ইসলামিক পোস্ট

কোরবানির ফজিলত ও প্রতিদান

যারা কোরবানির ফযিলত ও প্রতিদান সম্পর্কে জানতে চান, তাদের জন্যেই এই আর্টিকেল।

পবিত্র কোরআনে কয়েকটি স্থানে কোরবানির প্রসঙ্গ এসেছে। কোরবানি করার সরাসরি নির্দেশ দিয়ে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ আপনার রবের উদ্দেশে নামাজ পড়ুন এবং কোরবানি করুন। (সুরাঃ কাউসার, আয়াত ২)

ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) মদিনায় ১০ বছর অবস্থান করেছিলেন এবং প্রতিবছর কোরবানি করেছিলেন। ইবনে মাজাহ, হাদিসঃ ৩১২৭

কোরবানি হলো ইব্রাহিম (আ.) এর সুন্নত। এর প্রতিটি পশমের বিনিময়ে এক একটি নেকি দেওয়া হবে। জায়েদ ইবনে আরকাম (রা.) বলেন, আমরা রাসুল (সা.) কে জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রাসুল! কোরবানি কী?

তখন রাসুল (সা.) বলেন, এটি তোমাদের পিতা ইব্রাহিম (আ.) এর সুন্নত। তখন সাহাবায়ে কিরাম জিজ্ঞেসা করলেন, হে আল্লাহর রাসুল! তাতে আমাদের জন্য প্রতিদান আছে?

রাসুল (সা.) জবাবে বলেন, প্রতিটি চুলের বিনিময়ে একটি করে নেকি দেওয়া হবে। তারপর সাহাবায়ে কিরাম আরজ করেন, হে আল্লাহর রাসুল পশমের বিনিময়ে ও কি এ পরিমাণ সওয়াব আছে? তখন রাসুল (সা.) জবাবে বললেন, হ্যাঁ প্রতিটি পশ্মের বিনিময়ে একটি করে নেকি দেওয়া হবে। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিসঃ ৩২৪৭)

কোরবানি হলো আল্লাহর সর্বাধিক প্রিয় আমল। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, কোরবানির ঈদের দিন মানুষের সব থেকে নেক আমলের মাঝে সর্বাধিক প্রিয় আমল হলো কোরবানি করা। কিয়ামতের ময়দানে জবাইকৃত পশু তার শিং, লোম এবং খুরসহ হাজির হবেন।

নিশ্চয়ই কোরবানি করা পশুর রক্ত জমিনে পড়ার আগে আল্লাহ তায়ালার কাছে তা কবুল হয়ে যায়। তোমরা খুশি মনে আনন্দচিত্তে কোরবানি করো। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস, ৩১২৬)

কোরবানি করার মাধ্যমে অতীতের সগিরা গুনাহ মাফ হয়ে যায়। আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ফাতিমা (রা.) কে বলেন, তুমি তোমার কোরবানির পশু জবাই করার সময় ওই স্থানে উপস্থিত থেকো, কোরবানির পশুর রক্ত মাটিতে পড়ার সাথে সাথে তোমার অতীতের সকল গুনাহ মহান আল্লাহ তায়ালা ক্ষমা করে দিবেন।

তখন ফাতিমা (রা.) বলেন হে আল্লাহর রাসুল, এই গুনাহ ক্ষমা হওয়ার বিষয়টি কি শুধু আমাদের জন্য বিশেষত নাকি সব মুসলমানের জন্য? তখন আল্লাহর রাসুল বলেন আমাদের এবং সব মুসলমানের জন্য গুনাহ ক্ষমা করে হবে। ( মুস্তাদরাক হাকিম। হাদিসঃ ৭৬৩৩)

কোরবানি হলো জাহান্নামের প্রতিবন্ধক। আব্দুল্লাহ ইবনে হাসান (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যাক্তি খুশি মনে সওয়াবের আশায় কোরবানি করবে, ওই কোরাবনির জবাইকৃত পশু কোরবানিদাতার জন্য জাহান্নামের প্রতিবন্ধক হবে। (আল মুজামুল কাবির, হাদিসঃ ২৬৭০)

শেষ কথাঃ আশা করি আমাদের আজকের আর্টিকেলটি পড়ে কুরবানীর ফযিলত সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। কারো যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তাহলে কমেন্ট করে জানাবেন আমরা উত্তর দিতে চেষ্টা করবো। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ্য থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।

সম্পর্কিত আর্টিকেল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button

অ্যাডব্লকার ডিটেক্ট হয়েছে!

মনে হচ্ছে আপনি অ্যাড ব্লকার ব্যবহার করছেন। আমাদের সাইট ভিজিট করার জন্য আপনাকে অ্যাড ব্লকার বন্ধ করতে হবে। যদি অ্যাডব্লকার ব্যবহার না করেন, তাহলে পেজটি রিফ্রেশ করুন।