Deprecated: Hook custom_css_loaded is deprecated since version jetpack-13.5! Use WordPress Custom CSS instead. Jetpack no longer supports Custom CSS. Read the WordPress.org documentation to learn how to apply custom styles to your site: https://wordpress.org/documentation/article/styles-overview/#applying-custom-css in /home/globckub/public_html/banglatechspot.com/wp-includes/functions.php on line 6078
মোবাইল প্রসেসর কি? কোন মোবাইল প্রসেসর ভালো?
টেক জ্ঞান

মোবাইল প্রসেসর কি? কোন মোবাইল প্রসেসর ভালো?

ভালো প্রসেসর চেনার উপায়? প্রসেসর এর কাজ কি? গেমিং এর জন্য কোন প্রসেসর ভালো?স্ন্যাপড্রাগন প্রসেসর কি? কয়েকটি প্রসেসরের নাম।


আজকাল আমরা সবাই স্মার্টফোন ব্যবহার করে থাকি। আমরা প্রায়ই শুনে থাকি এই ফোনের এতো প্রসেসর ওই ফোনের এতো প্রসেসর?

কিন্তু আমরা জানি না কোন প্রসেসর ভালো আবার কোন প্রসেসর খারাপ। আজকের এই আর্টিকেল এ আমরা জানতে চলেছি কোন প্রসেসর ভালো এবং তা কিভাবে চিনব? তো চলুন শুরু করা যাক আজকের আর্টিকেল।

তার আগে, দিন দিন আমাদের সাপোর্ট সংখ্যা কমে যাচ্ছে – তাই আপনাদের সাপোর্ট আশা করতেছি। অবশ্যই আপনারা আমাদের সাথেই থাকবেন।

আমরা অনেকের মুখে শুনে থাকি, তাদের ফোনের প্রসেসর ২ গিগাহার্জ এর। আবার কেউ কেউ বলে আমাদের ফোনে ডুয়েল-কোর, কোয়াড-কোর, অক্টা-কোর প্রসেসর। এগুলো হচ্ছে মোবাইল প্রসেসর এর এক-একটি নাম।

মোবাইল প্রসেসর কি? (What is Mobile Processor)

প্রসেসর হলো সিপিইউ এর একটি অংশ। প্রসেসর হল একটি ছোট চিপ যা কম্পিউটার, মোবাইল এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইস এ থাকে।

প্রসেসর এর কাজ হল ইনপুট গ্রহণ করে তাকে আউটপুট এ রূপান্তর করা। এক একটি প্রসেসর বা মাইক্রোপ্রসেসর কয়েক মিলিয়ন ট্রানজিস্টর দিয়ে গঠিত সার্কিট।

আরেকটু সহজভাবে বলা যাই যে, মোবাইল প্রসেসর হল মোবাইল বোর্ডে লাগানো একটি ছোট চিপ যা মোবাইলের সকল গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো করে থাকে। আমরা মোবাইলের ব্রেইন হিসেবে ধরে নিতে পারি প্রসেসরকে।

মানুষ যেমন নিজের মস্তিষ্ক বা ব্রেইন এর মাধ্যমে সকল জটিল কাজ সম্পন্ন করে থাকে। ঠিক তেমনি মোবাইল প্রসেসর এর কাজটা একই।

আরও পড়ুনঃ  OTP কোড কি? ওটিপি নাম্বার কাকে বলে? ওটিপি এর পূর্ণরূপ জানুন

মোবাইলে ভিডিও দেখা, গান শুনা, গেমিং করা, ইন্টারনেট চালানো, ভিডিও রেকর্ড করা ইত্যাদি কাজগুলো করে থাকে মোবাইল প্রসেসর। মোবাইল প্রসেসর ছাড়া কোন মোবাইল ডিভাইস এ কোন ধরনের কাজ করা সম্ভব নয়।

এজন্য মোবাইল প্রসেসর যত ভালো মানের হবে আপনার ফোন ততো কাজ করতে সক্ষম হবে সাথে আপনার ফোনটি দীর্ঘদিন ঠিকে থাকতে পারবে।

আর যদি আপনার ফোনের প্রসেসর ভালো মানের না হয়, তো আপনি হইতো কিছুদিন ভালো ভাবেই কাজ করতে পারবেন। কিন্তু কিছুদিন পরে দেখা যাবে আপনার ফোনটি আর আগের মতো কাজ করতেছে না। বরং আপনার পছন্দের ফোনটি তখন আপনার বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়াবে।

তাই আপনি আজকে একটু কষ্ট করে সম্পূর্ণ আর্টিকেল টি পড়ে ফেলুন। দেখবেন আপনারই উপকারে আসবে।

মোবাইল প্রসেসর এর প্রকারভেদ

মোবাইল প্রসেসর অনেক ধরনের হয়ে থাকে। বিভিন্ন ক্রাইটেরিয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। নিচে এদের এক একটির বিস্তারিত দেওয়া হলঃ

কোর এর সংখ্যার পার্থক্যঃ

কোর সংখ্যার উপর ভিত্তি করে মোবাইল প্রসেসর সাধারণত চার ধরনের।

  • ডুয়াল-কোর
  • কোয়াড-কোর
  • হেক্সা-কোর
  • অক্টা-কোর

উপরের চার রকম প্রসেসরের একটি পার্থক্য হল কোর সংখ্যার। ডুয়াল কোর প্রসেসর এর কোরের সংখ্যা দুইটি (২) কোয়াড-কোর প্রসেসর এর কোর সংখ্যা চারটি (৪) হেক্সা-কোর প্রসেসর এর সংখ্যা ছয়টি (৬) এবং অক্টা-কোর প্রসেসর এর কোর সংখ্যা আটটি (৮)।

আপনার ডিভাইস এর প্রসেসরের কোর সংখ্যা যত বেশি হয়ে থাকবে তার কার্যক্ষমতাও ততোই বেশি হয়।

কোর কিছুটা এভাবে কাজ করে, যেমনঃ আপনি কোন একটি কাজ করছেন যেটি করতে আপনার প্রায় ১০ ঘন্টা লেগে যাবে। সেই কাজটাই যদি আপনি আপনার এক বন্ধুকে সাথে নিয়ে করেন তাহলে আপনার সময় লাগবে প্রায় ৫ ঘণ্টা।

অর্থাৎ কাজটি আরও দ্রুত শেষ হয়ে যাবে। আপনি যদি কাজটির জন্য আরো দুইটা বন্ধুকে ডেকে আনেন তাহলে আপনার কাজটি আরো তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যাবে। মোবাইল প্রসেসরের কোর ঠিক এভাবেই কাজ করে।

তাহলে বুঝতে পারছেন, কোর সংখ্যা যত বেশি হয়ে থাকবে তার কার্যক্ষমতা ততো বেশি হয়ে থাকে। ফলে আপনার কাজটাও স্মুথভাবে করতে পারবেন।

তাই আপনি যদি নতুন মোবাইল কেনার সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে কেনার আগে অবশ্যই দেখে নেবেন মোবাইলটিতে কত কোরের প্রসেসর লাগানো আছে।

কোম্পানির প্রসেসর এর পার্থক্যঃ

কোরের পার্থক্য ছাড়াও প্রসেসর এর আলাদা আলাদা কোম্পানি রয়েছে। যারা প্রসেসর তৈরি করে থাকে এবং আমরা তাদের প্রসেসরই মোবাইল ফোনের মধ্যে দেখতে পাই। প্রসেসর এর সবচেয়ে জনপ্রিয় চারটি কোম্পানি আছে যারা প্রসেসর তৈরি করে থাকে।

  1. Qualcomm/ snapdragon
  2. Mediatek
  3. Samsung/ Exynos
  4. Nvidia

ভিন্ন ভিন্ন মোবাইল কোম্পানি উপরের চারটি কোম্পানির প্রসেসর তাদের মোবাইলে ব্যবহার করে থাকেন।

আরও পড়ুনঃ  ইনপুট ডিভাইস কি? কাকে বলে? কত প্রকার ও কি কি?

গিগাহার্জ (GHz) এর পার্থক্যঃ

প্রসেসর এর পার্থক্য গিগাহার্জের (GHz) উপরে অনেকটা নির্ভর করে। গিগাহার্জ যত বেশি হয় প্রসেসর তত ভালো কাজ করে। গিগাহার্জ সাধারণত ১ গিগাহার্জ, ১.৫ গিগাহার্জ, ২ গিগাহার্জ বা আরও বেশি হয়ে থাকে। গিগাহার্টজ কে ফ্রিকোয়েন্সিও বলা হয়ে থাকে।

কোন মোবাইল প্রসেসর ভালো?

এখন আপনার মাথায় অনেক ঘুরপাক খাচ্ছে, কোন মোবাইল প্রসেসর ভালো?
কোন মোবাইলের প্রসেসর ভালো তা জানার জন্য এই কয়েকটি কথা মনে রাখলে আপনি বুঝতে পারবেন কোন প্রসেসর ভালো?

মোবাইল প্রসেসর এর ক্ষেত্রে, আপনি সেই প্রসেসর এর নাম গুগল এ সার্চ দিয়ে জানতে পারবেন সেই প্রসেসর এর স্কোর কত? এবং প্রসেসরটা কত ন্যানোমিটার এর?

এখন আপনি বলতে পারেন, কি করে বুঝব যে কত ন্যানোমিটার এর প্রসেসর ভালো?

মনে রাখবেন GHz আর কোর সংখ্যা এর ক্ষেত্রে, সংখ্যা যত বেশি হয়ে থাকবে তার কার্যক্ষমতা ততো বেশি হয়ে থাকে।

কিন্তু ন্যানোমিটারের ক্ষেত্রে এর বিপরীত। অর্থাৎ মোবাইল প্রসেসর এর প্রসেসর যত কম ন্যানোমিটার এর হবে প্রসেসর তো ভালো মানের হয়ে থাকে।

তবে দেখা যায় একই ন্যানোমিটার এর প্রসেসর অনেক গুলো হয়ে থাকে তার মানে এই নয় যে সব প্রসেসরই ভালো মানের। তা ডিপেন্ড করে GHz আর কোর সংখ্যা এবং প্রসেসর এর স্কোর এর উপর।

তাই প্রসেসর ভালো না মন্দ তা তো অবশ্যই ন্যানোমিটার ও তার স্কোর এর উপর নির্ভরশীল।

শেষ কথাঃ তাহলে আজ এ পর্যন্তই। আশাকরি মোবাইলের প্রসেসর সম্পর্কে আপনাদের মোটামুটি ধারণা দিতে পেরেছি। এরপরও যদি কোন প্রশ্ন থেকে থাকে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন এবং আর্টিকেলটি ভালো লাগলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। আর প্রযুক্তির সকল প্রকার আপডেট পেতে বাংলা টেকস্পট এর সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ।

সম্পর্কিত আর্টিকেল

২টি মন্তব্য

  1. শ্রেণি উপযোগী ও মানসম্মত কনটেন্ট আপলোড করে বাতায়নকে সমৃদ্ধ করার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ। লাইক ও পূর্ণ রেটিংসহ আপনার জন্য শুভকাম

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button

অ্যাডব্লকার ডিটেক্ট হয়েছে!

মনে হচ্ছে আপনি অ্যাড ব্লকার ব্যবহার করছেন। আমাদের সাইট ভিজিট করার জন্য আপনাকে অ্যাড ব্লকার বন্ধ করতে হবে। যদি অ্যাডব্লকার ব্যবহার না করেন, তাহলে পেজটি রিফ্রেশ করুন।