Deprecated: Hook custom_css_loaded is deprecated since version jetpack-13.5! Use WordPress Custom CSS instead. Jetpack no longer supports Custom CSS. Read the WordPress.org documentation to learn how to apply custom styles to your site: https://wordpress.org/documentation/article/styles-overview/#applying-custom-css in /home/globckub/public_html/banglatechspot.com/wp-includes/functions.php on line 6078
মোবাইল সিম কি: - BANGLA TECHSPOT
টেলিকম

মোবাইল সিম কি:

মোবাইল সিম রেজিস্ট্রেশন করার উপায় ও দাম

মূলত মোবাইল সিম হলো মোবাইল ফোনে ঢোকানো একটি ছোট কার্ড। সিমের পূর্ণরূপ হলো 

সাবস্ক্রাইবার আইডেন্টিটি মডিউল। যা একটি সেলুলার নেটওয়ার্কে ইউজারকে সনাক্ত করে। বলে রাখা ভালো সিমের কাজ হলো তথ্য সংরক্ষণ করা। 

আর সিমের কাজ হলো কল করা, টেক্সট পাঠানো এবং মোবাইল ডেটার ব্যবহার। মজার ব্যপার হলো এই সিম বিভিন্ন আকারের পাওয়া যায়। যেমন স্ট্যান্ডার্ড, মাইক্রো এবং ন্যানো সিম। সাধারণত মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটরদের মাধ্যমে এই সিম গ্রহকদের হাতে পৌঁছায়।

মোবাইল সিম সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য

এই জীবনে অনেক তো মোবাইল সিম ব্যবহার করলেন! তবে মোবাইল সিম সম্পর্কে নিচের তথ্যগুলি জানতেন কিঃ

  • পৃথিবীর প্রথম SIM কার্ডটি ১৯৯১ সালে Giesecke & Devrient দ্বারা তৈরি করা হয়েছিল
  • ইউজারদেন সদস্যতা সনাক্ত করতে সিম কার্ডগুলিতে একটি ইউনিক সিরিয়াল নম্বর বা ICCID ব্যবহার করা হয়ে থাকে
  • পৃথিবীর প্রত্যেকটি সিমে একটি করে ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল সাবস্ক্রাইবার আইডেন্টিটি বা IMSI নম্বর থাকে
  • মূলত কোনো সিম কার্ডের ডেটা একটি নতুন কার্ডে ট্রান্সফার করার প্রক্রিয়াটিকে “সিম সোয়াপিং” বলা হয়
  • পৃথিবীর সব সিম কার্ডে একটি করে সীমিত স্টোরেজ ক্ষমতা থাকে
  • ডুয়াল সিম ফোন ব্যবহারকারীদের একসাথে দুটি সিম কার্ড ব্যবহার করার সুযোগ থাকে
  • আপনি চাইলে পিন কোড দিয়ে সিম কার্ড লক করতে পারেন
  • এমবেডেড সিম বা eSIM প্রযুক্তি কিছু ডিভাইসে ফিজিক্যাল সিম কার্ডের প্রয়োজনীয়তা দূর করতে পারে

মোবাইল সিম ব্যবহারের নিয়ম

আর্টিকেলের এই অংশে আমরা আলোচনা করবো মোবাইল সিম ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে।

মালিকানা

প্রতিটি সিম কার্ড সেই ব্যক্তি বা সংস্থার মালিকানাধীন যারা মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটর থেকে সেগুলি কিনেছে৷ তবে এক্ষেত্রে ইউজার দ্বারা সেই সিম কার্ড ভেরিফাই করতে হবে।

অ্যাক্টিভেশন

যেকোনো সিম কার্ড ব্যবহার করার আগে অবশ্যই তা এক্টিভ বা সক্রিয় করে নিতে হবে। এর মধ্যে সাধারণত মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটরের সাথে এসব সিম কার্ড নিবন্ধন করতে হবে। পাশাপাশি ব্যক্তিগত তথ্য প্রদান করতে হ

সামঞ্জস্যপূর্ণ ও ইনসার্ট

প্রতিটি সিম কার্ডকে অবশ্যই যে ডিভাইসে ব্যবহার করা হচ্ছে তার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে৷ মান, মাইক্রো, ন্যানো এইসব ক্যাটাগরির মধ্যে কোন ক্যটাগরির সিম আপনার ডিভাইসের জন্য পার্ফেক্ট তা নিশ্চিত হয়ে নিন। এবার ডিভাইসের সিম কার্ড স্লটে সঠিকভাবে সিম ঢুকাতে হবে।

পিন

সিমের হ্যাকিং বা অননুমোদিত ব্যবহার রোধ করতে সিম কার্ডগুলিকে পিন দিয়ে সুরক্ষিত করা যেতে পারে। সিম নিরাপদে রাখতে পিন সুরক্ষিত রাখুন এবং অন্যদের সাথে তা শেয়ার করা থেকে বিরত থাকুন।

আনব্লকিং কী

কোনো কারণে PIN একাধিকবার ভুলভাবে ডায়াল করা হলে, SIM কার্ডটি লক হয়ে যেতে পারে। এক্ষেত্রে, সিম কার্ড আনলক করার জন্য মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটরের একটি পারসোনাল আনব্লকিং কী বা PUK প্রয়োজন৷ যা পেলে পরবর্তীতে ব্যবহার করতে হবে।

রোমিং

যারা আন্তর্জাতিকভাবে ভ্রমণ করার সময় মোবাইল সিম ব্যবহার করবেন এই রোমিং সিস্টেমটি তাদের জন্য। মূলত অন্য দেশে নিজের সিম কার্ড ব্যবহার করার জন্য এই রোমিং সার্ভিস কাজে লাগে। বলে রাখা ভালো এই রোমিং সার্ভিসে চার্জ প্রযোজ্য হতে পারে। তাই আগে থেকেই মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটরের সাথে এই বিষয়ে কথা বলে নিতে হবে।

সিম সোয়াপিং

সিম সোয়াপিং বলতে বুঝানো হয় সিম অদলবদল। আর এটি হলো সিম কার্ড একটি নতুন ডিভাইসে স্থানান্তর করার সিস্টেম। এই সিস্টেম নতুন ফোন আপগ্রেড করার সময় বা হারিয়ে যাওয়ার সময় কাজে লাগে।

সিকিউরিটি

মনে রাখবেন যেকোনো সিম কার্ডে পারসোনাল ইনফরমেশন এবং টেক্সটসহ অন্যান্য তথ্য থাকতে পারে। সুতরাং সিম কার্ডকে চুরি বা অননুমোদিত অ্যাক্সেস থেকে রক্ষা করার জন্য সবসময় সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

মোবাইল সিম সিকিউরিটি

এবার আসি মোবাইল সিম সিকিউরিটির ব্যাপারে। সিমে অন্য কারো অ্যাক্সেস রোধ করতে এবং মোবাইল যোগাযোগ শতভাগ সিকিউর করতে মোবাইল সিমের সিকিউরিটি মেইন্টেইন করা অপরিহার্য। সেই কারনেই চলুন জানি বেশকিছু মোবাইল সিম সিকিউরিটি টিপস:

  • সিম কার্ডে অন্য কারো অ্যাক্সেস রোধ করতে পিন সেট করুন
  • মনে রাখবেন ভুল পিন বারবার ট্রাই করলে সিম কার্ড লক হয়ে যাবে
  • সিম লক হয়ে গেলে পার্সোনাল আনব্লকিং কী (PUK) ব্যবহার করুন
  • ফোন ডিভাইস সেটিংসের মাধ্যমে ফোনে লক সেট করুন
  • আপনার মোবাইল ডিভাইস ডেটা ট্রান্সমিশনের জন্য এনক্রিপশন সাপোর্ট করলে সিমে তা ব্যবহার করুন
  • বিভিন্ন ফিশিং সাইট থেকে নিরাপদে থাকুন
  • আন্তর্জাতিক রোমিং বা প্রিমিয়াম-রেটসহ যেসব সার্ভিস আপনি ব্যবহার করবেন না সেসব সার্ভিস অফ রাখুন
  • কখনো সিম কার্ড নম্বর, পিন, বা PUK কোড কারো সাথে শেয়ার করবেন না
  • যেকোনো চার্জের জন্য নিয়মিত আপনার মোবাইল অ্যাকাউন্ট চেক করুন
  • অ্যান্টি-ভাইরাস, অ্যান্টি-ম্যালওয়্যার অ্যাপসগুলি ফোনে ইনস্টল করুন

মোবাইল সিম রেজিস্ট্রেশন করার উপায়

যেকোনো মোবাইল সিম কিনলেই আপনি তা ব্যবহার করা শুরু করতে পারবেন না। এক্ষেত্রে আপনার বয়স হতে হবে ১৮+ এবং নিয়ম মেনে করতে হবে মোবাইল সিম রেজিস্ট্রেশন। আসুন মোবাইল সিম রেজিস্ট্রেশন করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানি:

  1. প্রাইমারি ডকুমেন্টস হিসাবে জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) নিন
  2. আপনার যদি এনআইডি না থাকে তবে পাসপোর্ট বা ড্রাইভিং লাইসেন্স নিতে পারেন
  3. সাথে নিন একটি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
  4. অনুমোদিত আউটলেট, কাস্টমার কেয়ার সেন্টার বা মোবাইল সার্ভিসিংয়ের দোকানে যান
  5. বায়োমেট্রিক ডেটা প্রদান করুন এবং আঙ্গুলের ছাপ দিন
  6. মোবাইল সিম কার্ড রেজিস্ট্রেশন ফর্ম পূরণ করুন 
  7. সবশেষে অপেক্ষা করুন
  8. একবার সিম ভেরিফাই হয়ে গেলে আপনার সিম রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হবে
  9. সফল রেজিস্ট্রেশনের আপনার মোবাইল ফোনে রেজিস্ট্রেশন কমপ্লিট হওয়ার SMS গেছে কিনা চেক করুন

মনে রাখবেন, সিম অ্যাক্টিভেশনে সঠিক তথ্য দিতে হবে। সেই সাথে বায়োমেট্রিক এবং ব্যক্তিগত তথ্য সঠিক হতে হবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো একটি NID দিয়ে ১৫ টির বেশি সিম রেজিষ্ট্রেশন করতে পারবেন না।

দারুণ সব মোবাইল সিম অফার

বাংলাদেশে যারা রবি বা বাংলালিংকের মতো নতুন সিম কিনতে চাচ্ছেন তারা কিন্তু সিম কেনার পর ভালো ভালো মোবাইল সিম অফার নামমাত্র মূল্যে ট্রাই করতে পারেন। যেমন:
বাংলালিংক: ২২২ টাকা রিচার্জ করলে বাংলালিংকে আপনি 10GB ইন্টারনেট এবং 100 মিনিট ৩০ দিনের জন্য পাবেন। সাথে সারাজীবনের জন্য পাবেন প্রতি সেকেন্ডে 1 পয়সা কলরেট। এছাড়াও ৪৯ টাকা রিচার্জে, আপনি ৭ দিনের জন্য 2GB ইন্টারনেট পাবেন।

এয়ারটেল:

3.5GB ইন্টারনেট (2.5GB যেকোনো-ব্যবহার + 1GB Binge) সাথে 45 মিনিট টকটাইম চান? তাহলে এয়ারটেলের মোবাইল সিম অফার ট্রাই করুন। এবং সাথে লুফে নিন ৩ মাসের জন্য বিনামূল্যে Binge প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশন ব্যবহারের সুবর্ণ সুযোগ। পাশাপাশি রয়েছে 6GB ইন্টারনেট (3GB যেকোনো-ব্যবহার + 3GB Binge), 100 মিনিট টকটাইম উপভোগের সুযোগ। এয়ারটেলের এই অফারটি পেলে আপনি বিনামূল্যে Binge সাবস্ক্রিপশনও ইউজ করতে পারবেন।

রবি:

 আপনি যদি রবি বন্ধ সিম আবার চালু করেন বা নতুন মোবাইল সিম হিসাবে ভালো অফার চান সেক্ষেত্রে ৪১ টাকায় 6GB ইন্টারনেট কিনতে পারেন। এই অফারের মেয়াদ ৭ দিনের জন্য থাকে। তাছাড়া ৩০ দিনের জন্য 4GB ইন্টারনেট এবং 120 মিনিট কিনতে পারেন মাত্র ১১৯ টাকায়। 

গ্রামীণফোন:

একটি নতুন জিপি সিম কিনলে এবং ১০০ টাকা রিচার্জ করলে, আপনিও ৭ দিনের জন্য পেয়ে যাচ্ছেন 50 মিনিট টকটাইম এবং 1GB ইন্টারনেট। সাথে থাকছে অন্যান্য সময়ের চাইতে কম কলরেট।

বাংলাদেশে মোবাইল সিম কার্ডের দাম

এয়ারটেল বা রবি: খরচ পড়বে ২৫০ টাকা এবং সেই সাথে ৩০ দিনের জন্য বৈধ 10GB এমবিও পাবেন। 

Skitto ট্যুরিস্ট সিম : মূল্য ৪৯৮ টাকা এবং ৩০ দিনের জন্য বৈধ 7GB ইন্টারনেট পাবেন।
গ্রামীনফোন: এই অপারেটরের বেসিক প্রিপেইড সিমের দাম সাধারণত ২০০ টাকা থেকে শুরু হয়।

লোকালি এসব সিম কার্ডের দাম সাধারণত ১০০ টাকা থেকেও শুরু হতে পারে৷ গ্রামীণফোন, এয়ারটেল, রবি, বাংলালিংক এবং টেলিটকের মতো বিভিন্ন অপারেটরের সিম প্রাইজ সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে মোবাইলডোর ওয়েবসাইটে চোখ রাখুন।

সম্পর্কিত আর্টিকেল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button

অ্যাডব্লকার ডিটেক্ট হয়েছে!

মনে হচ্ছে আপনি অ্যাড ব্লকার ব্যবহার করছেন। আমাদের সাইট ভিজিট করার জন্য আপনাকে অ্যাড ব্লকার বন্ধ করতে হবে। যদি অ্যাডব্লকার ব্যবহার না করেন, তাহলে পেজটি রিফ্রেশ করুন।