ইউটিউব হলো বর্তমানে সবথেকে বড় ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্ম। বিভিন্ন ধরনের শিক্ষামূলক ভিডিও ছাড়াও অনেক বিনোদন মুলক ভিডিও ইউটিউবে অনেকে শেয়ার করে।
বর্তমানে ইউটিউব থেকে অনেকে নিজের মেধা শেয়ার করে ইনকাম করছে। আপনিও চাইলে ইনকাম করতে পারেন কিন্তু উলটাপালটা ভিডিও আপলোড দিলে ইনকাম করতে পারবেন না।
ইউটিউব থেকে ইনকাম করতে চাইলে আগে মনিটাইজেশন পেতে হবে। তবে মনিটাইজেশন পেতে হলে আগে এক হাজার সাবস্ক্রাইব এবং চার হাজার ঘন্টা ওয়াচটাইম পুরন করা লাগবে। তাছাড়াও ভিডিও আপলোড করতে হবে মনিটাইজেশন পলিসি অনুযায়ী।
আজ আমি আলোচনা করবো কোন কাজগুলো করলে ইউটিউব থেকে ইনকাম করতে পারবেন না সে বিষয়ে। আর কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করি।
কপিরাইট কন্টেন্ট
অনেকে ইউটিউব থেকে কোনো ভিডিও ডাউনলোড করে ডাইরেক্ট ইউটিউবেই আপলোড দিয়ে দেয়। এরকম করলে অবশ্যই আপনি মনিটাইজেশন পাবেন না।
এমনকি ফেসবুক থেকেও ভিডিও ডাউনলোড করে ডাইরেক্ট আপলোড দেওয়া যাবে না। তবে কিছু কন্টেন্ট কপি করতে পারেন কিন্তু যার ভিডিও তার নাম উল্লেখ থাকতে হবে এবং সেই ভিডিওতে নিজস্ব ভয়েস থাকতে হবে।
কপিরাইট মিউজিক
ইউটিউবে অনেকে যা তা গান দিয়ে ভিডিও তৈরি করে। এরুপ করলে মনিটাইজেশন তো পাবেন না সাথে ভিডিওতে ভিউ পাবেন না। ইউটিউব থেকে সিলেক্ট করা কিছু কপিরাইট মুক্ত মিউজিক আছে সেগুলো ব্যবহার করতে পারেন।
কপিরাইট মুক্ত মিউজিক ইউটিউবের “audio library” চ্যানেলে দেওয়া হয়। চাইলে “audio library” থেকে মিউজিক ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারেন।
কপিরাইট থাম্বনেইল
ইউটিউবে ভিডিও দেখার পুর্বে ভিডিওর উপরে যে ইডিট করা ফটো দেখা যায় ঐটাই থাম্বনেইল। থাম্বনেইল অবশ্যই কপিরাইট মুক্ত হতে হবে। গুগল থেকে ডাইরেক্ট ডাউনলোড করা থাম্বনেইল ব্যবহার না করাই ভালো।
যদি একান্তই ব্যবহার করতে হয় তাহলে একটু ইডিট করে ব্যবহার করা উচিত। অবশ্যই অন্যের থাম্বনেইল কপি করা যাবে না। নিজে সুন্দর থাম্বনেইল তৈরি করার চেষ্টা করুন। থাম্বনেইল ভিডিওতে ভিউ আনার ক্ষেত্রে অনেক ভুমিকা রাখে।
ভয়েস
বর্তমানে ইউটিউব অনেক কঠোর হয়ে উঠেছে। কোনো ভিডিওতে ভয়েস না থাকলে মনিটাইজেশন পাওয়া যাবে না। বিশেষ করে গেমিং চ্যানেলের ক্ষেত্রে ভয়েস ব্যবহার করতেই হবে।
তাছাড়া ভয়েস দিলে ভিডিওতে অনেক অর্গানিক ভিউ আসে। তাই ভয়েস দেওয়ার চেষ্টা করুন।
সোশ্যাল মিডিয়া থেকে ডাউনলোড করা ভিডিও
অনেকে টিকটক, ফেসবুক, টুইটার ইত্যাদি থেকে ভিডিও ডাউনলোড করে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে ছেড়ে দেই। এরুপ কখনো করা যাবে না।
প্রথমে ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করে তারপর অন্যান্য স্থানে ছাড়তে পারেন। অনেক এমনটি করে থাকে। এর ফলে ইউটিউব থেকেও ইনকাম করা যায় আবার অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া থেকেও।
তো আজ এই পর্যন্তই। পরবর্তীতে ইউটিউব ভিডিওতে কিভাবে বেশি ভিউ পাবেন সেই বিষয়ে আলোচনা করা হবে। অনেকে ইউটিউব থেকে ইনকাম করছে আপনিও পারবেন যদি আপনার ইচ্ছা এবং ধৈর্য থাকে।
ইউটিউব থেকে ইনকাম করার পাশাপাশি সবার কাছে পরিচিত পাওয়া যায়। বাংলাদেশে অনেক ইউটিউবার জন্ম নিচ্ছে এবং এর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। আপনিও চাইলে সেই দলে সামিল হতে পারেন।
তো পরবর্তী পোস্ট পাওয়া অব্দি সবাই আমাদের সাথে থাকুন। আশাকরি নতুন নতুন পোস্ট দিয়ে কিছুটা হলেও উপকার করতে পারবো। ধন্যবাদ।