বর্তমানে প্লেজারিজম খুবই কমন হয়ে গিয়েছে। কিন্তু অনেকেই জানেনা প্লেজারিজম কি? প্লেজারিজম করার কারণে ব্লগের কি ও কোন ধরনের ক্ষতি হয়।
আপনাদের প্লেজারিজম এর বিষয়ে অবগত করার জন্যেই প্লেজারিজম বিষয়ে পোস্ট শেয়ার করা। প্লেজারিজম এর বিষয়ে কথা বলার পূর্বে জেনে নেওয়া যাক প্লেজারিজম কি? বা প্লেজারিজম বলতে কি বুঝায়?
প্লেজারিজম কি? প্লেজারিজম বলতে কি বুঝায়?
আমাদের বিশ্বে অসংখ্য তথ্য রয়েছে। এসব তথ্য থেকে হুবহু কোনো কিছু কপি করে নিজের নামে জমা দেয়া বা কোন তথ্যে আংশিক পরিবর্তন করে নিজের নামে চালিয়ে দেয়াকে প্লেজারিজম বলে।
এক কথায় অন্য কারো কাজ বা লেখাকে নিজের নামে ব্যবহার করা বা নিজের নামে প্রকাশ করাকেই Plagiarism বলে। আরও সহজভাবে বলতে গেলে, কেউ যদি অন্য কোন ব্যক্তির গবেষণা, সাহিত্য এবং আইডিয়া হুবহু নকল বা সামান্য পরিবর্তন করে তা নিজের কাজ বলে চালিয়ে দেয় তাহলে তা হলো প্লেজারিজম।
প্লেজারিজম কারা বেশী করে?
যারা ব্লগিং করে থাকে তারাই বেশীরভাগ সময় জেনে বা না জেনে Plagiarism করে বসে। অনেক ব্লগার আছে যারা ইচ্ছা করে অন্যের কন্টেন্ট কপি করে নিজের ব্লগে তা প্রকাশ করে নিজের বলে চালিয়ে দেয়।
আবার অনেকে না জেনেই এমনটা করে বসে। জেনে হোক বা না জেনে, Plagiarism একটি অনৈতিক কাজ। প্লেজারিজম করার ফলে অনেকেই বড় বিপদে পড়েছে। অনেকে আইনি জটিলতার মতো বড় ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে।
প্লেজারিজম করলে কি ধরনের ক্ষতি ও সমস্যা হয়?
Plagiarism করার কারণে আপনি অনেক সমস্যার মধ্যে পড়তে পারেন। তার মধ্যে অন্যতম হলো আয়। আপনি যদি আপনার ব্লগে গুগল অ্যাডসেন্স ব্যবহার করেন তাহলে আপনার অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট ডিজেবল হয়ে যেতে পারে।
ফলে আপনি গুগল অ্যাডসেন্স এর মাধ্যমে আপনার ব্লগ হতে কোন ধরনের ইনকাম করতে পারবেন না। এছাড়াও আইনি জটিলতায় পড়ার চান্স তো আছেই। এরকম অনেকেই আছেন যারা Plagiarism করে আইনি জটিলতায় পড়েছেন। আপনি নিশ্চয়ই চাইবেন না এরকম কোন সমস্যা আপনার সাথে হোক।
Plagiarism থেকে বাঁচার উপায় কি?
Plagiarism থেকে বাঁচতে হলে আপনাকে আপনার ব্লগে পোস্ট বা লেখা শেয়ার করার পূর্বে তা যাচাই করতে হবে। বর্তমানে Plagiarism যাচাই বা চেক করার জন্য অনেক ফ্রি Plagiarism চেকার আছে।
আপনি সিম্পলি পোস্ট লিখে Plagiarism চেকার ব্যবহার করে আগে যাচাই করবেন আপনার লিখা পোস্টে বা কন্টেন্টে Plagiarism আছে কিনা। Plagiarism যাচাই করে ব্লগে বা সাইটে কন্টেন্ট শেয়ার করলে আপনি Plagiarism থেকে নিরাপদে থাকবেন।
প্লেজারিজম চেক করার নিয়ম
Plagiarism চেক করার জন্য আপনি অনেক টুলস গুগলে পেয়ে যাবেন, আপনি চাইলে নিজে নিজেও ম্যানুয়েলি Plagiarism চেক করতে পারবেন। তবে Plagiarism চেক করার জন্য টুল ইউজ করলে সবচাইতে ভালো হয়।
টুল ব্যবহার করে Plagiarism চেক করলে Plagiarism রেজাল্ট ডিটেইলস সহ পেয়ে যাবেন। যেমনঃ কত পার্সেন্ট Plagiarism আছে, কত পার্সেন্ট ইউনিক, লেখা কোন সাইটের কন্টেন্ট এর সাথে মিলছে ইত্যাদি। প্রথমে আমি ম্যানুয়েলি চেক করার বিষয়ে বলছি তারপর টুল ব্যবহার এর বিষয়ে।
Plagiarism ম্যানুয়েলি চেক করার জন্য আপনি যে লেখাটি নিজের ব্লগে শেয়ার করবেন তার কিছু অংশ বা পুরো লেখা গুগলে সার্চ করুন। যদি হুবুহু মিল খুজে পান, তাহলে এ লেখাটি কখনোই আপনার সাইটে বা ব্লগে শেয়ার করবেন না।
কিন্তু যেমনটা আগে বলেছি, আপনি যদি ম্যানুয়েলি Plagiarism চেক করেন তাহলে আপনি ডিটেলস সহ জানতে পারবেন না।
টুল ব্যবহার করে Plagiarism চেক।
এখানে টুল বলতে আমি Plagiarism চেক করার সাইটকে বুঝিয়েছি। সাইটের সাহায্যে Plagiarism চেক করার জন্য আমি নিচে কিছু সাইট লিংক দিয়ে রেখেছি। আপনি সেখান থেকে যেকোন একটি সাইটে প্রবেশ করে Plagiarism চেক করতে পারবেন। নিচের সাইটগুলো থেকে Plagiarism চেক করলে আপনার লেখা কত পার্সেন্ট ইউনিক ও কত পার্সেন্ট Plagiarism যুক্ত তা বিস্তারিত জানিয়ে দিবে।
প্লেজারিজম চেক করার সেরা ৫টি ফ্রি ওয়েবসাইট নিন্মেঃ
শেষ কথাঃ জেনে হোক বা না জেনেই হোল, Plagiarism এড়িয়ে চলুন। Plagiarism করার ফলে আপনার ব্লগ ও ব্যক্তিজীবনে সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। ব্লগ হতে আয় করার পথ বন্ধ হওয়াসহ আইনি জটিলতায় পড়তে পারেন। তাই যতটা সম্ভব Plagiarism চেক করে ব্লগে পোস্ট পাবলিশ করুন।
পোস্ট সম্পৃক্ত যেকোন মতামত কমেন্টে জানান। আমরা আপনার মতামত অধিক আগ্রহের সাথে পর্যালোচনা করি।
ধন্যবাদ