আপনি কি একজন বেকার স্টুডেন্ট? কিংবা আপনার এমন সমাজ আছে আপনি হাজার চেষ্টা করেও অনলাইন থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারতেছেন না? তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য।
কেননা আজকের এই আর্টিকেলে আমি আপনাদের সাথে এমন কিছু অনলাইনে আয় করার কার্যকরী সম্পর্কে বলতে চলেছি যেগুলো থেকে আপনারা মোটামুটি কিছু পরিমাণে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
এখানে ইনকাম করার যে মোটামুটি শব্দ টা আমি বলেছি সেটা আপনার কাজের উপর নির্ভর করবে। আমরা সকলেই জানি যত কাজ বেশি করা হয় তত ইনকামও বেশি হয়।
অর্থাৎ আপনি যদি অনলাইন ইনকাম করতে চান তাহলে আপনাকে ধৈর্য ধারণ করতে হবে এবং বেশি পরিমাণে পরিশ্রম করতে হবে। তাছাড়া আপনার স্কিল যত বেশি থাকবে তত অনলাইন থেকে ইনকাম করার প্রসেস টা আপনার জন্য একেবারেই সহজ হবে।
কেননা আপনি যদি সঠিক স্কিল ডেভেলপ করে সঠিক জায়গায় গিয়ে কাজ স্টার্ট করেন তাহলে আপনার ইনকাম হওয়াটা নিশ্চিত। তার জন্য আপনি যদি স্কিল ডেভেলপ করতে চান বিভিন্ন আর্টিকেল পড়তে পারেন যেমন আজকের এই আর্টিকেলটি।
তাছাড়া আপনারা অনলাইনের মধ্যে আরও বিভিন্ন প্রকার অনলাইন এবং অফলাইন কোর্স পেয়ে যাবেন যেখান থেকে আপনারা খুব সহজে নিজের স্কিলকে আরো বাড়িয়ে নিতে পারেন। তবে অনলাইনে পেইড কোর্স করার ক্ষেত্রে সর্তকতা অবলম্বন করবেন।
কেননা বিশেষ ক্ষেত্রে অনলাইনে অনেক ধরনের প্রতারক পাওয়া যায়। অর্থাৎ যারা কিনা আপনাকে বিভিন্ন প্রকার লোক দেখি আপনার থেকে থাকা হাতিয়ে নিবে এবং কিছু অফলাইন কোর্স ধরিয়ে দিবে। তাই অনলাইনে সবসময় সতর্ক থাকার চেষ্টা করবেন।
তাহলে চলুন এখন আমরা মূল আলোচনায় চলে যাই। আজকের এই আর্টিকেলের মূল বিষয়বস্ত হচ্ছে অনলাইন থেকে ইনকাম করার উপায় কি এই বিষয় সম্পর্কে।
তাই আপনি যদি অনলাইন থেকে আয় করতে চান তাহলে আজকের অনলাইনে আয় করার পাঁচটি কার্যকরী উপায় সম্পর্কে আপনার জেনে রাখা আমি অত্যন্ত প্রয়োজনে একটা বিষয় বলে মনে করি। তাই আর দেরি না করে আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়া আরম্ভ করে দিন।
অনলাইনে ইনকাম করার সেরা ৫ উপায়
১। ডিজিটাল মার্কেটিং করে অনলাইনে আয়
আপনি কি জানেন? বর্তমান প্রযুক্তির সময়ে ডিজিটাল মার্কেটিং হচ্ছে এমন একটা সেক্টর যেটার চাহিদা কিনা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। যেমন আপনি যদি বিভিন্ন প্রকার ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট দিকে লক্ষ্য করেন তাহলে খুব সহজেই বুঝে যাবেন আসলে ডিজিটাল মার্কেটিং এটা কেমন একটা সম্ভাবনাময় সেক্টর।
তাই আপনি যদি অনলাইনে ইনকাম করার কথা মাথায় আনেন তাহলে ডিজিটাল মার্কেটিং আপনার জন্য আমার মতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সেক্টর। কেননা এর কাজ যেমন সহজ তেমন এর সম্ভাবনা অনেক এগিয়ে অর্থাৎ এটার চাহিদা অনেক বেশি।
যেমন আপনি যদি লক্ষ্য করেন আমার এই ওয়েবসাইটের দিকে তাহলে সেখান থেকেও বুঝতে পারবেন এটা একটা ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের পার্ট। আপনি ফেসবুক মার্কেটিং বলেন বা গুগল এডস রান সবগুলোই মূলত ডিজিটাল মার্কেটিং এর অন্তর্ভুক্ত।
এখন আবার অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে ডিজিটাল মার্কেটিং আসলে কি? তাই সেই সমস্ত লোকদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য আমি নিচে ডিজিটাল মার্কেটিং কি এটার একটা সংক্ষিপ্ত সংজ্ঞা তুলে ধরেছি।
ডিজিটাল মার্কেটিং কি?
সহজ ভাষায় ডিজিটাল মার্কেটিং হচ্ছে কোন একটা পণ্য বা সার্ভিস প্রচার করা। অর্থাৎ আপনি কোন এক ক্লায়েন্ট কিংবা কোনো এক কোম্পানির কোন একটা নির্দিষ্ট প্রোডাক্ট প্রচার করবেন কিংবা মার্কেটিং করবেন।
সেটা হোক সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কিংবা এসইউর মাধ্যমে বা ফেসবুক মার্কেটিং এর মাধ্যমে কিংবা ইমেইল মার্কেটের মাধ্যমে আবার ফেসবুক বিজ্ঞাপন, গুগল বিজ্ঞাপন ইউটিউব বিজ্ঞাপন ইত্যাদি এগুলোর মাধ্যমে।
আরেকটু সহজ ভাবে আপনাদেরকে ডিজিটাল মার্কেটিং বুঝিয়ে দেই সেটা হচ্ছেঃ আপনি যদি এই “ডিজিটাল মার্কেটিং” এই শব্দটার দিকে লক্ষ্য করেন তাহলে এখানে দুইটা শব্দ দেখতে পাবেন একটা হচ্ছে ডিজিটাল” অপরটা হচ্ছে “মার্কেটিং”।
তাহলে এই ডিজিটাল মার্কেটিং শব্দটা থেকে প্রতীয়মান হয় যে, ডিজিটাল মার্কেটিং মানে ই ডিজিটাল ভাবে মার্কেটিং করা। এখানে ডিজিটাল বলতে বিশেষ করে google, ফেসবুক ইত্যাদিকে বুঝানো হয়েছে।
আপনি চাইলে কোন একটা ওয়েবসাইট তৈরি করার মাধ্যমেও মার্কেটিং করতে পারেন। অর্থাৎ আপনি এমন একটা ওয়েবসাইট তৈরি করেছেন আপনার ক্লায়েন্ট এর জন্য যেখানে কিনা আপনার ক্লাইন্টের বিভিন্ন সেবা কিংবা পণ্য বিক্রি করবেন।
মূলত প্রায় অনলাইনের প্রত্যেকটি কাজকেই ডিজিটালভাবে দেখা হয়। তাই যেহেতু আপনার ক্লায়েন্টের কোন একটা সেবা কিংবা পণ্য ডিজিটাল ভাবে আপনি মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছেন তাই সেটাকে ডিজিটাল মার্কেটিং বলা হয়ে থাকে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
আসলে মূলত ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে এ টু জেড আর্টিকেলের মধ্যে বলা সম্ভব নয়। তাই আপনি কোন একটা কোর্স করতে পারেন। এটাই আমি মনে করি আপনার জন্য সবচাইতে বেস্ট হবে।
২। এফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনলাইনে আয়
বর্তমানে প্রযুক্তির যুগে আমরা অনেকে ই অনলাইন থেকে কেনাকাটা করতে কিংবা শপিং করতে স্বাচ্ছন্দ বোধ মনে করে। তাছাড়া আবার অনেকেই নিয়মিত অনলাইন থেকে কেনাকাটা করে থাকে।
আপনি কি জানেন সেখান থেকেও সেই কেনাকাটার ব্যবসাটা করে কিংবা এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আপনি প্রফিট উপার্জন করতে পারবেন। হ্যাঁ এটা মিথ্যা কোনো নয় এটা আসলেই সত্যি একটা বিষয়।
এবং আপনি কি এটাও চিন্তা করেছেন যে আপনি যে কেনাকাটা করলে করতেছেন সেখান থেকে অনেক ব্যক্তি আছে যারা আপনাকে ক্রয় করায় দেওয়ার মাধ্যমে ইনকাম করতেছে।
অর্থাৎ এমন অনেক ব্যক্তি আছে যারা কিনা নিজের প্রোডাক্ট কিংবা নিজের পণ্য না হওয়ার সত্বেও আপনাকে অন্যের প্রোডাক্ট ক্রয় করে দেওয়ার মাধ্যমে তারা প্রফিট উপার্জন করতেছে। হ্যাঁ ঠিকই পড়েছেন।
অর্থাৎ আপনিও চাইলে অন্য জনের প্রোডাক্ট অন্য কোন এক ব্যক্তিকে ক্রয় করে দেওয়ার মাধ্যমে কিংবা একাধিক ব্যক্তিকে ক্রয় করে দেওয়ার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। সেটা কিভাবে তাহলে একটু জেনে নেয়া যাক।
এফিলেট মার্কেটিং কি?
এফিলিয়েট এটা হচ্ছে একটা ইংরেজি শব্দ বাংলা অর্থ হচ্ছে শাখা। এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের শব্দটির থেকে মূল অর্থ এইটা প্রতীয়মান হয় যে, কোন একটা শাখার মার্কেটিং করা।
অর্থাৎ আপনি কোন একটা নির্দিষ্ট কোম্পানি কিংবা নির্দিষ্ট শাখার কোন একটা প্রোডাক্ট বিক্রি করে দেওয়ার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করবেন। যেমন আপনি দারাজ কে ধরতে পারেন বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং প্রসিদ্ধ অনলাইন শপিং মল।
মনে করেন দারাজ থেকে আপনি কোন একটা ব্যক্তিকে কোন একটা জ্যাকেট কিংবা দেখ ইত্যাদি বিক্রি করে দিয়েছেন যার কারণে আপনাকে তারা তাদের লভ্যাংশ থেকে 3% কিংবা 10% পর্যন্ত প্রফিট করতে পারে।
অর্থাৎ আপনি যেহেতু তাদের একটা প্রোডাক্ট বিক্রি করে দিয়েছেন এবং সেখান থেকে তারা কিছুটা অর্থ উপার্জন করেছে যেহেতু তারা আপনার মাধ্যমে উপার্জন করেছে তাই তারা চিন্তা করেছে আপনাকেও কিছুটা প্রফিট করবে।
তবে এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সবচাইতে লাভজনক যে দিকটা রয়েছে সেটি হচ্ছে ডিজিটাল প্রোডাক্ট বিক্রি করা। সেখানে অনেক ধরনের প্রফিট কিংবা লভ্যাংশ পাওয়া যায়। আপনি চাইলে এফিলেট মার্কেটিং কোন একটা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে করতে পারেন চাইলে ফেসবুক এ মার্কেটিং করতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ বরিশাল কিসের জন্য বিখ্যাত | barisal kiser jonno bikkhato
৩। রেফারেলের মাধ্যমে অনলাইনে আয়
আপনি যদি স্বল্প পরিমাণ নিজের সামান্য খরচটুকু নিজেই চালাতে চান তাহলে এই মাধ্যমটি আপনি বেছে নিতে পারেন। অর্থাৎ এখানে আপনি কোন একটা সফটওয়্যার কিংবা কোন একটা বিষয়ে রেফার করবেন যার কারণে তারা আপনাকে একটা বোনাস দিবে।
যেমন আপনি বিকাশ অ্যাপস কে ধরতে পারেন। এখানে আপনি যদি কোন একটা গ্রাহককে যারা এখনো পর্যন্ত তাদের অফিসিয়ালি বিকাশ অ্যাপস এ লগইন করে নি এমন একটা লোককে যদি আপনি বিকাশ অ্যাপস টা ডাউনলোড করে নিতে পারেন এবং লগইন করে দিতে পারেন।
তাহলে আপনি বিকাশ কোম্পানি থেকে একটা বোনাস পাবেন। তবে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার একটা বিকাশ একাউন্ট থাকতে হবে যেখান থেকে কিনা আপনার রেফারেল লিংকটা নিয়ে ডাউনলোড করে দেশ৪,বেন আপনার রেফারেল কৃত ব্যক্তিকে।
৪। ছবি তুলে অনলাইনে আয়
আপনি কি জানেন ছবি তুলেও অনলাইনে আয় করা যায়? এই বিষয়ে আপনি যদি না জানেন এবং আশ্চর্য বোধ মনে করেন তাহলে আপনি ঠিক ঐ শুনেছেন ছবি তুলে অনলাইনে আয় করা যায়।
এমন আপনি অনেক ধরনের ওয়েবসাইট পেয়ে যাবেন যেখানে কিনা অনেক ফটোগ্রাফার তাদের প্রিয় ছবি বিক্রি করে এবং সুন্দর সুন্দর ছবি বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করতেছে।
তাই আপনি যদি একজন ফটোগ্রাফার হয়ে থাকেন এবং সুন্দর সুন্দর ছবি তুলতে জানেন এবং ছবি তুলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ মনে করেন তাহলে এখান থেকে অর্থাৎ এই সেক্টর থেকে আপনি অর্থ উপার্জন করতে পারবেন খুব সহজেই।
তার জন্য আপনাকে গুগলে গিয়ে সার্চ করতে হবে ছবি বিক্রি করার ওয়েবসাইট লিখে। এটা লিখে সার্চ করার পরে আপনার সামনে অনেক রেজাল্ট চলে আসবে সেখান থেকে আপনি কোন একটা ওয়েবসাইট চয়েজ করে লগইন করার পর সেখানে আপনার ফটো বিক্রি করতে পারবেন।
৫। ব্লগিং করে অনলাইনে আয়
আপনি কি জানেন আপনি আজকের এই আর্টিকেলটি যে ওয়েবসাইটে পড়তেছেন সেটা একটা ব্লগ সাইট। অর্থাৎ আমি ব্লগিং করতেছি এবং আপনাদেরকে সুন্দর সুন্দর আর্টিকেল উপহার দেওয়ার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতেছি।
ব্লগিং করে অনলাইনে আয় করার মূল বিষয়টা হচ্ছে এডসেন্স থেকে আয়। হয়তো আপনি একবার হলেও google এডসেন্সের কথা শুনেছেন যেমন বিভিন্ন ইউটিউবাররা ভিডিও তৈরি করে অর্থ উপার্জন করতেছে।
আরো পড়ুনঃ সৌদি আরবের ঈদ কবে ২০২২ | বাংলাদেশে ঈদুল আজহা কবে হবে 2022
ঠিক তেমনি আপনি লেখালেখি করে আপনার ওয়েবসাইটে এডসেন্সে এপ্লাই করার পর যদি এডসেন্স পেয়ে যান তাহলে সেখান থেকেও আপনি ইউটিউব এর মত অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
ব্লগিং কিভাবে করবেন আসলে সেটা কি এটা হচ্ছে লম্বা একটা বিষয় তাই সেটা এখানে লিখে বলা সম্ভব নয়। যার জন্য আপনি গুগল ভালোভাবে কাটাকাটি করতে পারেন এবং আপনাকে অবশ্যই ভালোভাবে স্কিল তৈরি করতে হবে। বিশেষ করে এসইওর প্রতি বেশি দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
উপসংহারঃ আজকের এই আর্টিকেলটা যদি আপনার ভালো লাগে অবশ্যই আপনার বন্ধু-বান্ধব কিংবা আত্মীয়স্বজনের কাছে শেয়ার করতে ভুলবেন না। কেননা হয়তো আপনার একটা শেয়ারের কারণে অনেক অনলাইন অজানা ব্যক্তি এই বিষয় সম্পর্কে জেনে যাবে।
আর্টিকেল পাঠিয়েছেনঃ আরিফুল ইসলাম।
Thanks for sharing this with us such an amazing online income tips .
this is really helpful.
সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।