ফেসবুক মার্কেটিং কিভাবে করবেন? ফেসবুক মার্টিকেটিং টিপস ২০২৩
ফেসবুক মার্কেটিং কিভাবে করবেন? ফেসবুক মার্টিকেটিং টিপস ২০২৩
আজকে আবার একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হলাম। আজকের বিষয় থাকবে ফেসবুক মার্কেটিং।
আমরা সাধারণত ফেসবুক সময় কাটানোর জন্য ব্যবহার করে থাকি।
তেমনি আমার-আপনার মতো মিলিয়ন মিলিয়ন লোক ফেসবুক ব্যবহার করে থাকে। একটি গণনা অনুযায়ী এপ্রিল মাসে বাংলাদেশে চার কোটি এক্টিভ ফেসবুক ব্যবহার কারী আছে। তার মধ্যে দুই কোটির বেশি লোক ঢাকাতেই।
এতো লোকের মধ্যে যদি আপনি মার্কেটিং শুরু করে দেন তাহলে খুব তাড়াতাড়ি সফল হয়ে যাবেন। বর্তমানে বেশিরভাগ কেনা বেচা ফেসবুক থেকে হয়।
এর প্রধান কারণ ফেসবুকে সব ধরনের লোক থাকে এবং তাদের একটি চাহিদা থাকে। আপনার কাছে যদি তাদের চাহিদা অনুযায়ী প্রডাক্ট থাকে তাহলে সহজেই সেটি বিক্রি হবে।
তবে ফেসবুকে মার্কেটিং করতে হলে কিছু ধাপ অনুসরণ করতে হয়। নিচে সবগুলো ধাপ নিয়ে আলোচনা করা হলো।
১. প্রডাক্ট এবং কাস্টমার
প্রথমত আপনি কি বিক্রি করবেন সেটা নিয়ে একটু গবেষণা করতে হবে। বর্তমানে 18-25 বছর বয়সের মধ্যে বেশি লোক ফেসবুক ব্যবহার করে। আপনাকে ঐ বয়সের কাস্টমারদের টার্গেট করতে হবে।
একজন আঠারো বছর বয়সী যুবক স্টাইলীশ প্রডাক্ট বেশি পছন্দ করবে। ধরুন আপনি জিনস প্যান্ট বিক্রি করবেন। যেহেতু ফেসবুকে যুবক বেশি তাই আপনার প্রডাক্ট বিক্রি হবে অনেক বেশি। তাই প্রডাক্ট বাছাই করা খুব জরুরী। আগে কাস্টমার টার্গেট করুন তারপর প্রডাক্ট বাছুন।
২. চ্যানেল
আপনি প্রডাক্ট তো আর ফেসবুক আইডি দিয়ে বেচতে পারবেন না। কারন ফেসবুক আইডিতে সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার ফ্রেন্ড করা যায়। তাই আপনাকে একটি গ্রুপ এবং পেজ খুলতে হবে।
একটি পেজ খুললে লাইক কম আসবে কারন ফেসবুক পেজ একমুখী অর্থাত আপনি ছাড়া অন্য কেও পোস্ট করতে পারবে না। অপরদিকে ফেসবুক গ্রুপ বহুমুখী অর্থাত যে কেও পোস্ট করতে পারে।
আপনার প্রোডাক্টের বিষয় নিয়ে একটি গ্রুপ খুলতে পারেন। তারপরে সেই গ্রুপ থেকে আস্তে আস্তে নিজের ফেসবুক পেজে লাইক এবং ফলোয়ার নিতে পারবেন। ফেসবুক গ্রুপ অনেক জনপ্রিয় হয়ে ওঠে অপরদিকে মেম্বার অনেক তাড়াতাড়ি বাড়ে তাই ফেসবুক গ্রুপের উপর বেশি মনোযোগ দিন।
৩. কন্টেন্ট
যখন আপনার পন্য সম্পর্কে কেও জানবে না তখন কেও আপনার পন্যও কিনবে না। কাস্টমারকে আপনার পন্য সম্পর্কে জানাতে হবে। তারা যখন আপনার পন্য সম্পর্কে জানবে এবং বুঝবে তখনি আপনি বেশি অর্ডার পাবেন। তাই কন্টেন্ট অনেক জরুরী। কন্টেন্ট সাধারণত তিন ধরনের হয়ে থাকে। (ক) টেক্সট, (খ) ভিডিও, (গ) ইমেজ।
আপনি যদি আপনার পন্য সম্পর্কে শুধু লিখেন তাহলে সবাই পড়বে না। অপরদিকে ভিডিও তৈরি করলে বেশি লোক দেখবে না কিন্তু কোনো কিছু যদি ইমেজ দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করেন তাহলে সবাই দেখবে এবং বুঝবে। তাই যথাসম্ভব ইমেজ ভালো ভাবে তৈরি করুন। যত ভালো ভাবে কাস্টমারদের বোঝাতে পারবেন আপনার পন্য তত বেশি বিক্রি হবে।
যদি খেয়াল করেন তাহলে দেখবেন বড় বড় ই-কমার্স সাইট তাদের পন্য ইমেজ দিয়ে বোঝানোর বেশি চেষ্টা করে। সেই অনুযায়ী ধৈর্য্য ধরে আপনিও কাজ করুন। আল্লাহর রহমতে অবশ্যই সফল হবেন।
ফেসবুক মার্কেটিং আস্তে আস্তে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এবং বিভিন্ন ধরনের পন্যের মধ্যে প্রতিযোগীতাও বেড়ে গেছে। তাই ফেসবুক মার্কেটিং করতে চাইলে একটু তাড়াতাড়ি শুরু করুন। তবে যাই বিক্রি করেন না কেন সার্ভিস ভালো দিতে হবে।
প্রথম দিকে বেশি বেশি পন্য বিক্রি করার জন্য ডিসকাউন্ট দিতে পারেন। এতে করে বেশি বেশি বিক্রি হবে। ফেসবুক মার্কেটিং করতে হলে অবশ্যই ধৈর্য্য থাকা লাগবে। অনেকে অল্পতেই দমে যায়। এমন করলে কখনও সফল হতে পারবেন না। তাই ধৈর্য্য ধরে নিষ্ঠার সাথে কাজ করতে থাকুন আল্লাহর রহমতে অবশ্যই সফল হবেন।
আজ এই পর্যন্তই। পরবর্তীতে আরো ভালো কিছু নিয়ে হাজির হবো। ততদিন আমাদের সাথে থাকুন।
চাইলে আমার ব্লগ একটু ঘুরে আসতে পারেন। আমার ব্লগ: টেক বিডি ৭১ আমি যা জানি তা শেয়ার করার চেষ্টা করেছি।
ধন্যবাদ সবাইকে।
Nice Article And Very Helpful
thanks