বিভাগ বহির্ভূতব্যবসা আইডিয়া

অনলাইন ব্যবসায় সফল হওয়ার উপায়

অনলাইন ব্যবসায় সফল হওয়ার উপায় ?

আজকের আর্টিকেল থেকে আপনারা অনলাইন ব্যবসায় সফল হওয়ার উপায় নিয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন। অনেকেই আছে যারা অনলাইনের মাধ্যমে ব্যবসা করে।

তবে অনলাইনে মাধ্যমে ব্যবসা করে সফল হতে পারছেন না কিভাবে অনলাইনের মাধ্যমে ব্যবসা করে আপনারা সফল হতে পারবেন সেই বিষয় নিয়েই মূলত আপনাদের সঙ্গে আজকের আর্টিকেলের মধ্যে সকল তথ্য শেয়ার করব। তাহলে চলুন অনলাইন ব্যবসা সফল হওয়ার কিছু উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।

অনলাইন ব্যবসায় সফল হওয়ার উপায়

০১/ ধৈর্য ধরে কাজ করতে হবে

আপনি নতুন অবস্থায় কিন্তু প্রচুর পরিমাণে বিক্রি করতে পারবেন না। আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে মানুষ যখন জানবে আপনাকে চিনবে তখন আস্তে আস্তে মানুষের আপনার উপরে ভরসা করা শুরু করবে এবং তারপরে আস্তে আস্তে আপনার ব্যবসার বিক্রি বাড়বে।

প্রথম ব্যবসা শুরু করলে ১ থেকে ৬ মাসের মধ্যে কোন বিক্রি নাও হতে পারে তবে আপনাকে ধৈর্য হারা হলে হবে না। ধৈর্য ধরে লেগে থাকতে হবে। একসময় গিয়ে দেখবেন আপনার বিক্রি আগে থেকে অনেক গুনে বেড়ে গিয়েছে এবং আপনি বিক্রি করে সামলাতে পারছেন না, তবে এর জন্য আপনাকে ধৈর্য ধরে কাজ করে যেতে হবে।

আজকে ব্যবসা শুরু করলেন আজকে থেকে আপনার প্রচুর পরিমাণে বিক্রি হবে এবং আপনি প্রচুর পরিমাণে অর্থ লাভ করতে পারবেন, এরকমের আশা যদি আপনার মনের ভেতরে থাকে তাহলে ব্যবসা আপনার জন্য নয় এই বিষয়টি সবসময় মাথায় রাখবেন।

মাস শেষে চাকরি করলে যে রকম ভাবে আপনি বেতন পাবেন ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে কিন্তু সেরকমের নয় কোন মাসে লাখ টাকা পর্যন্ত ও আয় হতে পারে আবার কোন মাসে লস হতে পারে। এই সকল বিষয়গুলো মাথায় রেখেই আপনাকে ব্যবসা করতে হবে সেটা অনলাইন হোক বা অফলাইনের মাধ্যমে হোক যে কোন জায়গাতেই হোক না কেন সেটা কোন ম্যাটার করে না।

০২/ সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রমোশন করতে হবে

বর্তমান যুগ এখন তথ্য প্রযুক্তির যুগ বা সোশ্যাল মিডিয়ার যুগ এই সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে যদি আপনি আগের দিনের মতো দোকান দিয়ে তারপরে ব্যবসা করেন বা অনলাইনের মাধ্যমে আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রচার-প্রচারণা না করেন, তাহলে কিন্তু আপনি খুব বেশি একটা বিক্রি করতে পারবেন না।


অনলাইনের মাধ্যমে যদি আপনি সারা দেশের মানুষের কাছে বিক্রি করতে পারেন। তাহলে কিন্তু প্রচুর পরিমাণে বিক্রি করতে পারবেন। আর যদি দোকানের মাধ্যমে বিক্রি করেন, তাহলে নির্দিষ্ট একটা কাস্টমারের কাছে আপনি প্রোডাক্ট বিক্রি করতে পারবেন খুব বেশি পরিমাণে বেশি করতে পারবেন না মাসে আর অনলাইনে মার্কেটিং করে যদি বিক্রি করেন, তাহলে পুরো বিশ্বের মানুষের কাছে বা পুরো বাংলাদেশের মানুষের কাছে বিক্রি করতে পারবেন এবং মাস শেষ হলে কিন্তু আপনার বেশ ভালো পরিমাণই একটা মুনাফা প্রতি মাসে থাকবে।


অনলাইনে মাধ্যমে বিক্রি করতে হলে আপনি অনলাইনে মাধ্যমে মার্কেটিং করে মানুষকে জানাবেন আপনার product সম্পর্কে! তারপরে কেউ যখন প্রোডাক্ট অর্ডার করবে তখন তার কাছ থেকে ফোন নাম্বার তার বাসা ঠিকানা এবং নাম এবং সে যে প্রোডাক্টটি অর্ডার করবে সেগুলো সবকিছু বিস্তারিত জেনে নিয়ে তারপরে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে তার বাসার মধ্যে হোম ডেলিভারি করে দিবেন প্রোডাক্টটি এবং সে প্রোডাক্ট পেয়ে টাকা কুরিয়ার কোম্পানিকে দিয়ে দেবে এবং আপনি তারপরে কুরিয়ার কোম্পানির কাছ থেকে টাকা নিয়ে নিতে পারবেন।

বর্তমান সময় এখন বেশিরভাগ মানুষেরাই অনলাইনের মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনা করছে তাই আপনি যদি অনলাইনের মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনা না করেন, তাহলে কিন্তু আপনি সবার থেকে পিছিয়ে থাকবেন। তাই ব্যবসার বিক্রি বাড়াতে হলে অবশ্যই অনলাইনে মাধ্যমে ফেসবুকের মাধ্যমে মার্কেটিং করতে হবে কিংবা বিভিন্ন অফার দিতে হবে ডিসকাউন্ট দিতে হবে এবং আপনার অনলাইন স্টোর এর মাধ্যমে যাতে তারা কেনাকাটা করে এর জন্য তাদেরকে আগ্রহী করে তুলতে হবে।

ফেসবুকের মাধ্যমে মার্কেটিং করতে পারেন, এরপরে ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে মার্কেটিং শুরু করতে পারেন কিংবা ইউটিউবের মাধ্যমে ভিডিও মার্কেটিং করতে পারেন। বিভিন্ন সোশ্যাল media গুলোর মধ্যে আপনার কোম্পানির প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সম্পর্কে মানুষকে জানাতে হবে, তাহলে মানুষ আপনার কোম্পানি বা আপনার কোম্পানির সার্ভিস গুলো বা কোন প্রোডাক্ট থাকলে সেগুলো কিনতে আগ্রহী হবে।

০৩/ কাস্টমারদের ভাল সার্ভিস দেওয়ার চেষ্টা করবেন

সব সময় কাস্টমারদেরকে আপনি সর্বোচ্চ ভালো সার্ভিস দেওয়ার চেষ্টা করবেন কখনোই কাস্টমারদেরকে ঠকাবেন না। একটা কথা মনে রাখবেন কাস্টমার যদি সন্তুষ্ট হয় তাহলে কিন্তু সে আরো কয়েকজন কাস্টমার আপনার দোকানে নিয়ে আসবে। প্রডাক্ট বিক্রি করার পরে যদি কোন সমস্যা হয় তাহলে আপনি চেঞ্জ করে দিবেন অথবা টাকা ফেরত করে দিবেন।

Product বিক্রি করার সময় আপনি ভালো ব্যবহার করলেন কিন্তু প্রোডাক্ট বিক্রি হয়ে গেলে আপনি তার সঙ্গে যদি খারাপ ব্যবহার করেন, তাহলে দেখা যাবে সেই কাস্টমারটি আপনার দোকানে আর কখনোই আসবে না এবং একটা খারাপ ধারণা আপনার সম্পর্কে চলে আসবে এবং তার পরিচিত সবাইকে আপনার দোকান সম্পর্কে বলে দিবে অথবা ফেসবুকে যদি আপনার কোম্পানি বা আপনার প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে একটা খারাপ রিভিউ দেয়।

তাহলে কিন্তু অনেকেই আপনার প্রতিষ্ঠান থেকে আর কোন প্রোডাক্ট কিনবেন না যারা পরবর্তীতে কিনবে রকমের কাস্টমার রাও কিন্তু আপনার কাছ থেকে আর কিনবেন না আপনার ওই ব্যবহারটি করার কারণে। তাই সবসময় চেষ্টা করবেন কাস্টমারদের কে বিক্রি করার সময় ভালোভাবে ব্যবহার করার এবং কোন সমস্যা হলে পরবর্তীতে ফেরত দেওয়া, কিংবা চেঞ্জ করে দেওয়া। আশা করি বুঝতে পারছেন।

০৪/ প্রোডাক্টের ফিডব্যাক নিন

কাস্টমার একটা প্রোডাক্ট কেনার পরে আপনি তার সঙ্গে আর যোগাযোগ রাখলেন না এরকম করলে কিন্তু আপনি কখনোই অনলাইনের মাধ্যমে ব্যবসা করে সফল হতে পারবেন না। প্রোডাক্ট বিক্রি করার পরে আপনি কাস্টমারের সাথে যোগাযোগ করুন। দেখুন তারপর তার প্রোডাক্ট সম্পর্কে কি ধারণা বা সে প্রোডাক্টটি পেয়ে খুশি কিনা বা প্রোডাক্ট সম্পর্কে যদি সে কিছু বলে সেগুলো শুনুন কোন সমস্যা থাকলে সেগুলো পরবর্তীতে যাতে সমাধান করে দিতে পারেন সেই বিষয় নিয়ে কাজ করবেন অর্থাৎ কাস্টমার যদি কোন প্রোডাক্ট সম্পর্কে খারাপ বলে মানে কোন সমস্যা থাকে,তাহলে আপনি কাস্টমারকে বলে দিতে পারেন, পরবর্তীতে আপনি এই সকল সমস্যাগুলোর সমাধান করাবেন বা পরবর্তীতে সে যখন কোন কিছু কিনবে তখন তাকে স্পেশালভাবে কিছু ডিসকাউন্ট দিবেন, এভাবে আপনি যদি ব্যবসা করেন,তাহলে কিন্তু আপনি অনলাইন ব্যাবসার করে সফল হতে পারবেন।

০৫/ টার্গেট অডিয়ান সিলেক্ট করবেন

আপনি অনলাইনের মাধ্যমে ব্যবসা করে সফল হওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই টার্গেট কাস্টমার সিলেক্ট করা লাগবে। যে কাস্টমারগুলো আপনার প্রোডাক্ট কিনতে পারে এরকমের কাস্টমারদের কে টার্গেট করে আপনি অনলাইনে মাধ্যমে মার্কেটিং করবেন।

তাহলেই আপনি টার্গেট কাস্টোমারদের কাছে যদি পৌঁছতে পারেন তাহলে অনেকেই সেখান থেকে আপনার প্রোডাক্ট কেনার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে, কিন্তু আপনি যদি সিরিয়াল ভাবে ছোট বড় বা যারা আপনার প্রোডাক্ট কিনবে না তাদের কাছেও মার্কেটিং করেন।

তাহলে কিন্তু আপনার লাভ হবে না উল্টো আপনার ক্ষতি হবে কারণ আপনি মার্কেটিং করলে একটা টাকা ইনভেস্ট করা লাগবে সেখানে আপনি যদি অযথা যারা প্রোডাক্ট কিনবেন না তাদের কাছেও মার্কেটিং করেন। তাহলে তো আপনার লাভ নেই তাই সবসময় চেষ্টা করবেন, টার্গেট কাস্টমার সিলেক্ট করে, তারপরে মার্কেটিং চালানোর জন্য ।

আমাদের শেষ কথা

তাহলে আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা অনলাইনের মাধ্যমে ব্যবসা করে কিভাবে সফল হতে পারবেন, এই বিষয়ে সম্পর্কে পরিপূর্ণভাবে একটা আইডিয়া পেয়ে গেলেন। প্রতিদিন এরকমের বিভিন্ন ইন্টারেস্টিং আপডেট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন। 

সম্পর্কিত আর্টিকেল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button

অ্যাডব্লকার ডিটেক্ট হয়েছে!

মনে হচ্ছে আপনি অ্যাড ব্লকার ব্যবহার করছেন। আমাদের সাইট ভিজিট করার জন্য আপনাকে অ্যাড ব্লকার বন্ধ করতে হবে। যদি অ্যাডব্লকার ব্যবহার না করেন, তাহলে পেজটি রিফ্রেশ করুন।