ্ছে আপনি অ্যাড ব্লকার ব্যবহার করছেন। আমাদের সাইট ভিজিট করার জন্য আপনাকে অ্যাড ব্লকার বন্ধ করতে হবে। যদি অ্যাডব্লকার ব্যবহার না করেন, তাহলে পেজটি রিফ্রেশ করুন।